ঢাকা , শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ইরানের সাহস দেখলো পুরো বিশ্ব,যুক্তরাষ্ট্র টের টের পেলো ইরানের শক্তি ৫ বছরে নাগরিকত্ব কে ১০ বছর নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পর্তুগাল বিপুল আনন্দ উল্লাসে শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন তোমার পরীক্ষা না নিলে,দেশবাসী তোমার পার্শ্বে – এডভোকেট আবেদ রাজা কুলাউড়ায় বিএনপির প্রার্থী চায় স্হানীয় নেতা কর্মিরা পর্তুগাল বিএনপির আসন্ন কমিটি এম এ হাকিম মিনহাজের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ঘোষণা পর্তুগালের আলমাদা তে সন্ত্রাসীর গুলিতে সিলেটের যুবক নিহত ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক সহ ভারতের গুজরাতে বিমানের বিধ্বস্ত কুলাউড়া সহ প্রবাসীদের আবেদ রাজা’র ঈদ শুভেচ্ছা ড, সাইফুল আলম চৌধুরী’র ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা

৩৯তম বিসিএসে সহকারী সার্জন হলেন কানিহাটি বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই কৃতি শিক্ষার্থী

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ
  • আপডেটের সময় : ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০১৯
  • / ২১১০ টাইম ভিউ

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ  ৩৯তম বিসিএসে সহকারী সার্জন হলেন কানিহাটি বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই কৃতি শিক্ষার্থী বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি)। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলাফলে সহকারী সার্জন পদে ৪ হাজার ৫৪২ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ২৫০ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। চিকিৎসকদের ৩৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষায় ক্যাডার পদে (সহকারী সার্জন) সুপারিশপ্রাপ্ত উত্তীর্ণ হয়েছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করা কুলাউড়ার কৃতিসন্তান ডাঃ জয়দ্বীপ পাল ও ডাঃ নাজমা বেগম। ডাঃ জয়দ্বীপ পাল মৌলভীবাজারের কুলাউড়া শরীফপুর ইউনিয়নের মানগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ডাঃ জ্যোতিষ পাল ও কল্পনা রানী পাল দম্পতি’র বড় পুত্র। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জয়দ্বীপ পাল। কানিহাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে মাধ্যমিক ও সিলেট এমসি কলেজ হতে জিপিএ-৫ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে মেডিকেলের ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে এমবিবিএস কোর্স সম্পন্ন করার সুযোগ পান। ডাঃ জয়দ্বীপ পাল বর্তমানে সিলেট আল-হারামাইন হাসপাতালের কার্ডিওলজী বিভাগের মেডিকেল অফিসার পদে কর্মরত আছেন এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করার প্রস্তুুতি নিচ্ছেন। আর এদিকে ডাঃ নাজমা বেগম মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব ক্বারী আব্দুল মান্নান ও হাজী দুলভী বেগম দম্পতি’র কনিষ্টা কন্যা। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমা বেগম কানিহাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে সফলতার সহীত উত্তীর্ণ হন। পরে মেডিকেলের ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে এমবিবিএস কোর্স সম্পন্ন করার সুযোগ পান। ডাঃ নাজমা এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে এফসিপিএস পার্ট-২ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বর্তমানে তিনি একই কলেজ থেকে ডিজিও ফলপ্রার্থী। নিজের সফলতা নিয়ে ডাঃ জয়দ্বীপ পাল বলেন, ৩৯তম বিসিএসের সার্কুলার পাওয়ার পর থেকে ১৪-১৫ ঘন্টা দৈনিক পড়েছি মনোযোগ দিয়ে। নিজের সময়কে কাজে লাগাতাম ভালো করে। আজ আমার এই সফলতার জন্য আমার বাবা-মা, শিক্ষক ও বন্ধু-বান্ধবদের কাছে কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে আমার প্রিয় বন্ধু অরুপ রাউৎ, জনি লাল দাস, রামেশ্বর পাল, বিবেকানন্দ তালুকদারের কাছে অনেক ঋণী। কারণ তারা বিগত ১ বছর থেকে আমাকে বিসিএস পরীক্ষা দিতে অনেক বেশি উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করেছিলো। যার দরুণ আমি আজ সহকারী সার্জন হয়েছি। আমি মানবতার সেবক হয়ে মানুষের চিকিৎসা সেবায় আমৃত্যু কাজ করে যাবো। নিজের সফলতা সম্পর্কে ডাঃ নাজমা বেগম বলেন, আল­াহ আমাকে যে সম্মান দিয়েছেন তা অক্ষুণœ রেখে নিজেকে আরো বিকশিত করেতে চাই। নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব শতভাগ সততা, নিষ্ঠা আর দক্ষতার সাথে পালন করতে চাই। একজন সৎ ও দক্ষ সেবক হিসেবে দেশের মানুষের সেবা করতে চাই। আমার এই সফলতার জন্য আমার বাবা-মা, শিক্ষকদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।

