ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

সালমান-ক্যাটরিনার মঞ্চে নায়ক শচিন

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : ০১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৭
  • / ১৫৩৮ টাইম ভিউ

মুহূর্তের মধ্যে পুরো স্টেডিয়াম অন্ধকার হয়ে গেল। আলোর একটা পাখি নেচে উঠল ঈশান কোণে। তার মধ্যে থেকে বেরিয়ে এলেন ক্যাটরিনা কাইফ। উঠে এলেন সঙ্গীদের নিয়ে মঞ্চে। ‘ধুম মাচা দে’-র সঙ্গে নাচলেন। রঙিন আলো ছিটকে পড়ল শরীর বেয়ে। সামান্য দুলল সর্ষেক্ষেতের মতো স্টেডিয়াম।
সাইকেল চালিয়ে এলেন সালমান খান। সঙ্গে আর জনা পঁচিশ সাইকেল আরোহী। অর্ধেক মাঠ ঘুরে হাত নাড়াতে নাড়াতে উঠে এলেন ‘লেটস ফুটবল’-এর মঞ্চে। নাচলেন দু’টো গানের সঙ্গে। ক্যাটরিনার চেয়ে সামান্য বেশি উচ্ছ্বাস। কেরল সিনেমা জগতের ‘শাহরুখ খান’ মামুটি একটা বল হাতে নিয়ে উঠলেন মঞ্চে। সগর্বে ঘোষণা করলেন, আমি কেরল ব্লাস্টার্সের সমর্থক। আবেগ সামান্য হলেও উপচে পড়ল।
মাঠের মধ্যে কখনও কেরলের সমুদ্রের শোভা। কখনও ফুটে উঠছে রং-এর আলপনা। যা অনন্ত ছটা হয়ে ঝরে পড়ছিল গ্যালারির আনাচে কানাচে। বাংলার ছৌ শিল্পীর দল যুদ্ধের ভঙ্গীতে দাঁড়িয়ে। তাদের নাচের আর গানের সঙ্গে মঞ্চে ট্রফি নিয়ে উঠে এলেন এটিকে অধিনায়ক ইয়র্দি মন্তেল। উল্টোদিকে শিকারের খোঁজে কেরলের ‘কালারি পাট্টা’-র দল তখন দাঁড়িয়ে বর্ম পরে, ঢাল আর লাঠি হাতে। সবুজ-রাজ্যের ঐতিহ্যের ‘চান্দা মেলম’-এর ছাতার নিচ দিয়ে কেরলের চার মেয়েকে নিয়ে মঞ্চে এলেন নীতা অম্বানী।
কিন্তু আলোর সার্চ লাইট পড়তেই দেখা গেল নিজের টিমের ক্যাপ্টেন সন্দেশ ঝিঙ্গন-কে নিয়ে দাঁড়িয়ে তিনি— শচিন টেন্ডুলকার। হলুদের রঙে রাঙিয়ে ওঠা তিন ঘণ্টার অপেক্ষমান গ্যালারি যেন সমুদ্রের তীব্র ঢেউয়ের চেহারা নিল মুহূর্তে। ব্যাট হাতে যখন নামতেন রানের-আবাহনে, সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরি করতেন অনায়াসে, তখন যেমন হতো, সেই দৃশ্য যেন ফিরে এল জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে।
তাঁর নামের সঙ্গে সঙ্গত করেই ‘মাস্টার্স ব্লাস্টার্স’-এর অনুকরণে তৈরি হয়েছে কেরল ব্লাস্টার্স। সালমন যখন ট্রফিটা দেখিয়ে শচিনকে প্রশ্ন করলেন, ‘কে পাবে ট্রফিটা এ বার?’ অধরা ট্রফিটার দিকে তাঁকিয়ে হলুদ জার্সি পরে আসা শচিন তাঁর সেই বিখ্যাত হাসি নিয়ে হাত রাখলেন পাশে দাঁড়ানো নিজের টিমের অধিনায়কের কাঁধে। আরও উথাল-পাথাল হয়ে উঠল আগুনে গ্যালারি। এভাবেই ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (আইএসএল) শচিনের ফুটবল আবাহনটাই বড় বেশি চোখে পড়ল কোচিতে।-আনন্দবাজার।

