ঢাকা , রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিষিদ্ধ জালে চলছে মাছ ধরায়,হাকালুকি হাওরে ৫ জনকে জরিমানা

বড়লেখা প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০
  • / ৩০৩ টাইম ভিউ

বড়লেখা প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরে নিষিদ্ধ জালে চলছে মাছ ধরা। শনিবার দুপুরে হাকালুকি হাওরের বড়লেখা উপজেলার মাইছলা বিল ও কইয়ারকোনা অভয়াশ্রমে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়।

অভিযানে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি নিষিদ্ধ জাল, মাছ ধরার চাঁইসহ ১০ জনকে আটক করা হয়। পরে ৫ জনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৫ জনের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। উদ্ধার করা জাল ও চাঁই পোড়ানো হয়েছে। বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে এ অভিযান চালানো হয়। জব্দ করা জালের মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে হাকালুকি হাওরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মাইছলা বিলে নিষিদ্ধ বেড় জাল দিয়ে মাছ ধরার সময় জালসহ ১০ জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত আটক ৫ জনকে ৫ হাজার টাকা করে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ৫ জনের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

একই সময় কইয়ারকোনা মৎস্য অভয়াশ্রম থেকে দেড়শ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও ৩০টি মাছ ধরার যন্ত্র ‘চাঁই’ উদ্ধার করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বড়লেখা ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামীম আল ইমরান। অভিযানে অন্যদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক জিল্লুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক, বড়লেখা উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল আলম, জুড়ী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মীর আলতাফ হোসেন, বড়লেখা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. উবায়েদ উল্লাহ খান, সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এ রাকিব মোহাম্মদ, বড়লেখা উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রনি দাশ, জুড়ী উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান, বড়লেখা উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের তথ্য সংগ্রহকারী সামছুল হাসান প্রমুখ। পরে উদ্ধার করা জাল ও চাই পুড়িয়ে ফেলা হয়।

ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামীম আল ইমরান বলেন, ‘নিষিদ্ধ বেড় জাল ও কারেন্ট জাল পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এসকল জালে মাছের একেবারে ক্ষুদ্র পোনামাছটির সাথে অন্যান্য জলজপ্রাণীও ওঠে আসে। এতে করে জীববৈচিত্র্য ধংস হচ্ছে

পোস্ট শেয়ার করুন

নিষিদ্ধ জালে চলছে মাছ ধরায়,হাকালুকি হাওরে ৫ জনকে জরিমানা

আপডেটের সময় : ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০

বড়লেখা প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরে নিষিদ্ধ জালে চলছে মাছ ধরা। শনিবার দুপুরে হাকালুকি হাওরের বড়লেখা উপজেলার মাইছলা বিল ও কইয়ারকোনা অভয়াশ্রমে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়।

অভিযানে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি নিষিদ্ধ জাল, মাছ ধরার চাঁইসহ ১০ জনকে আটক করা হয়। পরে ৫ জনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৫ জনের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। উদ্ধার করা জাল ও চাঁই পোড়ানো হয়েছে। বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে এ অভিযান চালানো হয়। জব্দ করা জালের মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে হাকালুকি হাওরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মাইছলা বিলে নিষিদ্ধ বেড় জাল দিয়ে মাছ ধরার সময় জালসহ ১০ জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত আটক ৫ জনকে ৫ হাজার টাকা করে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ৫ জনের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

একই সময় কইয়ারকোনা মৎস্য অভয়াশ্রম থেকে দেড়শ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও ৩০টি মাছ ধরার যন্ত্র ‘চাঁই’ উদ্ধার করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বড়লেখা ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামীম আল ইমরান। অভিযানে অন্যদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক জিল্লুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক, বড়লেখা উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল আলম, জুড়ী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মীর আলতাফ হোসেন, বড়লেখা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. উবায়েদ উল্লাহ খান, সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এ রাকিব মোহাম্মদ, বড়লেখা উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রনি দাশ, জুড়ী উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান, বড়লেখা উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের তথ্য সংগ্রহকারী সামছুল হাসান প্রমুখ। পরে উদ্ধার করা জাল ও চাই পুড়িয়ে ফেলা হয়।

ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামীম আল ইমরান বলেন, ‘নিষিদ্ধ বেড় জাল ও কারেন্ট জাল পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এসকল জালে মাছের একেবারে ক্ষুদ্র পোনামাছটির সাথে অন্যান্য জলজপ্রাণীও ওঠে আসে। এতে করে জীববৈচিত্র্য ধংস হচ্ছে