বর্তমান পরিস্থিতির উপর দেশবাসীকে যে বার্তা দিলেন শায়খ নূরে আলম হামিদী
- আপডেটের সময় : ০৭:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
- / ৩১১ টাইম ভিউ
ঐতিহ্যবাহী বরুণা মাদরাসার নায়েবে সদরে মুহতামিম ও মুসলিম কমিউনিটি মৌলভীবাজার এর আহবায়ক মাওলানা শায়খ নূরে আলম হামিদী বরুণা মাদরাসার মসজিদে আবু বকরে আজকের জুমআ পূর্ববর্তী আলেচনায় “ইসলাম ও মুসলমানদের ঐতিহ্য, মুসলিম উম্মাহর অধপতনের কারণ” শীর্ষক বিষয়ে আলোচনাকালে প্রিয় মাতৃভূমি স্বাধীন- সার্বভৌম বাংলাদেশে বিজাতীয় আগ্রাসনের অপতৎপরতা রুখে দিতে মুসলিম উম্মাহকে বিভেদ ভুলে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলার আহবান জানান।
তিনি এ ক্ষেত্রে হযরত শায়খে বর্ণভী রহ.র সেই ঐক্যের আহবানকে আবরো স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন-ইসলামের বিরুদ্ধে বিজাতীয় আগ্রাসী তৎপরতা ও ষড়যন্ত্র আজকের নতুন কিছু নয় । বরং সূচনালগ্ন থেকেই তারা ইসলামের বিরুদ্ধে লেগে রয়েছে। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে তাদের ষড়যন্ত্রের ধরণ বদলেছে মাত্র। ইসলামের প্রথম ও মধ্যযুগে তাদের শত্রুতা ছিল প্রকাশ্য । যার কারণে মুসলমানরা এদের ব্যাপারে বেশী সজাগ ছিলেন । ফলে তারা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি এবং মুসলিম জাতিকে সমূলে ধ্বংসও করতে পারেনি । তাই শেষ দিকে এসে তারা প্রকাশ্য শত্রুতার পথ পরিহার করে গোপন ষড়যন্ত্র শুরু করে। ছলনাময়ী নারীর মত বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় । এখানে এসেই মুসলমানরা হোচট খেয়ে যায়। আস্তে আস্তে তাদের চক্রান্তের বেড়াজালে আটকে যেতে থাকে। তাই “যুগ চাহিদা’র নাম দিয়ে তাদের ষড়যন্ত্রগুলোকে নিজেদের উন্নতি ও অগ্রগতির সোপান ধারণা করে মনে প্রাণে গ্রহণ করতে শুরু করে।
শায়খ হামিদী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ‘নানক গুরু দুয়ারা নামক’ শিকদের মন্দির থেকে তরবারি রেলীর দৃশ্যাবলী, সেখানে সালাতুল ইসতেসকার অনুমতি না দেয়া কিসের সংকেত দিচ্ছে বাংলাদেশকে ? আমরা মতপার্থক্য নিয়ে ব্যস্ত অপরদিকে অপসংস্কৃতি আমাদেরকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জল দৃষ্টান্ত আমাদের প্রিয় শহর মৌলভীবাজারে ইতিহাসের প্রথম ‘শ্রীরাম নবমী উদযাপন’ করে কে বা কারা অশান্ত করার চক্রান্ত করছে,ওরা কারা,ওদের নীলনকশা কি? ওদের ঘৃনিত চক্রান্ত সম্পর্কে দেশবাসী সজাগ থাকতে হবে।
শায়খ নূরে আলম হামিদী আরো বলেন, ফরিদপুর সহ সমস্ত বাংলাদেশে একেরপর এক মুসলমানকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হচ্ছে,গরীব মহিলাদেরকে কাজ দিবে বলে ফাদে ফেলে ভারতের পতিতালয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে। ফরিদপুরের আলোচিত হত্যাকান্ডটি বর্বরোচিত জঘন্য ঘটনা। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। আমরা সংক্ষুব্ধ ও স্তম্ভিত। আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দেশ জাতীর মনেও চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। দুইজন মুসলিম শ্রমিককে বিনা দোষে এবং বিনা কারণে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। একটি স্বাধীন ও সভ্য দেশে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি বলেন, অবিলম্বে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। গত পরশু এই নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে স্থানীয় তৌহিদী জনতা মানববন্ধন করলে তাতে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। যাতে প্রায় অর্ধশতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি আহত হয়। পুলিশ কর্মকর্তাদের এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ড আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। প্রতিবাদ জানানো দেশের সাধারণ নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার।
শায়খ হামিদী শান্তিকামি জনগনের সাংবিধানিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
সংবাদ তথ্য
দ্বীন টিভি মিডিয়া সেল
বাংলাদেশ অফিস