ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলা: ১১ জনের ২০ বছরের কারাদণ্ড

দেশদিগন্ত :
  • আপডেটের সময় : ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৭
  • / ১০৩২ টাইম ভিউ

ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় ১১ জনকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মামলার অপর এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

রোববার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাহিদুল কবির এ রায় ঘোষণা করেন।

অভিযুক্ত ১২ জনের মধ্যে ১১ জনকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, জজ মিয়া, ফ্রিডম সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, গাজী ইমাম হোসেন, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল, মিজানুর রহমান, মো. শাজাহান বালু, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রশীদ, জাফর আহম্মদ ও এইচ কবির।

তাদের মধ্যে প্রথম চারজন কারাগারে, পরের চারজন জামিনে ও শেষের তিনজন পলাতক রয়েছেন।

রায়ে হোমায়েন কবিরকে খালাস দেয়া হয়। তিনি বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করলেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে ফ্রিডম পার্টির নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। ওই সময় বাড়িতেই ছিলেন শেখ হাসিনা। ওই ঘটনায় বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ৩২ নম্বরের বাড়িতে অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা করে। হামলাকারীরা তখন ‘কর্নেল ফারুক-রশিদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়। তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করা হয়। দুটি চার্জশিটে আসামিরা একই।

২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন আদালত।

পোস্ট শেয়ার করুন

শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলা: ১১ জনের ২০ বছরের কারাদণ্ড

আপডেটের সময় : ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৭

ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় ১১ জনকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মামলার অপর এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

রোববার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাহিদুল কবির এ রায় ঘোষণা করেন।

অভিযুক্ত ১২ জনের মধ্যে ১১ জনকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, জজ মিয়া, ফ্রিডম সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, গাজী ইমাম হোসেন, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল, মিজানুর রহমান, মো. শাজাহান বালু, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রশীদ, জাফর আহম্মদ ও এইচ কবির।

তাদের মধ্যে প্রথম চারজন কারাগারে, পরের চারজন জামিনে ও শেষের তিনজন পলাতক রয়েছেন।

রায়ে হোমায়েন কবিরকে খালাস দেয়া হয়। তিনি বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করলেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে ফ্রিডম পার্টির নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। ওই সময় বাড়িতেই ছিলেন শেখ হাসিনা। ওই ঘটনায় বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ৩২ নম্বরের বাড়িতে অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা করে। হামলাকারীরা তখন ‘কর্নেল ফারুক-রশিদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়। তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করা হয়। দুটি চার্জশিটে আসামিরা একই।

২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন আদালত।