পোস্ট শেয়ার করুন

৩৯তম বিসিএসে সহকারী সার্জন হলেন কানিহাটি বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই কৃতি শিক্ষার্থী

আপডেটের সময় : ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০১৯

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ  ৩৯তম বিসিএসে সহকারী সার্জন হলেন কানিহাটি বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই কৃতি শিক্ষার্থী বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি)। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলাফলে সহকারী সার্জন পদে ৪ হাজার ৫৪২ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ২৫০ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। চিকিৎসকদের ৩৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষায় ক্যাডার পদে (সহকারী সার্জন) সুপারিশপ্রাপ্ত উত্তীর্ণ হয়েছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করা কুলাউড়ার কৃতিসন্তান ডাঃ জয়দ্বীপ পাল ও ডাঃ নাজমা বেগম। ডাঃ জয়দ্বীপ পাল মৌলভীবাজারের কুলাউড়া শরীফপুর ইউনিয়নের মানগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ডাঃ জ্যোতিষ পাল ও কল্পনা রানী পাল দম্পতি’র বড় পুত্র। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জয়দ্বীপ পাল। কানিহাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে মাধ্যমিক ও সিলেট এমসি কলেজ হতে জিপিএ-৫ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে মেডিকেলের ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে এমবিবিএস কোর্স সম্পন্ন করার সুযোগ পান। ডাঃ জয়দ্বীপ পাল বর্তমানে সিলেট আল-হারামাইন হাসপাতালের কার্ডিওলজী বিভাগের মেডিকেল অফিসার পদে কর্মরত আছেন এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করার প্রস্তুুতি নিচ্ছেন। আর এদিকে ডাঃ নাজমা বেগম মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব ক্বারী আব্দুল মান্নান ও হাজী দুলভী বেগম দম্পতি’র কনিষ্টা কন্যা। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমা বেগম কানিহাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে সফলতার সহীত উত্তীর্ণ হন। পরে মেডিকেলের ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে এমবিবিএস কোর্স সম্পন্ন করার সুযোগ পান। ডাঃ নাজমা এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে এফসিপিএস পার্ট-২ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বর্তমানে তিনি একই কলেজ থেকে ডিজিও ফলপ্রার্থী। নিজের সফলতা নিয়ে ডাঃ জয়দ্বীপ পাল বলেন, ৩৯তম বিসিএসের সার্কুলার পাওয়ার পর থেকে ১৪-১৫ ঘন্টা দৈনিক পড়েছি মনোযোগ দিয়ে। নিজের সময়কে কাজে লাগাতাম ভালো করে। আজ আমার এই সফলতার জন্য আমার বাবা-মা, শিক্ষক ও বন্ধু-বান্ধবদের কাছে কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে আমার প্রিয় বন্ধু অরুপ রাউৎ, জনি লাল দাস, রামেশ্বর পাল, বিবেকানন্দ তালুকদারের কাছে অনেক ঋণী। কারণ তারা বিগত ১ বছর থেকে আমাকে বিসিএস পরীক্ষা দিতে অনেক বেশি উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করেছিলো। যার দরুণ আমি আজ সহকারী সার্জন হয়েছি। আমি মানবতার সেবক হয়ে মানুষের চিকিৎসা সেবায় আমৃত্যু কাজ করে যাবো। নিজের সফলতা সম্পর্কে ডাঃ নাজমা বেগম বলেন, আল­াহ আমাকে যে সম্মান দিয়েছেন তা অক্ষুণœ রেখে নিজেকে আরো বিকশিত করেতে চাই। নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব শতভাগ সততা, নিষ্ঠা আর দক্ষতার সাথে পালন করতে চাই। একজন সৎ ও দক্ষ সেবক হিসেবে দেশের মানুষের সেবা করতে চাই। আমার এই সফলতার জন্য আমার বাবা-মা, শিক্ষকদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।