ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ফের সুখবর

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০১৯
  • / ১১১৩ টাইম ভিউ

বর্তমান সরকারের শিক্ষার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এবার দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে প্রায় ১৫ হাজার ৬৫০ কোটি টাকার দুই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এসব প্রকল্পের আওতায় ছয় হাজার দুইশ ৫০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন হবে বলে জানা গেছে।সূত্র জানায়, বেসরকারি হাইস্কুল, কলেজে ও মাদ্রাসায় অবকাঠামো উন্নয়নে প্রায় সব সংসদীয় আসনেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন সম্পন্ন করেছেন স্থানীয় এমপিরা। রাজস্ব বাজেটে এসব প্রকল্পের আওতায় তিন হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন অবকাঠামো নির্মাণ এবং দুই হাজার ৯৪৪টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরনো ভবনের মেরামত ও সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। গত জুন থেকে এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

প্রকল্প অনুযায়ী প্রতিটি চারতলা ভবন হচ্ছে, যার চৌচালা ঢালু ছাদ হবে। আর প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে থাকবে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম, কম্পিউটার ল্যাব, স্মার্ট বোর্ড, ল্যাপটপ। সরবরাহ করা হবে আসবাবপত্র। নতুন প্রতিটি ভবনের নির্মাণ ব্যয় প্রায় তিন কোটি ৬১ লাখ টাকা।

৩০০ সংসদীয় আসনের প্রতিটিতে ১০টি করে হাইস্কুলে নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হবে। এতে তিনশ আসনে মোট নতুন ভবন পাচ্ছে তিন হাজার হাইস্কুল। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে মোট ১০ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। আর ৩০০ সংসদীয় আসনের প্রতিটিতে কমপক্ষে ১০টি করে হাইস্কুলের ভবন সংস্কার (ফাউন্ডেশন অনুযায়ী ভার্টিক্যাল এক্সটেনশন) করা হচ্ছে। এতে মোট তিন হাজার ২৫০টি স্কুলের সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের জন্য সরকারের ব্যয় হচ্ছে মোট পাঁচ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা। এ দুই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট সময় লাগবে প্রায় পাঁচ বছর।

পাশাপাশি প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ছয়টি মাদরাসায় একটি করে নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে গড়ে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় দুই কোটি ৮৮ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজ হচ্ছে।

এছাড়াও সরকারের রাজস্ব বাজেট ও দাতা সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত কয়েকটি প্রকল্পের আওতায় ৬৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভবন নির্মাণ করে কারিগরি কোর্স চালু এবং ২০০টি সরকারি কলেজ ও ৩২৩টি সরকারি হাই স্কুলের অবকাঠামো উন্নয়নে গ্রহণ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার পৃথক প্রকল্প।

সরকারি হাইস্কুল ও কলেজের অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপারে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘গত ৮/৯ বছরে দেশের শিক্ষাখাতে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। পুরো দেশই এখন শিক্ষায় আলোকিত। শিক্ষায় ডিজিটালাইজেশনের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে।

কিন্তু স্বাধীনতার পর দেশের সরকারি হাইস্কুল ও কলেজগুলোতে বড় ধরনের কোনো অবকাঠামো সংস্কার কাজ হয়নি। বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজরে রয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কারের মাধ্যমে সরকারি হাইস্কুল ও কলেজগুলোকে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের উচ্চ শিক্ষার প্রায় ৭৫-৮০ ভাগ শিক্ষার্থী আসে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে। এজন্য সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো ঢেলে সাজানো হচ্ছে, উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এতে তৃণমূলের সব স্তরের শিক্ষার্থী সুযোগ পাচ্ছে।’

ড. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ২০০ সরকারি কলেজ ও ৩২৩ হাইস্কুলের উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে মাউশির অধীনে। আর বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার অবকাঠামো সংস্কারের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর (ইইডি)। জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে তিন বছর ধরে অনলাইনে দরপত্র আহ্বান করে আসছে ইইডি। এতে দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের সিন্ডিকেট ভেঙে গেছে, কমেছে কমিশন বাণিজ্য। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ গতিশীল হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা ভবনগুলোর মানও ভালো হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

তিন হাজার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো নির্মাণের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইইডির প্রধান প্রকৌশলী মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান মো. হানজালা বলেন, ‘দেশব্যাপী স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার উন্নয়নে রীতিমত উৎসব শুরু হয়েছে। পুরোদমে চলছে উন্নয়ন কাজ। ইতিমধ্যে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের কাজের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে, কিছু কিছু টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন।

এসব কাজ শিক্ষামন্ত্রী ও সচিব নিয়মিত তদারক করছেন জানিয়ে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘সব কাজের টেন্ডারই অনলাইনে হচ্ছে। ইইডির কার্যক্রম বিকেন্দ্রিকরণ করা হয়েছে, আঞ্চলিক অফিস থেকেই সব কাজ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এতে কাজের মান যেমন ভালো হচ্ছে, অনিয়ম-দুর্নীতিও কমেছে। প্রত্যেকটি কাজের কমপক্ষে ১০ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে।’

