ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

বিপিএলের মঞ্চ মাতালেন সালমান-ক্যাটরিনা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ৪০৬ টাইম ভিউ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে বিপিএলের বিশেষ আয়োজন। মঞ্চের সামনে সবাইকে অবাক করে দিয়ে সনু নিগম গাইলেন ‘শোনও একটি মুজিবুরের থেকে লক্ষ মুজিবুরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রেসিডেন্ট বক্সে বসে আপ্লুত হয়ে পড়লেন। এমনই চমক আর উচ্ছ্বাসে ভরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়ে গেলো বিপিএলের মাঠের লড়াইয়ের আগে।

রবিবার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল ‘ডি-রকস্টার’ শুভ ও ‘পাওয়ার ভয়েস’ তারকা রেশমি মির্জার গানে। এরপর সংগীত পরিবেশন করেন নগরবাউল জেমস। তবে প্রত্যাশা পূরণ না করে মাত্র চারটি গানেই শেষ করেন তার পর্ব। তার বিখ্যাত গান সুলতানা-বিবিয়ানা দিয়ে মঞ্চ মাতানো শুরু করেছিলেন। এই গানের শেষ দিকে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে প্রেসিডেন্ট বক্সের সামনে তার জন্য নির্মিত ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শুভ উদ্ধোধন করেন জাতির জনকের কন্যা।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের ঘোষণার পরপরই মিরপুরের আকাশে আতশবাজির লাল-নীল আলোর খেলা চলে। এই পর্ব শেষ হতেই ফের মঞ্চে ওঠেন জেমস। এরপর একে একে তিনটি গান গেয়ে বিদায় নেন জনপ্রিয় এই শিল্পী। তার বিদায়ের পর উপস্থিত দর্শকদের মাঝে হতাশা ভর করে। ‘ওয়ান মোর, ওয়ান মোর’ বলে দর্শকরা চিৎকার করে ওঠেন।

জেমসের গান উপভোগ করেছেন দর্শকরা
জেমসের পর মঞ্চে ওঠেন সনু। প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো পারফরম্যান্স করেন তিনি। কলকাতার শিল্পী অংশুমানের অনুরোধে গৌরীপ্রসন্নর লেখা বাঙালির সেই বিখ্যাত চিরসবুজ চিরঞ্জয়ী গান ‘শোনও একটি মুজিবুরের’ গান গেয়ে শুরু করেন সনু। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের বিখ্যাত ‘ধনধান্য পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা’ গানটিও দরদ ভরা কণ্ঠে গেয়েছেন। এই সময় উপস্থিত দর্শকরা দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন! সব মিলিয়ে ১২টির মতো গান গেয়ে মাতান বিখ্যাত এই শিল্পী। প্রতিটি গানেই গ্যালারি উৎসবমুখর ছিল।

তার গানের তালে তালে গ্যালারির পাশাপাশি মাঠে দর্শকদের ফ্লাশলাইটও জ্বলে উঠেছিল। প্রধানমন্ত্রীও তার গান মনোযোগ দিয়ে উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানের পুরোটা সময় প্রেসিডেন্ট বক্সে বসে ছিলেন ক্রীড়াপ্রেমী শেখ হাসিনা। সনুর বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে দশ মিনিটের মতো লেজার শো হয়।

এরপর ‘আল্লাহকে বান্দে’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন কৈলাশ খের। ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, রইবো না আর বেশি দিন তোদের মাজারে’-এই গানটি দরদ ভরা কণ্ঠে গান তিনি। সনুর পর তিনিও বাংলাদেশি দর্শকদের মন জয় করে নেন গানে গানে।

দুটি বাংলা গান গেয়ে সবাইকে অবাক করেন সনু নিগম
দর্শকরা অধীর অপেক্ষায় ছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ ও সালমান খানের নাচ দেখতে। শুরুতে মঞ্চে আসেন ক্যাটরিনা। তিনি মাঠ থেকে পালকিতে করে মঞ্চের সামনে আসেন। সেখান থেকে হেটে মঞ্চে ওঠেন। বেশ কিছু গানের সঙ্গে নাচ পরিবেশন করেন বলিউডের এই নায়িকা। এরপর নাটকীয়তা নিয়ে মঞ্চে আসেন জনপ্রিয় নায়ক সালমান। তিনিও বেশ কিছু জনপ্রিয় গানের সঙ্গে নেচেছেন।

এই পরিবেশনার পর ফের দুজন মঞ্চে আসেন। বাংলাদেশ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেলকে নিয়ে কথা বলেন বলিউডের দুই জনপ্রিয় নায়ক-নায়িকা। এই পর্ব শেষ হতেই একটি ডুয়েট গানের মাধ্যমে সমাপ্তি হয় বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। যিনি একই সাথে বাংলাদেশের একজন গায়ক এবং টেলিভিশনের অনুষ্ঠান নির্মাতা।

