ঢাকা , শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পবিত্র কাবা থেকে বদরের প্রান্তরে… কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম কে সংবর্ধনা দিয়েছে মনফালকনে গরিজিয়া বিএনপি ইতালির মিলানে রকমারি সাজে নানান আয়োজনে প্রবাসীদের বৈশাখী অনুষ্ঠান সম্পন্ন বর্তমান পরিস্থিতির উপর দেশবাসীকে যে বার্তা দিলেন শায়খ নূরে আলম হামিদী স্বাধিনতা মানে শুধুমাত্র নিজস্ব মানচিত্র অর্জন নয়, চাই বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন

মনু নদীতে বিলীন সড়ক, মন্ত্রীর নির্দেশ মানছেন না প্রধান প্রকৌশলী

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০১৯
  • / ৪১২ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার হাজীপুর ইউনিয়নের মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙনের কারণে দুটি জনগুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক প্রধান সড়কে ১৫ দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকল্প সড়ক চালু না হওয়াতে এ অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে মৌলভীবাজারের মনু নদীর পানি বেড়ে যায়। যার কারণে কাউকাপন বাজার এলাকার কুনিমুরা-তারাপাশা সড়কে ১০০ মিটার ভেঙে নদীতে তলিয়ে যায় এবং ৩০০ মিটার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কটারকোনা বাজার-হাজীপুর ইউপি কার্যালয়ের হাসিমপুর এলাকায় পাকা সড়কের মনু প্রতিরক্ষা বাঁধে প্রায় ১০০ মিটার জায়গা ভেঙে নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। এ অবস্থায় জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে বিকল্প সড়ক চালুর দাবি জানিয়ে ৩ আগস্ট স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন।

এদিকে ৫ আগস্ট সাবেক সংসদ এম এম শাহীন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের কাছে আরেকটি লিখিত আবেদন করেন। এর অনুলিপি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও পাঠানো হয়েছে। আবেদনটি ৬ আগস্ট মন্ত্রীর দপ্তরে ডকেট করা হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী প্রধান প্রকৌশলীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু মন্ত্রীর নির্দেশের ১০ দিন পরও প্রধান প্রকৌশলী বা কুলাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী এখন পর্যন্ত ভাঙন কবলিত সড়কগুলো পরিদর্শন করেননি। কোনো ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করেননি।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী মু. ইসতিয়াক হাসানের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি। এর ফলে এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন জানান, হাজীপুরের দুটি আঞ্চলিক সড়কে ভাঙনের ব্যপারে তিনি অবগত আছেন। জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে বিকল্প সড়কে যাতে যান চলাচল শুরু করা যায় সেই বিষয়ে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলবেন। আর প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

মনু নদীতে বিলীন সড়ক, মন্ত্রীর নির্দেশ মানছেন না প্রধান প্রকৌশলী

আপডেটের সময় : ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার হাজীপুর ইউনিয়নের মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙনের কারণে দুটি জনগুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক প্রধান সড়কে ১৫ দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকল্প সড়ক চালু না হওয়াতে এ অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে মৌলভীবাজারের মনু নদীর পানি বেড়ে যায়। যার কারণে কাউকাপন বাজার এলাকার কুনিমুরা-তারাপাশা সড়কে ১০০ মিটার ভেঙে নদীতে তলিয়ে যায় এবং ৩০০ মিটার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কটারকোনা বাজার-হাজীপুর ইউপি কার্যালয়ের হাসিমপুর এলাকায় পাকা সড়কের মনু প্রতিরক্ষা বাঁধে প্রায় ১০০ মিটার জায়গা ভেঙে নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। এ অবস্থায় জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে বিকল্প সড়ক চালুর দাবি জানিয়ে ৩ আগস্ট স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন।

এদিকে ৫ আগস্ট সাবেক সংসদ এম এম শাহীন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের কাছে আরেকটি লিখিত আবেদন করেন। এর অনুলিপি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও পাঠানো হয়েছে। আবেদনটি ৬ আগস্ট মন্ত্রীর দপ্তরে ডকেট করা হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী প্রধান প্রকৌশলীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু মন্ত্রীর নির্দেশের ১০ দিন পরও প্রধান প্রকৌশলী বা কুলাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী এখন পর্যন্ত ভাঙন কবলিত সড়কগুলো পরিদর্শন করেননি। কোনো ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করেননি।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী মু. ইসতিয়াক হাসানের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি। এর ফলে এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন জানান, হাজীপুরের দুটি আঞ্চলিক সড়কে ভাঙনের ব্যপারে তিনি অবগত আছেন। জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে বিকল্প সড়কে যাতে যান চলাচল শুরু করা যায় সেই বিষয়ে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলবেন। আর প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছেন।