ঢাকা , শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পবিত্র কাবা থেকে বদরের প্রান্তরে… কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম কে সংবর্ধনা দিয়েছে মনফালকনে গরিজিয়া বিএনপি ইতালির মিলানে রকমারি সাজে নানান আয়োজনে প্রবাসীদের বৈশাখী অনুষ্ঠান সম্পন্ন বর্তমান পরিস্থিতির উপর দেশবাসীকে যে বার্তা দিলেন শায়খ নূরে আলম হামিদী স্বাধিনতা মানে শুধুমাত্র নিজস্ব মানচিত্র অর্জন নয়, চাই বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন

শপথ নেওয়ার চাপে মনসুর-মোকাব্বির

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : ০৮:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ৬৭৮ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের উন্নয়নের জোয়ারে জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ভেসে গেলেও সিলেটে চমক দেখিয়েছেন গণফোরামের দুই নেতা। এখানকার সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে উদীয়মান সূর্য প্রতীক নিয়ে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান এবং ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বিজয়ী হয়েছেন।

এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভূমিধস পরাজয়ের পর বিএনপির দলীয় ফোরামে বিজয়ী প্রার্থীদের শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ঐক্যফ্রন্ট এ ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি।

প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট-২ আসনে প্রথমে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছিলেন ‘নিখোঁজ’ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। এ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও প্রবাসী মোকাব্বির যুক্তরাজ্যে ফিরে যান। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশে লুনার প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পর গণফোরাম নেতাকে ফিরিয়ে আনা হয়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টিকে এ আসনে ছাড় দেওয়া হয়। এতে বড় দুই দলের প্রার্থীই এ নির্বাচন থেকে দূরে চলে যান এবং গণফোরামের প্রথম এমপি হওয়ার গৌরব অর্জন করেন মোকাব্বির।

এক সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সরাসরি সম্পৃক্ত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর গণফোরামে যুক্ত হলেও মৌলভীবাজার-২ আসনের নির্বাচনে নিজেকে ‘বঙ্গবন্ধুর সৈনিক’ হিসেবে উল্লেখ করেন। ধানের শীষের প্রার্থী হলেও আনুষ্ঠানিক প্রচারের শেষদিন মৌলভীবাজারে সংবাদ সম্মেলনেও জাতির পিতার প্রতি নিজের আনুগত্যের কথা জানান। গণফোরামের নেতা হিসেবে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। এ আসনে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম এমপি হওয়ার ২২ বছর পর ৩০ ডিসেম্বরের ভোটযুদ্ধে আবারও জয়ী হলেন তিনি।

কুলাউড়া উপজেলা গণফোরামের আহ্বায়ক মতাহির আলম চৌধুরী মনে করেন, এলাকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সুলতান মনসুরের এমপি হিসেবে শপথ নেওয়া উচিত। তিনি সমকালকে বলেন, অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে মানুষ ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করেছেন। তাদের আমানত রক্ষার দায়িত্ব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির। এমপি হিসেবে শান্তি-শৃঙ্খলা ও উন্নয়নের দায়িত্ব তার ওপর।

একই প্রত্যাশার কথা জানিয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. মাসুক সমকালকে বলেন, মানুষ ভোট দিয়ে সুলতান মনসুরকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছে। তাদের এবং তার সমর্থকদেরও অনেক আশা-ভরসা রয়েছে। তাই সংসদ সদস্য হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন।

এ প্রসঙ্গে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ সমকালকে বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন। দু’একদিনের মধ্যে ঢাকায় যাব। সবার সঙ্গে কথা হবে। তারপর সবকিছু বলতে পারব।

গোয়ালাবাজার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহকারী প্রধান শিক্ষক নির্মল চন্দ্র ধর মনে করেন, অনেক প্রত্যাশা নিয়ে মানুষ মোকাব্বির খানকে এমপি নির্বাচিত করেছে। এমপি হিসেবে সেবা করা তার কর্তব্য।

এ প্রসঙ্গে মোকাব্বির খান সমকালকে বলেন, প্রথমত তিনি গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য, তারপর তিনি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী। তাই গণফোরামের দলীয় সিদ্ধান্ত এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি। গণফোরামের হাইকমান্ডে এলাকার মানুষের প্রত্যাশার কথা জানাবেন, জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে নীতিনির্ধারণে রয়েছি। তাই আনুষ্ঠানিক আলোচনা ছাড়া কিছু বলা সম্ভব নয়।

