ঢাকা , শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কমলগঞ্জে মোবাইল চুরির অপবাদে দুই শিশুকে নির্যাতন,প্রধান আসামী গ্রেফতার

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : ০৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০
  • / ৫৬৬ টাইম ভিউ

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : কমলগঞ্জে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে দুই শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় শুক্রবার রাতে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি কুরমা চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সহ সভাপতি সাহাদাত হোসেনকে (৪৮) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের চাম্পারায় চা বাগান এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। শুক্রবার ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা বাগানে চুরির অপবাদ দিয়ে ১২ ও ১৩ বছরের দুই কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেন সাহাদতসহ আরও কয়েকজন। শনিবার দৈনিক জালালাবাদের শেষ পৃষ্ঠায় ‘কমলগঞ্জে ৮ ঘন্টা বেঁধে দুই শিশুকে নির্যাতন’ শিরোনামে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়।

কুরমা চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশিসহ কয়েকজন মিলে দুই কিশোরকে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা আকাশের নিচে পেছনে হাত নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পরে ছেলেদের অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাদের অবস্থার অবনতি হলে বিকেল ৪টায় কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নির্যাতিত এক শিশু মুন্না পাশির বড় ভাই রাজেশ পাশি বাদী হয়ে সাহাদাত হোসেনকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামী করে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ চাম্পারায় চা বাগানে অভিযান চালিয়ে শিশু নির্যাতন মামলার প্রধান আসামী সাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান শিশু নির্যাতন মামলার প্রধান আসামী সাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামীকে মৌলভীবাজার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

কমলগঞ্জে মোবাইল চুরির অপবাদে দুই শিশুকে নির্যাতন,প্রধান আসামী গ্রেফতার

আপডেটের সময় : ০৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : কমলগঞ্জে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে দুই শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় শুক্রবার রাতে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি কুরমা চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সহ সভাপতি সাহাদাত হোসেনকে (৪৮) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের চাম্পারায় চা বাগান এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। শুক্রবার ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা বাগানে চুরির অপবাদ দিয়ে ১২ ও ১৩ বছরের দুই কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেন সাহাদতসহ আরও কয়েকজন। শনিবার দৈনিক জালালাবাদের শেষ পৃষ্ঠায় ‘কমলগঞ্জে ৮ ঘন্টা বেঁধে দুই শিশুকে নির্যাতন’ শিরোনামে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়।

কুরমা চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশিসহ কয়েকজন মিলে দুই কিশোরকে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা আকাশের নিচে পেছনে হাত নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পরে ছেলেদের অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাদের অবস্থার অবনতি হলে বিকেল ৪টায় কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নির্যাতিত এক শিশু মুন্না পাশির বড় ভাই রাজেশ পাশি বাদী হয়ে সাহাদাত হোসেনকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামী করে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ চাম্পারায় চা বাগানে অভিযান চালিয়ে শিশু নির্যাতন মামলার প্রধান আসামী সাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান শিশু নির্যাতন মামলার প্রধান আসামী সাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামীকে মৌলভীবাজার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।