ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কানাডার প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট ইলেকশন ডলি’র হ্যাটট্রিক জয় ১৭ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তন লন্ডন বিএনপি নেতা শরফুকে শ্রীমঙ্গলে গণ সংবর্ধনা ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব

স্বাস্থ্যসম্মত কোরবানির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৪:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই ২০২০
  • / ২৬৯ টাইম ভিউ

ঢাকা, ৯ জুলাই ২০২০ (বৃহস্পতিবার): মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “আসন্ন ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পর্যাপ্ত গবাদিপশু সরবরাহ ও বিপণনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কোরবানি করে পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে, সচেতন হতে হবে, নিজের দায়িত্ববোধ ও নৈতিকতা দিয়ে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রাণিসম্পদ উৎপাদন ও সরবরাহে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
সকালে সচিবালয়স্থ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে তার দপ্তর কক্ষে কোরবানির পশুর হাটে সুস্থ-সবল গবাদিপশু সরবরাহ ও বিক্রয় নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত এক অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, “আমাদের প্রতিবছর কিছু খারাপ অভিজ্ঞতা হয়। কোরবানির পশু পরিবহণে রাস্তায় চাঁদাবাজি হয়, দীর্ঘসময় প্রাণীকে ট্রাকে আটকে রাখতে হয়। এবার আমরা চাই কোনরকম চাঁদাবাজি হবে না। যে অঞ্চলে সুযোগ আছে সেখান থেকে ট্রেনে পরিহণ হবে। খামারিদের খামারে পশু বিক্রয় হলে সেখান থেকে ইজারাদার টোল আদায় করতে পারবে না।”
এবছরও দেশে কোরবানির জন্য গবাদিপশুর পর্যাপ্ত যোগান রয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এ বছর ১ কোটি ১৮ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫০০টি গবাদিপশু কোরবানির জন্য মজুদ রয়েছে। যার মধ্যে হৃষ্টপুষ্টকৃত গরু-মহিষের সংখ্যা ৪৫ লক্ষ ৩৮ হাজার এবং ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৭৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ও অন্যান্য ৪ হাজার ৫০০টি। কোরবানির জন্য কোন অবস্থাতেই বিদেশ থেকে গবাদিপশু আনার অনুমতি দেয়া হবে না। করোনার কারণে গবাদিপশু বিপণনে এবছর আমরা অনলাইন বাজারের উপর জোর দেয়ার চেষ্টা করছি।”
গবাদিপশু বিপণন ও পরিবহণ সমস্যা সমাধানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হটলাইন স্থাপন করা হবে। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক হটলানে সম্পৃক্ত হবেন। গবাদিপশুর বাজারগুলোতে প্রায় ১২০০ মেডিকেল টিম কাজ করবে, যাতে রুগ্ন গবাদিপশু বাজারে না আসতে পারে। একইসাথে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মনিটরিং টিম গঠন করা হবে। কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

কোরবানির সময়ে খামারিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সহায়তা করার জন্য মাঠ পর্যায়ের সকল প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের এসময় নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। কোনভাবেই যেনো একজন খামারি, বিক্রেতা বা সংশ্লিষ্ট অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে কর্মকর্তাদের সতর্ক করেন মন্ত্রী। এ সময় কোরবানি সংশ্লিষ্ট সরকারের সকল বিভাগকে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা প্রদানেরও অনুরোধ জানান তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপপরিচালকগণ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, বিজিবি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস এবং প্রাণিসম্পদ খাতের উদ্যোক্তা ও খামারীদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি অনলাইনে সভায় অংশগ্রহণ করেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

স্বাস্থ্যসম্মত কোরবানির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

আপডেটের সময় : ০৪:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই ২০২০

ঢাকা, ৯ জুলাই ২০২০ (বৃহস্পতিবার): মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “আসন্ন ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পর্যাপ্ত গবাদিপশু সরবরাহ ও বিপণনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কোরবানি করে পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে, সচেতন হতে হবে, নিজের দায়িত্ববোধ ও নৈতিকতা দিয়ে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রাণিসম্পদ উৎপাদন ও সরবরাহে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
সকালে সচিবালয়স্থ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে তার দপ্তর কক্ষে কোরবানির পশুর হাটে সুস্থ-সবল গবাদিপশু সরবরাহ ও বিক্রয় নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত এক অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, “আমাদের প্রতিবছর কিছু খারাপ অভিজ্ঞতা হয়। কোরবানির পশু পরিবহণে রাস্তায় চাঁদাবাজি হয়, দীর্ঘসময় প্রাণীকে ট্রাকে আটকে রাখতে হয়। এবার আমরা চাই কোনরকম চাঁদাবাজি হবে না। যে অঞ্চলে সুযোগ আছে সেখান থেকে ট্রেনে পরিহণ হবে। খামারিদের খামারে পশু বিক্রয় হলে সেখান থেকে ইজারাদার টোল আদায় করতে পারবে না।”
এবছরও দেশে কোরবানির জন্য গবাদিপশুর পর্যাপ্ত যোগান রয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এ বছর ১ কোটি ১৮ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫০০টি গবাদিপশু কোরবানির জন্য মজুদ রয়েছে। যার মধ্যে হৃষ্টপুষ্টকৃত গরু-মহিষের সংখ্যা ৪৫ লক্ষ ৩৮ হাজার এবং ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৭৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ও অন্যান্য ৪ হাজার ৫০০টি। কোরবানির জন্য কোন অবস্থাতেই বিদেশ থেকে গবাদিপশু আনার অনুমতি দেয়া হবে না। করোনার কারণে গবাদিপশু বিপণনে এবছর আমরা অনলাইন বাজারের উপর জোর দেয়ার চেষ্টা করছি।”
গবাদিপশু বিপণন ও পরিবহণ সমস্যা সমাধানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হটলাইন স্থাপন করা হবে। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক হটলানে সম্পৃক্ত হবেন। গবাদিপশুর বাজারগুলোতে প্রায় ১২০০ মেডিকেল টিম কাজ করবে, যাতে রুগ্ন গবাদিপশু বাজারে না আসতে পারে। একইসাথে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মনিটরিং টিম গঠন করা হবে। কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

কোরবানির সময়ে খামারিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সহায়তা করার জন্য মাঠ পর্যায়ের সকল প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের এসময় নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। কোনভাবেই যেনো একজন খামারি, বিক্রেতা বা সংশ্লিষ্ট অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে কর্মকর্তাদের সতর্ক করেন মন্ত্রী। এ সময় কোরবানি সংশ্লিষ্ট সরকারের সকল বিভাগকে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা প্রদানেরও অনুরোধ জানান তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপপরিচালকগণ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, বিজিবি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস এবং প্রাণিসম্পদ খাতের উদ্যোক্তা ও খামারীদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি অনলাইনে সভায় অংশগ্রহণ করেন।