পোস্ট শেয়ার করুন

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ফের সুখবর

আপডেটের সময় : ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০১৯

বর্তমান সরকারের শিক্ষার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এবার দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে প্রায় ১৫ হাজার ৬৫০ কোটি টাকার দুই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এসব প্রকল্পের আওতায় ছয় হাজার দুইশ ৫০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন হবে বলে জানা গেছে।সূত্র জানায়, বেসরকারি হাইস্কুল, কলেজে ও মাদ্রাসায় অবকাঠামো উন্নয়নে প্রায় সব সংসদীয় আসনেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন সম্পন্ন করেছেন স্থানীয় এমপিরা। রাজস্ব বাজেটে এসব প্রকল্পের আওতায় তিন হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন অবকাঠামো নির্মাণ এবং দুই হাজার ৯৪৪টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরনো ভবনের মেরামত ও সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। গত জুন থেকে এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

প্রকল্প অনুযায়ী প্রতিটি চারতলা ভবন হচ্ছে, যার চৌচালা ঢালু ছাদ হবে। আর প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে থাকবে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম, কম্পিউটার ল্যাব, স্মার্ট বোর্ড, ল্যাপটপ। সরবরাহ করা হবে আসবাবপত্র। নতুন প্রতিটি ভবনের নির্মাণ ব্যয় প্রায় তিন কোটি ৬১ লাখ টাকা।

৩০০ সংসদীয় আসনের প্রতিটিতে ১০টি করে হাইস্কুলে নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হবে। এতে তিনশ আসনে মোট নতুন ভবন পাচ্ছে তিন হাজার হাইস্কুল। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে মোট ১০ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। আর ৩০০ সংসদীয় আসনের প্রতিটিতে কমপক্ষে ১০টি করে হাইস্কুলের ভবন সংস্কার (ফাউন্ডেশন অনুযায়ী ভার্টিক্যাল এক্সটেনশন) করা হচ্ছে। এতে মোট তিন হাজার ২৫০টি স্কুলের সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের জন্য সরকারের ব্যয় হচ্ছে মোট পাঁচ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা। এ দুই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট সময় লাগবে প্রায় পাঁচ বছর।

পাশাপাশি প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ছয়টি মাদরাসায় একটি করে নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে গড়ে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় দুই কোটি ৮৮ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজ হচ্ছে।

এছাড়াও সরকারের রাজস্ব বাজেট ও দাতা সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত কয়েকটি প্রকল্পের আওতায় ৬৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভবন নির্মাণ করে কারিগরি কোর্স চালু এবং ২০০টি সরকারি কলেজ ও ৩২৩টি সরকারি হাই স্কুলের অবকাঠামো উন্নয়নে গ্রহণ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার পৃথক প্রকল্প।

সরকারি হাইস্কুল ও কলেজের অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপারে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘গত ৮/৯ বছরে দেশের শিক্ষাখাতে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। পুরো দেশই এখন শিক্ষায় আলোকিত। শিক্ষায় ডিজিটালাইজেশনের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে।

কিন্তু স্বাধীনতার পর দেশের সরকারি হাইস্কুল ও কলেজগুলোতে বড় ধরনের কোনো অবকাঠামো সংস্কার কাজ হয়নি। বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজরে রয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কারের মাধ্যমে সরকারি হাইস্কুল ও কলেজগুলোকে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের উচ্চ শিক্ষার প্রায় ৭৫-৮০ ভাগ শিক্ষার্থী আসে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে। এজন্য সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো ঢেলে সাজানো হচ্ছে, উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এতে তৃণমূলের সব স্তরের শিক্ষার্থী সুযোগ পাচ্ছে।’

ড. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ২০০ সরকারি কলেজ ও ৩২৩ হাইস্কুলের উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে মাউশির অধীনে। আর বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার অবকাঠামো সংস্কারের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর (ইইডি)। জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে তিন বছর ধরে অনলাইনে দরপত্র আহ্বান করে আসছে ইইডি। এতে দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের সিন্ডিকেট ভেঙে গেছে, কমেছে কমিশন বাণিজ্য। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ গতিশীল হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা ভবনগুলোর মানও ভালো হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

তিন হাজার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো নির্মাণের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইইডির প্রধান প্রকৌশলী মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান মো. হানজালা বলেন, ‘দেশব্যাপী স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার উন্নয়নে রীতিমত উৎসব শুরু হয়েছে। পুরোদমে চলছে উন্নয়ন কাজ। ইতিমধ্যে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের কাজের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে, কিছু কিছু টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন।

এসব কাজ শিক্ষামন্ত্রী ও সচিব নিয়মিত তদারক করছেন জানিয়ে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘সব কাজের টেন্ডারই অনলাইনে হচ্ছে। ইইডির কার্যক্রম বিকেন্দ্রিকরণ করা হয়েছে, আঞ্চলিক অফিস থেকেই সব কাজ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এতে কাজের মান যেমন ভালো হচ্ছে, অনিয়ম-দুর্নীতিও কমেছে। প্রত্যেকটি কাজের কমপক্ষে ১০ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে।’