ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

বঙ্গবীর জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণী ওসমানী’র ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • / ২৫৩৪ টাইম ভিউ

মহান মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার-ইন-চিফ, আজীবন গণতন্ত্রী বঙ্গবীর জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণী ওসমানী’র ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার। ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এই মহান সেনানায়ক মৃত্যুবরণ করেন। এ উপলক্ষে তাঁর কবর জিয়ারত, শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে, বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ এবং বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ইউকে’র যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবীর ওসমানীর ৩৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার জুমআ’র নামাজে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন মসজিদে মরহুম ওসমানীর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা খান বাহাদুর মফিজুর রহমান ও মাতা জোবেদা খাতুন। বঙ্গবীর ছিলেন অসাধারণ মেধার অধিকারী। ১৯৩৪ সালে মেট্রিক পরীক্ষায় তিনি ব্রিটিশ ভারতের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এ অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ব্রিটিশ সরকার তাকে প্রাইটোরিয়া পুরস্কার প্রদান করে। ১৯৩৯ সালে তিনি রয়েল আর্মড ফোর্স ক্যাডার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪২ সালে তিনি মেজর পদে উন্নীত হন এবং তৎকালীন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সর্ব কনিষ্ট মেজরের পদমর্যাদায় ভূষিত হন। ১৯৬৬ সালে অবসর গ্রহণের পর ১৯৭০ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং ১৯৭০ এর নির্বাচনে ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ-বিশ্বনাথ এলাকা থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়কের পদ গ্রহণ করেন। যুদ্ধ পরিচালনায় তিনি রণাঙ্গনকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করেন। তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী সুসংগঠিতভাবে পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

বঙ্গবীর জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণী ওসমানী’র ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আপডেটের সময় : ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

মহান মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার-ইন-চিফ, আজীবন গণতন্ত্রী বঙ্গবীর জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণী ওসমানী’র ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার। ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এই মহান সেনানায়ক মৃত্যুবরণ করেন। এ উপলক্ষে তাঁর কবর জিয়ারত, শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে, বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ এবং বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ইউকে’র যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবীর ওসমানীর ৩৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার জুমআ’র নামাজে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন মসজিদে মরহুম ওসমানীর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা খান বাহাদুর মফিজুর রহমান ও মাতা জোবেদা খাতুন। বঙ্গবীর ছিলেন অসাধারণ মেধার অধিকারী। ১৯৩৪ সালে মেট্রিক পরীক্ষায় তিনি ব্রিটিশ ভারতের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এ অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ব্রিটিশ সরকার তাকে প্রাইটোরিয়া পুরস্কার প্রদান করে। ১৯৩৯ সালে তিনি রয়েল আর্মড ফোর্স ক্যাডার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪২ সালে তিনি মেজর পদে উন্নীত হন এবং তৎকালীন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সর্ব কনিষ্ট মেজরের পদমর্যাদায় ভূষিত হন। ১৯৬৬ সালে অবসর গ্রহণের পর ১৯৭০ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং ১৯৭০ এর নির্বাচনে ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ-বিশ্বনাথ এলাকা থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়কের পদ গ্রহণ করেন। যুদ্ধ পরিচালনায় তিনি রণাঙ্গনকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করেন। তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী সুসংগঠিতভাবে পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করেন।