পোস্ট শেয়ার করুন

সালমান-ক্যাটরিনার মঞ্চে নায়ক শচিন

আপডেটের সময় : ০১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৭

মুহূর্তের মধ্যে পুরো স্টেডিয়াম অন্ধকার হয়ে গেল। আলোর একটা পাখি নেচে উঠল ঈশান কোণে। তার মধ্যে থেকে বেরিয়ে এলেন ক্যাটরিনা কাইফ। উঠে এলেন সঙ্গীদের নিয়ে মঞ্চে। ‘ধুম মাচা দে’-র সঙ্গে নাচলেন। রঙিন আলো ছিটকে পড়ল শরীর বেয়ে। সামান্য দুলল সর্ষেক্ষেতের মতো স্টেডিয়াম।
সাইকেল চালিয়ে এলেন সালমান খান। সঙ্গে আর জনা পঁচিশ সাইকেল আরোহী। অর্ধেক মাঠ ঘুরে হাত নাড়াতে নাড়াতে উঠে এলেন ‘লেটস ফুটবল’-এর মঞ্চে। নাচলেন দু’টো গানের সঙ্গে। ক্যাটরিনার চেয়ে সামান্য বেশি উচ্ছ্বাস। কেরল সিনেমা জগতের ‘শাহরুখ খান’ মামুটি একটা বল হাতে নিয়ে উঠলেন মঞ্চে। সগর্বে ঘোষণা করলেন, আমি কেরল ব্লাস্টার্সের সমর্থক। আবেগ সামান্য হলেও উপচে পড়ল।
মাঠের মধ্যে কখনও কেরলের সমুদ্রের শোভা। কখনও ফুটে উঠছে রং-এর আলপনা। যা অনন্ত ছটা হয়ে ঝরে পড়ছিল গ্যালারির আনাচে কানাচে। বাংলার ছৌ শিল্পীর দল যুদ্ধের ভঙ্গীতে দাঁড়িয়ে। তাদের নাচের আর গানের সঙ্গে মঞ্চে ট্রফি নিয়ে উঠে এলেন এটিকে অধিনায়ক ইয়র্দি মন্তেল। উল্টোদিকে শিকারের খোঁজে কেরলের ‘কালারি পাট্টা’-র দল তখন দাঁড়িয়ে বর্ম পরে, ঢাল আর লাঠি হাতে। সবুজ-রাজ্যের ঐতিহ্যের ‘চান্দা মেলম’-এর ছাতার নিচ দিয়ে কেরলের চার মেয়েকে নিয়ে মঞ্চে এলেন নীতা অম্বানী।
কিন্তু আলোর সার্চ লাইট পড়তেই দেখা গেল নিজের টিমের ক্যাপ্টেন সন্দেশ ঝিঙ্গন-কে নিয়ে দাঁড়িয়ে তিনি— শচিন টেন্ডুলকার। হলুদের রঙে রাঙিয়ে ওঠা তিন ঘণ্টার অপেক্ষমান গ্যালারি যেন সমুদ্রের তীব্র ঢেউয়ের চেহারা নিল মুহূর্তে। ব্যাট হাতে যখন নামতেন রানের-আবাহনে, সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরি করতেন অনায়াসে, তখন যেমন হতো, সেই দৃশ্য যেন ফিরে এল জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে।
তাঁর নামের সঙ্গে সঙ্গত করেই ‘মাস্টার্স ব্লাস্টার্স’-এর অনুকরণে তৈরি হয়েছে কেরল ব্লাস্টার্স। সালমন যখন ট্রফিটা দেখিয়ে শচিনকে প্রশ্ন করলেন, ‘কে পাবে ট্রফিটা এ বার?’ অধরা ট্রফিটার দিকে তাঁকিয়ে হলুদ জার্সি পরে আসা শচিন তাঁর সেই বিখ্যাত হাসি নিয়ে হাত রাখলেন পাশে দাঁড়ানো নিজের টিমের অধিনায়কের কাঁধে। আরও উথাল-পাথাল হয়ে উঠল আগুনে গ্যালারি। এভাবেই ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (আইএসএল) শচিনের ফুটবল আবাহনটাই বড় বেশি চোখে পড়ল কোচিতে।-আনন্দবাজার।