ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কানাডার প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট ইলেকশন ডলি’র হ্যাটট্রিক জয় ১৭ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তন লন্ডন বিএনপি নেতা শরফুকে শ্রীমঙ্গলে গণ সংবর্ধনা ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব

মসজিদের সিঁড়িতেই মনিরকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন অধ্যক্ষ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০১৯
  • / ১০৮৭ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ১০ এপ্রিল- রাজধানীর ডেমরায় মাদ্রাসাছাত্র মনির হোসেন (৮) অপহরণের পর হত্যায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে মনিরের মাদ্রাসা নূরে মদিনার অধ্যক্ষও রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- অধ্যক্ষ আবদুল জলিল হাদী ওরফে হাদিউজ্জামান, দুই শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন ও আহমদ শফী ওরফে তোহা।

গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, অপহরণের পর মনিরকে মসজিদের সিঁড়িতেই শ্বাসরোধে হত্যা করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল জলিল হাদী। এ সময় তার সঙ্গে আকরাম হোসেন ও আহাম্মদ শফি ওরফে তোহা ছিলেন।

এর পর মনিরের লাশ বস্তায় ভরে সিঁড়ির পাশে রেখে দেন তারা। শুধু তাই নয়, মনিরকে হত্যার পর তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণও দাবি করেন খুনিরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. ফরিদ উদ্দিন বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলেনে এসব কথা জানান।

ফরিদ উদ্দিন জানান, গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি পাতলা তোয়ালে, দুটি সিমেন্টের বস্তা, দুটি কালো রঙের দড়ি, সিমসহ একটি মোবাইল সেট, লাশের পরনে থাকা গ্যাভাডিংয়ের ফুলপ্যান্ট ও পাঞ্জাবি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারের বর্ণনা দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথমে আবদুল জলিল হাদী ও আহাম্মদ সফি ওরফে তোহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পরে গতকাল মঙ্গলবার তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এর পর তাদের দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বংশালের মালিটোলা এলাকা থেকে অপর অভিযুক্ত মো. আকরামকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রসঙ্গত ৭ এপ্রিল নূরে মদিনা মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির ছাত্র মনির হোসেন মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হয়। ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মসজিদ থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়। পর দিন মনিরের বাবা সাইদুল হক তিনজনকে আসামি করে ডেমরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

মসজিদের সিঁড়িতেই মনিরকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন অধ্যক্ষ

আপডেটের সময় : ০২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ১০ এপ্রিল- রাজধানীর ডেমরায় মাদ্রাসাছাত্র মনির হোসেন (৮) অপহরণের পর হত্যায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে মনিরের মাদ্রাসা নূরে মদিনার অধ্যক্ষও রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- অধ্যক্ষ আবদুল জলিল হাদী ওরফে হাদিউজ্জামান, দুই শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন ও আহমদ শফী ওরফে তোহা।

গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, অপহরণের পর মনিরকে মসজিদের সিঁড়িতেই শ্বাসরোধে হত্যা করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল জলিল হাদী। এ সময় তার সঙ্গে আকরাম হোসেন ও আহাম্মদ শফি ওরফে তোহা ছিলেন।

এর পর মনিরের লাশ বস্তায় ভরে সিঁড়ির পাশে রেখে দেন তারা। শুধু তাই নয়, মনিরকে হত্যার পর তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণও দাবি করেন খুনিরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. ফরিদ উদ্দিন বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলেনে এসব কথা জানান।

ফরিদ উদ্দিন জানান, গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি পাতলা তোয়ালে, দুটি সিমেন্টের বস্তা, দুটি কালো রঙের দড়ি, সিমসহ একটি মোবাইল সেট, লাশের পরনে থাকা গ্যাভাডিংয়ের ফুলপ্যান্ট ও পাঞ্জাবি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারের বর্ণনা দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথমে আবদুল জলিল হাদী ও আহাম্মদ সফি ওরফে তোহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পরে গতকাল মঙ্গলবার তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এর পর তাদের দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বংশালের মালিটোলা এলাকা থেকে অপর অভিযুক্ত মো. আকরামকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রসঙ্গত ৭ এপ্রিল নূরে মদিনা মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির ছাত্র মনির হোসেন মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হয়। ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মসজিদ থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়। পর দিন মনিরের বাবা সাইদুল হক তিনজনকে আসামি করে ডেমরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।