ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

নন-এমপিও শিক্ষকদের জন্য আসছে সুখবর

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : ০৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ৯৬৭ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:  দীর্ঘ ৮ বছর পর নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্যে সুখবর দিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষকদের বেতনভুক্ত করার দাবিতে একের পর এক আবেদন করার পর গত বছর অনশণও করেন তারা। কিন্তু কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছিল না। নির্বাচনের পরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দিলেন এই সুখবরের আভাস।

২০১০ সালে সর্বশেষ এক হাজার ৬২৪টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছিল সরকার। এরপর থেকে শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির জন্য আন্দোলন করে আসছেন। এমনকি সংসদ সদস্যরাও এমপিওভুক্তির জন্য জাতীয় সংসদে একাধিকবার বলেছেন।

জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষকদের চাপে গত জুন মাসে ‘এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ জারির পর আগস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্তির আবেদন গ্রহণ করে। একইসঙ্গে যাচাই-বাছাই করতে দুটি কমিটি গঠন করে। ওই সময় এমপিওভুক্ত হতে আবেদন করে প্রায় সাড়ে নয় হাজার প্রতিষ্ঠান। তবে যাচাই বাছাইয়ের কাজ শুরু করলেও গত বছর এমপিও দেওয়া হয়নি।

সূত্র জানায়, সাড়ে নয় হাজার প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করতে তিন হাজার কোটি টাকা দরকার। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এমপিওভুক্ত করতে বার্ষিক দুই হাজার ১৮৪ কোটি ২৭ লাখ ৫২ হাজার ২৫০ টাকা চাহিদা পাঠিয়ে ছিল মন্ত্রণালয়ে। সেই হিসাবে বরাদ্দকৃত অর্থে পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা সম্ভব হতো।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে কিছু প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দিলে বাকিদের মধ্যে অসন্তোষের আশঙ্কা ছিল। যার প্রভাব নির্বাচনেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা ছিল। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের পরই পর্যায়ক্রমে এমপিও দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার হয়েছিল। প্রথম ধাপে ৫শ প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হতে পারে বলে জানান কর্মকর্তারা। সেই লক্ষ্যে শিগগিরই এমপিওভুক্তির কাজের গতি ফিরবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব জানান, আগে থেকেই সিদ্ধান্ত ছিল নতুন সরকার গঠনের পরপরই এমপিও দেওয়া হবে। এমপিওভুক্তির কাজ এগিয়ে রাখতে অনলাইনে ও সফটওয়ারের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে গত বছরই। যাচাই-বাছাইও শেষ। সাড়ে নয় হাজার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫৩৭টি স্কুল-কলেজ, ৫০০ মাদ্রাসা এবং সাড়ে ৩০০ কারিগরি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে।মন্ত্রণালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, যোগ্য প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। তিনি যেসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করতে সম্মত দেবেন সেটা বাস্তবায়ন করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিভুক্তির বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে যাচাই-বাছাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।

পোস্ট শেয়ার করুন

নন-এমপিও শিক্ষকদের জন্য আসছে সুখবর

আপডেটের সময় : ০৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:  দীর্ঘ ৮ বছর পর নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্যে সুখবর দিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষকদের বেতনভুক্ত করার দাবিতে একের পর এক আবেদন করার পর গত বছর অনশণও করেন তারা। কিন্তু কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছিল না। নির্বাচনের পরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দিলেন এই সুখবরের আভাস।

২০১০ সালে সর্বশেষ এক হাজার ৬২৪টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছিল সরকার। এরপর থেকে শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির জন্য আন্দোলন করে আসছেন। এমনকি সংসদ সদস্যরাও এমপিওভুক্তির জন্য জাতীয় সংসদে একাধিকবার বলেছেন।

জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষকদের চাপে গত জুন মাসে ‘এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ জারির পর আগস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্তির আবেদন গ্রহণ করে। একইসঙ্গে যাচাই-বাছাই করতে দুটি কমিটি গঠন করে। ওই সময় এমপিওভুক্ত হতে আবেদন করে প্রায় সাড়ে নয় হাজার প্রতিষ্ঠান। তবে যাচাই বাছাইয়ের কাজ শুরু করলেও গত বছর এমপিও দেওয়া হয়নি।

সূত্র জানায়, সাড়ে নয় হাজার প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করতে তিন হাজার কোটি টাকা দরকার। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এমপিওভুক্ত করতে বার্ষিক দুই হাজার ১৮৪ কোটি ২৭ লাখ ৫২ হাজার ২৫০ টাকা চাহিদা পাঠিয়ে ছিল মন্ত্রণালয়ে। সেই হিসাবে বরাদ্দকৃত অর্থে পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা সম্ভব হতো।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে কিছু প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দিলে বাকিদের মধ্যে অসন্তোষের আশঙ্কা ছিল। যার প্রভাব নির্বাচনেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা ছিল। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের পরই পর্যায়ক্রমে এমপিও দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার হয়েছিল। প্রথম ধাপে ৫শ প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হতে পারে বলে জানান কর্মকর্তারা। সেই লক্ষ্যে শিগগিরই এমপিওভুক্তির কাজের গতি ফিরবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব জানান, আগে থেকেই সিদ্ধান্ত ছিল নতুন সরকার গঠনের পরপরই এমপিও দেওয়া হবে। এমপিওভুক্তির কাজ এগিয়ে রাখতে অনলাইনে ও সফটওয়ারের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে গত বছরই। যাচাই-বাছাইও শেষ। সাড়ে নয় হাজার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫৩৭টি স্কুল-কলেজ, ৫০০ মাদ্রাসা এবং সাড়ে ৩০০ কারিগরি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে।মন্ত্রণালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, যোগ্য প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। তিনি যেসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করতে সম্মত দেবেন সেটা বাস্তবায়ন করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিভুক্তির বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে যাচাই-বাছাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।