ফেসবুকে স্মৃতি রেখে পুড়ে গেল মৌলি
- আপডেটের সময় : ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০১৯
- / ৫৮৮ টাইম ভিউ
ইশরাত আহমেদ অদিতি, ফেসবুকে লিখেছেন- কেন চলে গেলিরে!!! ফিরে আয়না বোন। ফেসবুকে এমন অনেক মন্তব্য করেছেন বনানীর আগুনে নিহত তানজিলা মৌলি মিথির বন্ধুদের।
ট্রাভেলিং ও অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ ছিল মৌলির। চলতি বছরের প্রথম দিকে ঘুরে এসেছেন নেপাল। সেখানে প্যারাসুট নিয়ে প্যারাগিল্ডিংয়ের সময় তোলা ছবি মৌলির ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার। মৌলির মৃত্যুর খবরে সেই ছবিটি ভরে গেছে শোকাচ্ছন্ন কমেন্টেসে।
জান্নাতুল ফারিয়া নামে আরেকজন কমেন্টস করেছে- ‘নেপালেই ভাল ছিলা, মরার জন্য দেশে আসলা।’
মৌলি দীর্ঘ দুই বছর গ্রামীণফোনের কল সেন্টারে কাস্টমার ম্যানেজার ছিলেন। সেখানকার সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডা, আলোচনা ও দুপুরের খাবার খাওয়ার মুহূর্তে তোলা কিছু ছবি ২০১৫ সালের ২৮ মার্চ নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন মৌলি।
গতকাল ছিল সেইদিন। ফেসবুক তিন বছর আগের সেই মেমোরি সামনে এনে দিলে ‘Hello awesome people’s…’ তা আবার শেয়ার করেন মৌলি। তাতে পুরোনো সেই সহকর্মীদের ট্যাগও করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা পরই মৌলির মৃত্যুসংবাদ পান সহকর্মীরা।
শুক্রবার আতিফ সাদরিলের মৌলির স্মৃতিচারণ করে বলেন, তানজিলা মৌলি অমায়িক মেয়ে ছিল। খুবই বন্ধু-সুলভ আর মিশুক ছিল। সব সময় ওর মুখে হাসি থাকতো। ট্রাভেলিং-অ্যাডভেঞ্চার-আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করতো। খুব ভাল বিতার্কিকও ছিল।
সাদরিল বলেন, একসঙ্গে গ্রামীণফোনে কাজ করেছি। সে সময়ের তোলা কিছু ছবির ফেসবুক মেমোরি গতকাল সকালেই মৌলি সবাইকে ট্যাগ করেছিল। কে জানতো গতকালই হবে তার শেষদিন! শুনেছি বাবা মার একমাত্র মেয়ে মৌলি। প্রেম করে বিয়ে করেছেন বছর খানেক। গতকাল রাতেই তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি বগুড়াতে নেয়া হয়েছে, সেখানে দাফনও সম্পন্ন হয়েছে।
মৌলির গ্রামের বাড়ি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে। তার বাবার নাম মাসুদুর রহমান। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী। মা নাসরিন সুলতানা। মাকে খুবই ভালবাসতেন মৌলি। গত বছর মায়ের জন্মদিনে (২৫ ডিসেম্বর) মাকে জড়িয়ে ধরে একটি ছবি তুলে প্রোফাইল পিকচার দিয়েছিল মৌলি। কে জানতো ফেসবুকে মার সঙ্গে তুলে পোস্ট করা এটাই হবে মৌলির শেষ ছবি।