ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
মুসলিম কমিউনিটি মৌলভীবাজার এর কমিটি গঠন পবিত্র কাবা থেকে বদরের প্রান্তরে… কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম কে সংবর্ধনা দিয়েছে মনফালকনে গরিজিয়া বিএনপি ইতালির মিলানে রকমারি সাজে নানান আয়োজনে প্রবাসীদের বৈশাখী অনুষ্ঠান সম্পন্ন বর্তমান পরিস্থিতির উপর দেশবাসীকে যে বার্তা দিলেন শায়খ নূরে আলম হামিদী স্বাধিনতা মানে শুধুমাত্র নিজস্ব মানচিত্র অর্জন নয়, চাই বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা

রাখাল নৃত্যের মধ্যদিয়ে কমলগঞ্জে মণিপুরী রাসোৎসব শুরু

দেশদিগন্ত :
  • আপডেটের সময় : ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৯২১ টাইম ভিউ

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা আর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর থেকে মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী কমলগঞ্জের মাধবপুর জোড়া মন্ডপ প্রাঙ্গনে বর্ণময় শিল্পকলা সমৃদ্ধ বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী সম্প্রদায়ের ১৭৫ তম ও আদমপুরের তেতইগাঁও সানাঠাকুর মন্ডপ প্রাঙ্গনে মনিপুরী মৈ-তৈ সম্প্রদায়ের ৩২ তম মহারাসোৎসব শুরু হয়েছে।
মহা-রাসলীলা উপলক্ষে গত এক সপ্তাহ ধরে এ দুটি মন্ডপে ধুয়ামুছা আর সাজানোর কাজ শুরু হয়ে ছিল। সাদা কাগজের নকশায় নিপুন কারু কাজে সজ্জিত করা হয় মন্ডপগুলো। এই বছর প্রথম বারের মতো মাধবপুর জোড়ামন্ডপে ৩ দিন ব্যাপী রাসোৎসব পালন করা হচ্ছে। প্রথম দিন ২ নভেম্বর মৌলভীবাজার শহীদ মিনারে সকাল ১১টায় আনন্দ র‌্যালী মধ্য দিয়ে অনুষ্টানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলাম ও বিকালে ৫ টায় কমলগঞ্জের মাধবপুর শিববাজারে উন্মুক্ত মঞ্চে হোলি উৎসব অনুষ্টিত হয়। ২য় দিন ৩রা নভেম্বর শুক্রবার দিনে বেনীরাস/দিবারাস(সাহিত্যের ভাষা বেলীরাস)অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনের বেলায় শুরু হয়ে সৃর্যাস্তের আগেই শেষ হয়ে যায় বলে এই রাসলীলাকে বেলীরাস ও বলা হয়। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় মণিপুরী কৃর্তি সন্তানদের সম্মাননা প্রদান। সাধারন রাসলীলার সাথে এর আরেকটি পার্থক্য হলো এর পোষাক-পরিচ্ছদ, গান ও মুদ্রার ধরন সাধারন রাসলীলা থেকে কিছুটা ভিন্ন। মুল অনুষ্টান মহারাসলীলা শনিবার অনুষ্টিত হয়। এই দিন দুপুর থেকে রাখাল নৃত্য (গোষ্টলীলা) শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এই নৃত্য চলাকালীন সময় ভক্তরা মন্ডবে বাতাসা ছিঠিয়ে বাতাসা বৃষ্টি করেন। সেই বাতাসা আবার ভক্তরা কুঁড়িয়ে নেন। রাত্রিতে অনুষ্টিত হয় রাসোৎসব। রাসোৎসব উপলক্ষে রাত্রিতে  লাখো মানুষের মিলনতীর্থ পরিনত হয় মাধবপুর জোড়া মন্ডপ আর আদমপুরের সানাঠাকুর মন্ডপ এলাকা। মন্ডপে মণিপুরী শিশু নৃত্যশিল্পীদের সুনিপুন নৃত্যাভিনয় রাতভর মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের। মণিপুরী সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরাও মেতে উঠে একদিনের এই আনন্দে। মহারাত্রির আনন্দের পরশ পেতে আসা হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ নানা পেশার মানুষের পদচারনায় সকাল থেকে মুখরিত হয়ে উঠে মনিপুরী পল্লীর এ দুটি এলাকা।  রাসোৎসব উপলক্ষে ২টি এলাকায় পুলিশের চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। উৎসবকে কেন্দ্র করে ২টি স্থানেই বসেছে বিশাল মেলা। মেলায় নানা ধরনের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আলোচনা সভা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাত ১২টা থেকে চলবে শ্রীশ্রী কৃষ্ণের মহা রাসলীলানুসরণ। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সাঙ্গ হবে উৎসবের।

