ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

কুলাউড়ায় রেলওয়ের পুরাতন ও মুল্যবান গাছ কেটে নিচ্ছে সংঘবদ্ধচক্র-পুলিশ নির্বিকার

দেশদিগন্ত :
  • আপডেটের সময় : ১২:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৭
  • / ১০৯২ টাইম ভিউ

কুলাউড়া উপজেলায় রেলওয়ের পুরাতন ও মুল্যবান গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর সাথে জড়িত রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। রেলওয়ে পুলিশ রহস্যময় কারণে নির্বিকার। পুলিশকে বিষয়টি জানানোর পর গাছ কাটায় কোন বাঁধা পর্যন্ত দেয়নি। সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে কর্মকর্তারা একেকজন একেক রকম বক্তব্য দেন।

নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, ইতিপূর্বেও কুলাউড়া শাহবাজপুর রেললাইনের গেইটম্যানের ঘরের কাছ থেকে একটি গাছ, মনু রেলস্টেশন থেকে ২টি গাছ এবং টিলাগাঁও রেলস্টেশন থেকে গাছ কেটে একটি চক্র বিক্রি করে। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ গত ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে কুলাউড়া রেলস্টেশন থেকে সিলেটমুখী রেললাইনের কুলাউড়া ভূমি অফিস রেলক্রসিং এলাকায় একটি পুরাতন ও মুল্যবান রেইনট্রি গাছ শ্রমিকদের কাটতে দেখা যায়। গাছটির আনুমানিক মুল্য ৫০ হাজার টাকার বেশি হবে বলে জানান স্থানীয় লোকজন।

সরেজমিন ঘটনাস্থলে গেলে শ্রমিকরা জানায়, তারা উর্দ্ধতন প্রকৌশলী (আইডব্লিউ) মো. জুয়েল হোসাইনের নির্দেশে গাছ কাটছেন।

রেলওয়ে সুত্র জানায়, উত্তর কুলাউড়ার বাসিন্দা জনৈক আলগীরের কাছে গাছটি বিক্রি করা হয়েছে। তবে গাছ কাটার স্থলে অবশ্য আলমগীর নামক কোন ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি। তবে গাছ কাটায় নিয়োজিত শ্রমিকরাও আলমগীরের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

এব্যাপারে কুলাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল মাহমুদ জানান, আমি বিষয়টি জানেন না বলে জানান। রেলওয়ের সম্পদ এই গাছ রক্ষায় পুলিশের কি কোন ভুমিকা নেই?-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখছেন বলে জানান।

কুলাউড়া রেলওয়ের উর্দ্ধতন প্রকৌশলী (আইডব্লিউ) মো. জুয়েল হোসাইন জানান, উপজেলা ভূমি অফিস রোডের ঘন্টিঘর নির্মাণের জন্য। গাছ কাটার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন আছে কি-না? প্রশ্নের জবাবে আছে বলে জানান। বিষয়টি তিনি ফোনে নিশ্চিত করার জন্য সময় নেন। পরে তিনি অন্য ব্যক্তিকে দিয়ে নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

কুলাউড়ায় রেলওয়ের পুরাতন ও মুল্যবান গাছ কেটে নিচ্ছে সংঘবদ্ধচক্র-পুলিশ নির্বিকার

আপডেটের সময় : ১২:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৭

কুলাউড়া উপজেলায় রেলওয়ের পুরাতন ও মুল্যবান গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর সাথে জড়িত রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। রেলওয়ে পুলিশ রহস্যময় কারণে নির্বিকার। পুলিশকে বিষয়টি জানানোর পর গাছ কাটায় কোন বাঁধা পর্যন্ত দেয়নি। সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে কর্মকর্তারা একেকজন একেক রকম বক্তব্য দেন।

নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, ইতিপূর্বেও কুলাউড়া শাহবাজপুর রেললাইনের গেইটম্যানের ঘরের কাছ থেকে একটি গাছ, মনু রেলস্টেশন থেকে ২টি গাছ এবং টিলাগাঁও রেলস্টেশন থেকে গাছ কেটে একটি চক্র বিক্রি করে। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ গত ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে কুলাউড়া রেলস্টেশন থেকে সিলেটমুখী রেললাইনের কুলাউড়া ভূমি অফিস রেলক্রসিং এলাকায় একটি পুরাতন ও মুল্যবান রেইনট্রি গাছ শ্রমিকদের কাটতে দেখা যায়। গাছটির আনুমানিক মুল্য ৫০ হাজার টাকার বেশি হবে বলে জানান স্থানীয় লোকজন।

সরেজমিন ঘটনাস্থলে গেলে শ্রমিকরা জানায়, তারা উর্দ্ধতন প্রকৌশলী (আইডব্লিউ) মো. জুয়েল হোসাইনের নির্দেশে গাছ কাটছেন।

রেলওয়ে সুত্র জানায়, উত্তর কুলাউড়ার বাসিন্দা জনৈক আলগীরের কাছে গাছটি বিক্রি করা হয়েছে। তবে গাছ কাটার স্থলে অবশ্য আলমগীর নামক কোন ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি। তবে গাছ কাটায় নিয়োজিত শ্রমিকরাও আলমগীরের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

এব্যাপারে কুলাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল মাহমুদ জানান, আমি বিষয়টি জানেন না বলে জানান। রেলওয়ের সম্পদ এই গাছ রক্ষায় পুলিশের কি কোন ভুমিকা নেই?-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখছেন বলে জানান।

কুলাউড়া রেলওয়ের উর্দ্ধতন প্রকৌশলী (আইডব্লিউ) মো. জুয়েল হোসাইন জানান, উপজেলা ভূমি অফিস রোডের ঘন্টিঘর নির্মাণের জন্য। গাছ কাটার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন আছে কি-না? প্রশ্নের জবাবে আছে বলে জানান। বিষয়টি তিনি ফোনে নিশ্চিত করার জন্য সময় নেন। পরে তিনি অন্য ব্যক্তিকে দিয়ে নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন।