ঢাকা , শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পবিত্র কাবা থেকে বদরের প্রান্তরে… কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম কে সংবর্ধনা দিয়েছে মনফালকনে গরিজিয়া বিএনপি ইতালির মিলানে রকমারি সাজে নানান আয়োজনে প্রবাসীদের বৈশাখী অনুষ্ঠান সম্পন্ন বর্তমান পরিস্থিতির উপর দেশবাসীকে যে বার্তা দিলেন শায়খ নূরে আলম হামিদী স্বাধিনতা মানে শুধুমাত্র নিজস্ব মানচিত্র অর্জন নয়, চাই বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন

চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর প্রস্তাব সংসদে প্রত্যাখ্যান

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৮:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৯
  • / ৯০০ টাইম ভিউ

সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করতে একটি প্রস্তাব সংসদে উত্থাপণ ও আলোচনার পর প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সংসদের বৈঠকে প্রস্তাবটি উত্থাপণ করেছিলেন স্বতন্ত্র এমপি বগুড়া-৭ আসনের রেজাউল করিম। প্রস্তাবের ওপর আরো ১০ জন সংসদ সদস্য সমর্থন জানিয়ে সংশোধনীও দিয়েছিলেন। কিন্তু জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন প্রস্তাবটি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।

এর আগে বিকাল পাঁচটায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। প্রস্তাবটি উত্থাপনের পর সমর্থন জানিয়ে অন্য এমপিরা চাকরিতে অবসরের বয়সসীমাও ৬২ করার জন্য সংশোধনী দেন। কিন্তু আলোচনার পরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সংসদে বলেন, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের যে বয়সসীমা, সবদিক বিবেচনায় সেটাকে সরকার যৌক্তিক বলে মনে করছে। স্বাধীনতার পর প্রেক্ষাপট বিবেচনায় চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ২৫ থেকে ২৭ ও পরবর্তীতে ৩০ করা হয়। এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশন জট নেই। ২৩ বছর বয়সে শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী পাচ্ছেন। ছয় থেকে সাত বছর চাকরির প্রস্তুতির জন্য সময় পাচ্ছেন। তাছাড়া চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করা হলে পেনশন সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হবে।

এসব বিবেচনায় নিয়ে প্রতিমন্ত্রী স্বতন্ত্র সাংসদ রেজাউল করিমকে তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু রেজাউল করিম প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করবেন না বলে ভোটে দেওয়ার আহবান জানান। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে দেওয়া হয়। কণ্ঠভোটে তার প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যাত হয়।
চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর প্রস্তাব এনে রেজাউল করিম তার বক্তব্যে বলেন, বিশ্বের ১৯২টি দেশের মধ্যে ১৫৫টি দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৫৫ বছর কোথাও কোথাও ৫৯ বছর পর্যন্ত। দেশে এখন শিক্ষিত বেকার ২৮ লাখের বেশি। শিক্ষিত বেকার পরিবারের জন্য বোঝা। শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন করেছিল। তাঁদের সে সময় রাজাকার, শিবির, জঙ্গী বানানোর চেষ্টা হয়েছিল। এখন চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর জন্য আন্দোলন করছে। চাকরি না পেয়ে অনেক যুবক মাদক, ছিনতাই ও অন্যান্য সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করা উচিত হবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর প্রস্তাব সংসদে প্রত্যাখ্যান

আপডেটের সময় : ০৮:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৯

সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করতে একটি প্রস্তাব সংসদে উত্থাপণ ও আলোচনার পর প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সংসদের বৈঠকে প্রস্তাবটি উত্থাপণ করেছিলেন স্বতন্ত্র এমপি বগুড়া-৭ আসনের রেজাউল করিম। প্রস্তাবের ওপর আরো ১০ জন সংসদ সদস্য সমর্থন জানিয়ে সংশোধনীও দিয়েছিলেন। কিন্তু জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন প্রস্তাবটি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।

এর আগে বিকাল পাঁচটায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। প্রস্তাবটি উত্থাপনের পর সমর্থন জানিয়ে অন্য এমপিরা চাকরিতে অবসরের বয়সসীমাও ৬২ করার জন্য সংশোধনী দেন। কিন্তু আলোচনার পরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সংসদে বলেন, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের যে বয়সসীমা, সবদিক বিবেচনায় সেটাকে সরকার যৌক্তিক বলে মনে করছে। স্বাধীনতার পর প্রেক্ষাপট বিবেচনায় চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ২৫ থেকে ২৭ ও পরবর্তীতে ৩০ করা হয়। এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশন জট নেই। ২৩ বছর বয়সে শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী পাচ্ছেন। ছয় থেকে সাত বছর চাকরির প্রস্তুতির জন্য সময় পাচ্ছেন। তাছাড়া চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করা হলে পেনশন সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হবে।

এসব বিবেচনায় নিয়ে প্রতিমন্ত্রী স্বতন্ত্র সাংসদ রেজাউল করিমকে তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু রেজাউল করিম প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করবেন না বলে ভোটে দেওয়ার আহবান জানান। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে দেওয়া হয়। কণ্ঠভোটে তার প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যাত হয়।
চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর প্রস্তাব এনে রেজাউল করিম তার বক্তব্যে বলেন, বিশ্বের ১৯২টি দেশের মধ্যে ১৫৫টি দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৫৫ বছর কোথাও কোথাও ৫৯ বছর পর্যন্ত। দেশে এখন শিক্ষিত বেকার ২৮ লাখের বেশি। শিক্ষিত বেকার পরিবারের জন্য বোঝা। শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন করেছিল। তাঁদের সে সময় রাজাকার, শিবির, জঙ্গী বানানোর চেষ্টা হয়েছিল। এখন চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর জন্য আন্দোলন করছে। চাকরি না পেয়ে অনেক যুবক মাদক, ছিনতাই ও অন্যান্য সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করা উচিত হবে।