আজ মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস
- আপডেটের সময় : ০৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮
- / ১০৯৬ টাইম ভিউ
ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের একটি ঐতিহাসিক স্মরণীয় দিন। এই দিনে পাকাহানাদারদের পরাজিত করে মৌলভীবাজারকে মুক্ত ঘোষণা করা হয়। একাত্তরের এই দিনে মৌলভীবাজার শহর তথা জেলার সর্বত্র স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা ওড়তে থাকে। পাক হানাদারবাহিনীকে হটিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা মৌলভীবাজারকে শত্রুমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষনা করেন। দিনটি স্মরণে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আজিজুর রহমান ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি প্রবীণ আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব বলেন এই এলাকায় জেড ফোর্সের সদস্যরা দায়িত্বে ছিলেন। ডিসেম্বরের শুরুতে মুক্তিযোদ্ধারা মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় আক্রমণ আরও তীব্র করে। ৪ ডিসেম্বর জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। ৫ ডিসেম্বর জেলার সর্বত্র শুরু হয় তীব্র আক্রমণ। জেলার চারদিক দিকে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে একের পর এক এলাকা শত্রুমুক্ত হতে থাকে। ৫ ও ৬ ডিসেম্বর দুই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা রাজনগর, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া ও মুন্সীবাজার এলাকামুক্ত করে মৌলভীবাজার শহর অভিমুখে আসার জন্য অভিযান শুরু করেন। ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর মিত্র ও মুক্তিবাহিনী শহর ঘেরাও করে। এখানে মহকুমা হেড কোয়ার্টার থাকার কারণে পাকবাহিনীর বিগ্রেড হেড কোয়ার্টার ছিল। জেড ফোর্সের ১৭টি ইউনিটের মধ্যে ২টি ইউনিট কুলাউড়ার দিকে গেলেও বাকি ১৫ টি ইউনিট নিয়ে তারা মৌলভীবাজার শহরে ঢুকার চেষ্টা শুরু করেন। তুমুল যুদ্ধ আর অনেক হতাহতের পর ৭ ডিসেম্বরই মৌলভীবাজার পুরো মহকুমা এলাকা থেকে পাকবাহিনীকে হটিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে ঢুকেন। কিন্তু শহরের বিভিন্ন স্থানে পাকবাহিনী প্রচুর মাইনসহ অস্ত্র পুতে রাখায় এগুলো অপসারণ ও নিষক্রিয় করার পর ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার মুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয়। দিবসটি স্মরণে জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি স্মৃতিচারণ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রদর্শনী ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের উপর চলচিত্র প্রদর্শনী হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা ।