ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

কুলাউড়ায় নিরীহ লোককে হয়রানির প্রতিবাদে পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

দেশদিগন্ত ডেক্স
  • আপডেটের সময় : ০১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০১৭
  • / ১৩৪৬ টাইম ভিউ

কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের কেওলাকান্দি গ্রাম থেকে একটি সাজাপ্রাপ্ত মামলার আসামী হিসেবে শুধুমাত্র নামের মিল থাকায় মূল আসামীকে রেখে অন্য একজন নিরীহ লোককে গ্রেফতার করে হয়রানী, আর্থিক ক্ষতি ও মানহানির ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবী করা হয়েছে।

১৮ নভেম্বর শনিবার দুপুরে কমলগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির শমশেরনগরস্থ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবী জানিয়েছেন হয়রানির শিকার হওয়া মো: নূরুল ইসলামের ভাই কেওলাকান্দি গ্রামের মোঃ আলমগীর হোসেন। তবে কুলাউড়া থানার এসআই সাব্বির বলেছেন আদালতের ভূলের কারণে এটি হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মামলার বাদী মোঃ জামাল আহমদ লেদু ও হয়রানীর শিকার মোঃ নূরুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাজীপুর ইউনিয়নের কেওলাকান্দি গ্রামের মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, আমার বড় ভাই মোঃ নূরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে থানায় কিংবা আদালতে কোন ধরনের মামলা-মোকদ্দমা নেই। অথচ কুলাউড়া উপজেলার ৮নং রাতগাঁও ইউনিয়নের বাগাজুড়ী গ্রামের মোঃ জামাল আহমদ লেদু বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ৫ মে কুলাউড়া উপজেলার ১২নং পৃথিমপাশা ইউনিয়নের আমুলী গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর পুত্র মোঃ নূরুল ইসলাম (২৫)-কে প্রধান আসামী করে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সি,আর-৬৫/১৫ (কুলাউড়া)।

আদালতে মামলার রায়ে আসামী মোঃ নূরুল ইসলামকে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। আদালতের রায়ের আদেশ কার্যকর করার জন্য কুলাউড়া থানায় প্রেরণ করা হয়। কিন্তু নামে মিল থাকায় কোন প্রকার যাচাই না করেই প্রকৃত আসামীর পরিবর্তে কুলাউড়া থানার এসআই মো. সাব্বির আহমদসহ পুলিশ সদস্যরা গত ১১ নভেম্বর শনিবার দিবাগত রাত অনুমান দেড় ঘটিকায় কেওলাকান্দি গ্রামের নিজ বাড়িতে এসে আমার বড় ভাই মোঃ নূরুল ইসলাম (৪৭)কে গ্রেফতার করে কুলাউড়া থানায় নিয়ে যান। নামের মিল থাকায় ভুল হচ্ছে বিষয়টি জানতে পেরে মামলার বাদি মোঃ জামাল আহমদ লেদু ১১ নভেম্বর শনিবার কুলাউড়া থানায় গিয়ে বলে ধৃত জানিয়ে তাকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেছিলেন। তাপরও ঐ রাতেই পুলিশ তড়িঘড়ি করে তার ভাইকে গ্রেফতার করে হয়রানি, আর্থিক ক্ষতি ও এলাকায় মানহানি ঘটান।

পুলিশ সদস্যদেরকে বিষয়টি বারবার বুঝিয়ে বলা সত্ত্বেও তারা নামের মিলে ভুলক্রমে ধৃত তার ভাইকে (নূরুল ইসলামকে) গ্রেফতার দেখিয়ে মৌলভীবাজার আদালতে সোপর্দ করে বলে অভিযোগ করেন হয়রানীর শিকার নূরুল ইসলামের ছোট ভাই আলমগীর হোসেন। পরদিন ১২ নভেম্বর রোববার আদালতে প্রেরণ করা হলে মামলার বাদির সহায়তায় আদালত থেকে জামিনে নিয়ে আসি। সংবাদ সম্মেলনে আলমগীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় গত ১৪ নভেম্বর মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপারের কাছে ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলার আসামী ছাড়াই আমার নিরীহ ভাইকে গ্রেফতার ও হয়রানি বিষয়ে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেন। যার অনুলিপি পুলিশের আইজিপি, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ও জেলা প্রশাসকের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মামলার বাদী মোঃ জামাল আহমদ লেদু এ ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করে প্রকৃত আসামী মোঃ নূরুল ইসলামকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।

হরানীর শিকার কেওলাকান্দি গ্রামের মোঃ নূরুল ইসলাম তাকে কেন নামের ভূলের কারণে গ্রেফতার করে সামাজিকভাবে মানহানি করা হলো তার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন। তিনি বলেন, পুলিশি গ্রেফতারের কারণে তার সন্তানরা স্কুলে গিয়েও এখন নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুলাউড়া থানার এসআই মোঃ সাব্বির আহমদ নিজের ভুল স্বীকার না করে বলেন, আদালতের ভূলের কারণে কেওলাকান্দি গ্রামের মোঃ নূরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এখানে আমার কিছুই করার ছিল না। আমি আদালতের ওয়ারেন্টমূলে তাকে গ্রেফতার করেছি। পরে আদালত থেকে পূনরায় প্রকৃত আসামীর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে।#

পোস্ট শেয়ার করুন

কুলাউড়ায় নিরীহ লোককে হয়রানির প্রতিবাদে পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

আপডেটের সময় : ০১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০১৭

কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের কেওলাকান্দি গ্রাম থেকে একটি সাজাপ্রাপ্ত মামলার আসামী হিসেবে শুধুমাত্র নামের মিল থাকায় মূল আসামীকে রেখে অন্য একজন নিরীহ লোককে গ্রেফতার করে হয়রানী, আর্থিক ক্ষতি ও মানহানির ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবী করা হয়েছে।

১৮ নভেম্বর শনিবার দুপুরে কমলগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির শমশেরনগরস্থ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবী জানিয়েছেন হয়রানির শিকার হওয়া মো: নূরুল ইসলামের ভাই কেওলাকান্দি গ্রামের মোঃ আলমগীর হোসেন। তবে কুলাউড়া থানার এসআই সাব্বির বলেছেন আদালতের ভূলের কারণে এটি হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মামলার বাদী মোঃ জামাল আহমদ লেদু ও হয়রানীর শিকার মোঃ নূরুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাজীপুর ইউনিয়নের কেওলাকান্দি গ্রামের মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, আমার বড় ভাই মোঃ নূরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে থানায় কিংবা আদালতে কোন ধরনের মামলা-মোকদ্দমা নেই। অথচ কুলাউড়া উপজেলার ৮নং রাতগাঁও ইউনিয়নের বাগাজুড়ী গ্রামের মোঃ জামাল আহমদ লেদু বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ৫ মে কুলাউড়া উপজেলার ১২নং পৃথিমপাশা ইউনিয়নের আমুলী গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর পুত্র মোঃ নূরুল ইসলাম (২৫)-কে প্রধান আসামী করে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সি,আর-৬৫/১৫ (কুলাউড়া)।

আদালতে মামলার রায়ে আসামী মোঃ নূরুল ইসলামকে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। আদালতের রায়ের আদেশ কার্যকর করার জন্য কুলাউড়া থানায় প্রেরণ করা হয়। কিন্তু নামে মিল থাকায় কোন প্রকার যাচাই না করেই প্রকৃত আসামীর পরিবর্তে কুলাউড়া থানার এসআই মো. সাব্বির আহমদসহ পুলিশ সদস্যরা গত ১১ নভেম্বর শনিবার দিবাগত রাত অনুমান দেড় ঘটিকায় কেওলাকান্দি গ্রামের নিজ বাড়িতে এসে আমার বড় ভাই মোঃ নূরুল ইসলাম (৪৭)কে গ্রেফতার করে কুলাউড়া থানায় নিয়ে যান। নামের মিল থাকায় ভুল হচ্ছে বিষয়টি জানতে পেরে মামলার বাদি মোঃ জামাল আহমদ লেদু ১১ নভেম্বর শনিবার কুলাউড়া থানায় গিয়ে বলে ধৃত জানিয়ে তাকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেছিলেন। তাপরও ঐ রাতেই পুলিশ তড়িঘড়ি করে তার ভাইকে গ্রেফতার করে হয়রানি, আর্থিক ক্ষতি ও এলাকায় মানহানি ঘটান।

পুলিশ সদস্যদেরকে বিষয়টি বারবার বুঝিয়ে বলা সত্ত্বেও তারা নামের মিলে ভুলক্রমে ধৃত তার ভাইকে (নূরুল ইসলামকে) গ্রেফতার দেখিয়ে মৌলভীবাজার আদালতে সোপর্দ করে বলে অভিযোগ করেন হয়রানীর শিকার নূরুল ইসলামের ছোট ভাই আলমগীর হোসেন। পরদিন ১২ নভেম্বর রোববার আদালতে প্রেরণ করা হলে মামলার বাদির সহায়তায় আদালত থেকে জামিনে নিয়ে আসি। সংবাদ সম্মেলনে আলমগীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় গত ১৪ নভেম্বর মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপারের কাছে ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলার আসামী ছাড়াই আমার নিরীহ ভাইকে গ্রেফতার ও হয়রানি বিষয়ে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেন। যার অনুলিপি পুলিশের আইজিপি, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ও জেলা প্রশাসকের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মামলার বাদী মোঃ জামাল আহমদ লেদু এ ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করে প্রকৃত আসামী মোঃ নূরুল ইসলামকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।

হরানীর শিকার কেওলাকান্দি গ্রামের মোঃ নূরুল ইসলাম তাকে কেন নামের ভূলের কারণে গ্রেফতার করে সামাজিকভাবে মানহানি করা হলো তার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন। তিনি বলেন, পুলিশি গ্রেফতারের কারণে তার সন্তানরা স্কুলে গিয়েও এখন নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুলাউড়া থানার এসআই মোঃ সাব্বির আহমদ নিজের ভুল স্বীকার না করে বলেন, আদালতের ভূলের কারণে কেওলাকান্দি গ্রামের মোঃ নূরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এখানে আমার কিছুই করার ছিল না। আমি আদালতের ওয়ারেন্টমূলে তাকে গ্রেফতার করেছি। পরে আদালত থেকে পূনরায় প্রকৃত আসামীর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে।#