পোস্ট শেয়ার করুন

রাখাল নৃত্যের মধ্যদিয়ে কমলগঞ্জে মণিপুরী রাসোৎসব শুরু

আপডেটের সময় : ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০১৭

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা আর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর থেকে মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী কমলগঞ্জের মাধবপুর জোড়া মন্ডপ প্রাঙ্গনে বর্ণময় শিল্পকলা সমৃদ্ধ বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী সম্প্রদায়ের ১৭৫ তম ও আদমপুরের তেতইগাঁও সানাঠাকুর মন্ডপ প্রাঙ্গনে মনিপুরী মৈ-তৈ সম্প্রদায়ের ৩২ তম মহারাসোৎসব শুরু হয়েছে।
মহা-রাসলীলা উপলক্ষে গত এক সপ্তাহ ধরে এ দুটি মন্ডপে ধুয়ামুছা আর সাজানোর কাজ শুরু হয়ে ছিল। সাদা কাগজের নকশায় নিপুন কারু কাজে সজ্জিত করা হয় মন্ডপগুলো। এই বছর প্রথম বারের মতো মাধবপুর জোড়ামন্ডপে ৩ দিন ব্যাপী রাসোৎসব পালন করা হচ্ছে। প্রথম দিন ২ নভেম্বর মৌলভীবাজার শহীদ মিনারে সকাল ১১টায় আনন্দ র‌্যালী মধ্য দিয়ে অনুষ্টানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলাম ও বিকালে ৫ টায় কমলগঞ্জের মাধবপুর শিববাজারে উন্মুক্ত মঞ্চে হোলি উৎসব অনুষ্টিত হয়। ২য় দিন ৩রা নভেম্বর শুক্রবার দিনে বেনীরাস/দিবারাস(সাহিত্যের ভাষা বেলীরাস)অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনের বেলায় শুরু হয়ে সৃর্যাস্তের আগেই শেষ হয়ে যায় বলে এই রাসলীলাকে বেলীরাস ও বলা হয়। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় মণিপুরী কৃর্তি সন্তানদের সম্মাননা প্রদান। সাধারন রাসলীলার সাথে এর আরেকটি পার্থক্য হলো এর পোষাক-পরিচ্ছদ, গান ও মুদ্রার ধরন সাধারন রাসলীলা থেকে কিছুটা ভিন্ন। মুল অনুষ্টান মহারাসলীলা শনিবার অনুষ্টিত হয়। এই দিন দুপুর থেকে রাখাল নৃত্য (গোষ্টলীলা) শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এই নৃত্য চলাকালীন সময় ভক্তরা মন্ডবে বাতাসা ছিঠিয়ে বাতাসা বৃষ্টি করেন। সেই বাতাসা আবার ভক্তরা কুঁড়িয়ে নেন। রাত্রিতে অনুষ্টিত হয় রাসোৎসব। রাসোৎসব উপলক্ষে রাত্রিতে  লাখো মানুষের মিলনতীর্থ পরিনত হয় মাধবপুর জোড়া মন্ডপ আর আদমপুরের সানাঠাকুর মন্ডপ এলাকা। মন্ডপে মণিপুরী শিশু নৃত্যশিল্পীদের সুনিপুন নৃত্যাভিনয় রাতভর মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের। মণিপুরী সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরাও মেতে উঠে একদিনের এই আনন্দে। মহারাত্রির আনন্দের পরশ পেতে আসা হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ নানা পেশার মানুষের পদচারনায় সকাল থেকে মুখরিত হয়ে উঠে মনিপুরী পল্লীর এ দুটি এলাকা।  রাসোৎসব উপলক্ষে ২টি এলাকায় পুলিশের চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। উৎসবকে কেন্দ্র করে ২টি স্থানেই বসেছে বিশাল মেলা। মেলায় নানা ধরনের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আলোচনা সভা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাত ১২টা থেকে চলবে শ্রীশ্রী কৃষ্ণের মহা রাসলীলানুসরণ। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সাঙ্গ হবে উৎসবের।