সিলেট-২ আসনে ৬৯ হাজার ৪২০ ভোট পেয়ে মোকাব্বির খান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ‘স্বতন্ত্র’ মুহিবুর রহমান পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪৪৯ ভোট। মৌলভীবাজার-২ আসনে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৭৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিকল্পধারার এম এম শাহীন পেয়েছেন নৌকা প্রতীকে ৭৭ হাজার ১৭০ ভোট।

পোস্ট শেয়ার করুন

শপথ নেওয়ার চাপে মনসুর-মোকাব্বির

আপডেটের সময় : ০৮:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জানুয়ারী ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের উন্নয়নের জোয়ারে জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ভেসে গেলেও সিলেটে চমক দেখিয়েছেন গণফোরামের দুই নেতা। এখানকার সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে উদীয়মান সূর্য প্রতীক নিয়ে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান এবং ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বিজয়ী হয়েছেন।

এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভূমিধস পরাজয়ের পর বিএনপির দলীয় ফোরামে বিজয়ী প্রার্থীদের শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ঐক্যফ্রন্ট এ ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি।

প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট-২ আসনে প্রথমে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছিলেন ‘নিখোঁজ’ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। এ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও প্রবাসী মোকাব্বির যুক্তরাজ্যে ফিরে যান। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশে লুনার প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পর গণফোরাম নেতাকে ফিরিয়ে আনা হয়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টিকে এ আসনে ছাড় দেওয়া হয়। এতে বড় দুই দলের প্রার্থীই এ নির্বাচন থেকে দূরে চলে যান এবং গণফোরামের প্রথম এমপি হওয়ার গৌরব অর্জন করেন মোকাব্বির।

এক সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সরাসরি সম্পৃক্ত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর গণফোরামে যুক্ত হলেও মৌলভীবাজার-২ আসনের নির্বাচনে নিজেকে ‘বঙ্গবন্ধুর সৈনিক’ হিসেবে উল্লেখ করেন। ধানের শীষের প্রার্থী হলেও আনুষ্ঠানিক প্রচারের শেষদিন মৌলভীবাজারে সংবাদ সম্মেলনেও জাতির পিতার প্রতি নিজের আনুগত্যের কথা জানান। গণফোরামের নেতা হিসেবে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। এ আসনে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম এমপি হওয়ার ২২ বছর পর ৩০ ডিসেম্বরের ভোটযুদ্ধে আবারও জয়ী হলেন তিনি।

কুলাউড়া উপজেলা গণফোরামের আহ্বায়ক মতাহির আলম চৌধুরী মনে করেন, এলাকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সুলতান মনসুরের এমপি হিসেবে শপথ নেওয়া উচিত। তিনি সমকালকে বলেন, অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে মানুষ ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করেছেন। তাদের আমানত রক্ষার দায়িত্ব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির। এমপি হিসেবে শান্তি-শৃঙ্খলা ও উন্নয়নের দায়িত্ব তার ওপর।

একই প্রত্যাশার কথা জানিয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. মাসুক সমকালকে বলেন, মানুষ ভোট দিয়ে সুলতান মনসুরকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছে। তাদের এবং তার সমর্থকদেরও অনেক আশা-ভরসা রয়েছে। তাই সংসদ সদস্য হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন।

এ প্রসঙ্গে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ সমকালকে বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন। দু’একদিনের মধ্যে ঢাকায় যাব। সবার সঙ্গে কথা হবে। তারপর সবকিছু বলতে পারব।

গোয়ালাবাজার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহকারী প্রধান শিক্ষক নির্মল চন্দ্র ধর মনে করেন, অনেক প্রত্যাশা নিয়ে মানুষ মোকাব্বির খানকে এমপি নির্বাচিত করেছে। এমপি হিসেবে সেবা করা তার কর্তব্য।

এ প্রসঙ্গে মোকাব্বির খান সমকালকে বলেন, প্রথমত তিনি গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য, তারপর তিনি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী। তাই গণফোরামের দলীয় সিদ্ধান্ত এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি। গণফোরামের হাইকমান্ডে এলাকার মানুষের প্রত্যাশার কথা জানাবেন, জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে নীতিনির্ধারণে রয়েছি। তাই আনুষ্ঠানিক আলোচনা ছাড়া কিছু বলা সম্ভব নয়।

সিলেট-২ আসনে ৬৯ হাজার ৪২০ ভোট পেয়ে মোকাব্বির খান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ‘স্বতন্ত্র’ মুহিবুর রহমান পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪৪৯ ভোট। মৌলভীবাজার-২ আসনে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৭৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিকল্পধারার এম এম শাহীন পেয়েছেন নৌকা প্রতীকে ৭৭ হাজার ১৭০ ভোট।