পোস্ট শেয়ার করুন

বিপিএলের মঞ্চ মাতালেন সালমান-ক্যাটরিনা

আপডেটের সময় : ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে বিপিএলের বিশেষ আয়োজন। মঞ্চের সামনে সবাইকে অবাক করে দিয়ে সনু নিগম গাইলেন ‘শোনও একটি মুজিবুরের থেকে লক্ষ মুজিবুরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রেসিডেন্ট বক্সে বসে আপ্লুত হয়ে পড়লেন। এমনই চমক আর উচ্ছ্বাসে ভরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়ে গেলো বিপিএলের মাঠের লড়াইয়ের আগে।

রবিবার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল ‘ডি-রকস্টার’ শুভ ও ‘পাওয়ার ভয়েস’ তারকা রেশমি মির্জার গানে। এরপর সংগীত পরিবেশন করেন নগরবাউল জেমস। তবে প্রত্যাশা পূরণ না করে মাত্র চারটি গানেই শেষ করেন তার পর্ব। তার বিখ্যাত গান সুলতানা-বিবিয়ানা দিয়ে মঞ্চ মাতানো শুরু করেছিলেন। এই গানের শেষ দিকে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে প্রেসিডেন্ট বক্সের সামনে তার জন্য নির্মিত ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শুভ উদ্ধোধন করেন জাতির জনকের কন্যা।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের ঘোষণার পরপরই মিরপুরের আকাশে আতশবাজির লাল-নীল আলোর খেলা চলে। এই পর্ব শেষ হতেই ফের মঞ্চে ওঠেন জেমস। এরপর একে একে তিনটি গান গেয়ে বিদায় নেন জনপ্রিয় এই শিল্পী। তার বিদায়ের পর উপস্থিত দর্শকদের মাঝে হতাশা ভর করে। ‘ওয়ান মোর, ওয়ান মোর’ বলে দর্শকরা চিৎকার করে ওঠেন।

জেমসের গান উপভোগ করেছেন দর্শকরা
জেমসের পর মঞ্চে ওঠেন সনু। প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো পারফরম্যান্স করেন তিনি। কলকাতার শিল্পী অংশুমানের অনুরোধে গৌরীপ্রসন্নর লেখা বাঙালির সেই বিখ্যাত চিরসবুজ চিরঞ্জয়ী গান ‘শোনও একটি মুজিবুরের’ গান গেয়ে শুরু করেন সনু। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের বিখ্যাত ‘ধনধান্য পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা’ গানটিও দরদ ভরা কণ্ঠে গেয়েছেন। এই সময় উপস্থিত দর্শকরা দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন! সব মিলিয়ে ১২টির মতো গান গেয়ে মাতান বিখ্যাত এই শিল্পী। প্রতিটি গানেই গ্যালারি উৎসবমুখর ছিল।

তার গানের তালে তালে গ্যালারির পাশাপাশি মাঠে দর্শকদের ফ্লাশলাইটও জ্বলে উঠেছিল। প্রধানমন্ত্রীও তার গান মনোযোগ দিয়ে উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানের পুরোটা সময় প্রেসিডেন্ট বক্সে বসে ছিলেন ক্রীড়াপ্রেমী শেখ হাসিনা। সনুর বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে দশ মিনিটের মতো লেজার শো হয়।

এরপর ‘আল্লাহকে বান্দে’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন কৈলাশ খের। ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, রইবো না আর বেশি দিন তোদের মাজারে’-এই গানটি দরদ ভরা কণ্ঠে গান তিনি। সনুর পর তিনিও বাংলাদেশি দর্শকদের মন জয় করে নেন গানে গানে।

দুটি বাংলা গান গেয়ে সবাইকে অবাক করেন সনু নিগম
দর্শকরা অধীর অপেক্ষায় ছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ ও সালমান খানের নাচ দেখতে। শুরুতে মঞ্চে আসেন ক্যাটরিনা। তিনি মাঠ থেকে পালকিতে করে মঞ্চের সামনে আসেন। সেখান থেকে হেটে মঞ্চে ওঠেন। বেশ কিছু গানের সঙ্গে নাচ পরিবেশন করেন বলিউডের এই নায়িকা। এরপর নাটকীয়তা নিয়ে মঞ্চে আসেন জনপ্রিয় নায়ক সালমান। তিনিও বেশ কিছু জনপ্রিয় গানের সঙ্গে নেচেছেন।

এই পরিবেশনার পর ফের দুজন মঞ্চে আসেন। বাংলাদেশ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেলকে নিয়ে কথা বলেন বলিউডের দুই জনপ্রিয় নায়ক-নায়িকা। এই পর্ব শেষ হতেই একটি ডুয়েট গানের মাধ্যমে সমাপ্তি হয় বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। যিনি একই সাথে বাংলাদেশের একজন গায়ক এবং টেলিভিশনের অনুষ্ঠান নির্মাতা।