ঢাকা , রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ইরানের সাহস দেখলো পুরো বিশ্ব,যুক্তরাষ্ট্র টের টের পেলো ইরানের শক্তি ৫ বছরে নাগরিকত্ব কে ১০ বছর নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পর্তুগাল বিপুল আনন্দ উল্লাসে শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন তোমার পরীক্ষা না নিলে,দেশবাসী তোমার পার্শ্বে – এডভোকেট আবেদ রাজা কুলাউড়ায় বিএনপির প্রার্থী চায় স্হানীয় নেতা কর্মিরা পর্তুগাল বিএনপির আসন্ন কমিটি এম এ হাকিম মিনহাজের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ঘোষণা পর্তুগালের আলমাদা তে সন্ত্রাসীর গুলিতে সিলেটের যুবক নিহত ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক সহ ভারতের গুজরাতে বিমানের বিধ্বস্ত কুলাউড়া সহ প্রবাসীদের আবেদ রাজা’র ঈদ শুভেচ্ছা ড, সাইফুল আলম চৌধুরী’র ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা

সুজামেমোরিয়াল অধ্যক্ষের খুঁটির জোর কোথায়

দেশদিগন্ত নিউজঃ
  • আপডেটের সময় : ১১:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০১৯
  • / ২৬১২ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের হাতে ছাত্রী লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন ছাত্রীর বাবা।
কলেজ ছাএীর বাবা অভিযোগে বলেন, রবিবর (৩১মার্চ) প্রতিদিনের ন্যায় সেদিনও সাজেদা রিয়া গিয়েছিলো নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুজা মেমোরিয়াল কলেজে। মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সাজেদা রিয়া সহপাঠীদের সাথে কলেজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। শুরু হয় ঝড় বৃষ্টি ও বজ্রপাত। দ্রুত ক্লাস রুমের ভেতর ঢুকতে চাইলে ঝড়ো বাতাসের কারণে দরজা বন্ধ হয়ে যায়। তখন সাজেদা দরজা জোরে ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢোকেন। জোরে দরজা লাগানোতে ক্ষিপ্ত হয়ে কলেজ শিক্ষক মাসুদুর রহমান অধ্যক্ষ ম. মুর্শেদুর রহমানকে বিষয়টি অবহিত করেন।
অধ্যক্ষ ক্লাস চলাকালীন সময়ে সহপাঠীদের সামনে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। কলেজ ছাত্রী বলে যে, ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাতের শব্দের ভয়ে বারান্দা থেকে দ্রুত ক্লাসরুমে ঢুকতে চাইলে জোরে ধাক্কা লাগে। তারপরও অধ্যক্ষ সহপাঠীদের সামনে ছাত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। সহপাঠিদের সামনে এমন ঘটনায় অপমানিত হয়ে সাজেদা কান্না শুরু করলে শিক্ষক মাসুদুর রহমান সাজেদা রিয়াকে হাত ধরে টান দিয়ে অধ্যক্ষের পায়ে ফেলে দেন। তখন কলেজ ছাত্রী জ্ঞান হারান।
পরে সহপাঠীদের সহযোগিতায় সাজেদাকে তার বাড়িতে আনা হয়। জ্ঞান ফিরলে কলেজের ঘটনাটি তার পিতাকে অবহিত করে সাজেদা। বাবা মোঃ কুতুব আলী সাবেক মেম্বারকে ঘটনাটি অবহিত করেন। ঘটনার দিন রাত ১টার দিকে মেয়েটির শরীরে খিচুনি শুরু হয়। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসককে দেখানো হলেও অবস্থার অবনতি হতে থাকে। দ্রুত মৌলভীবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রিয়াকে। সাজেদা রিয়া এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। পরদিন কলেজ ছাত্রীর পিতা সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ বাবু মুর্শেদকে মেয়ের শারিরিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করলে অধ্যক্ষ বাবু মুর্শেদ বলেন, এসব আমার জানার বিষয় নয়। আপনার মেয়ে, আপনি যা করার করেন।
এ বিষয়ে সুজা মেমরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ বাবু মুর্শেদের সঙ্গে সাথে ফোনে আলাপ করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের নামে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রমের গুঞ্জন রয়েছে। তিনি একইসঙ্গে সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ, পাশাপাশি মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের একজন সদস্য। এই ক্ষমতা শক্তি দিয়ে তিনি সবকিছু ম্যানেজ করেন বলে জানা যায়।

পোস্ট শেয়ার করুন

সুজামেমোরিয়াল অধ্যক্ষের খুঁটির জোর কোথায়

আপডেটের সময় : ১১:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের হাতে ছাত্রী লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন ছাত্রীর বাবা।
কলেজ ছাএীর বাবা অভিযোগে বলেন, রবিবর (৩১মার্চ) প্রতিদিনের ন্যায় সেদিনও সাজেদা রিয়া গিয়েছিলো নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুজা মেমোরিয়াল কলেজে। মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সাজেদা রিয়া সহপাঠীদের সাথে কলেজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। শুরু হয় ঝড় বৃষ্টি ও বজ্রপাত। দ্রুত ক্লাস রুমের ভেতর ঢুকতে চাইলে ঝড়ো বাতাসের কারণে দরজা বন্ধ হয়ে যায়। তখন সাজেদা দরজা জোরে ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢোকেন। জোরে দরজা লাগানোতে ক্ষিপ্ত হয়ে কলেজ শিক্ষক মাসুদুর রহমান অধ্যক্ষ ম. মুর্শেদুর রহমানকে বিষয়টি অবহিত করেন।
অধ্যক্ষ ক্লাস চলাকালীন সময়ে সহপাঠীদের সামনে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। কলেজ ছাত্রী বলে যে, ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাতের শব্দের ভয়ে বারান্দা থেকে দ্রুত ক্লাসরুমে ঢুকতে চাইলে জোরে ধাক্কা লাগে। তারপরও অধ্যক্ষ সহপাঠীদের সামনে ছাত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। সহপাঠিদের সামনে এমন ঘটনায় অপমানিত হয়ে সাজেদা কান্না শুরু করলে শিক্ষক মাসুদুর রহমান সাজেদা রিয়াকে হাত ধরে টান দিয়ে অধ্যক্ষের পায়ে ফেলে দেন। তখন কলেজ ছাত্রী জ্ঞান হারান।
পরে সহপাঠীদের সহযোগিতায় সাজেদাকে তার বাড়িতে আনা হয়। জ্ঞান ফিরলে কলেজের ঘটনাটি তার পিতাকে অবহিত করে সাজেদা। বাবা মোঃ কুতুব আলী সাবেক মেম্বারকে ঘটনাটি অবহিত করেন। ঘটনার দিন রাত ১টার দিকে মেয়েটির শরীরে খিচুনি শুরু হয়। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসককে দেখানো হলেও অবস্থার অবনতি হতে থাকে। দ্রুত মৌলভীবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রিয়াকে। সাজেদা রিয়া এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। পরদিন কলেজ ছাত্রীর পিতা সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ বাবু মুর্শেদকে মেয়ের শারিরিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করলে অধ্যক্ষ বাবু মুর্শেদ বলেন, এসব আমার জানার বিষয় নয়। আপনার মেয়ে, আপনি যা করার করেন।
এ বিষয়ে সুজা মেমরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ বাবু মুর্শেদের সঙ্গে সাথে ফোনে আলাপ করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের নামে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রমের গুঞ্জন রয়েছে। তিনি একইসঙ্গে সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ, পাশাপাশি মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের একজন সদস্য। এই ক্ষমতা শক্তি দিয়ে তিনি সবকিছু ম্যানেজ করেন বলে জানা যায়।