সামাজিক ব্যবস্থা কমে যাওয়ায় সন্ত্রাস বাড়ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- আপডেটের সময় : ১১:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৭
- / ১২০৮ টাইম ভিউ
দেশে দীর্ঘদিনের প্রচলিত সামাজিক ব্যবস্থা কমে যাওয়ায় সন্ত্রাস বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে শনিবার সকালে কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। দেশে প্রথমবারের মতো আজ পালিত হয় কমিউনিটি পুলিশিং ডে।
এর আগে সকাল ১০টায় ডিএমপি সদর দপ্তরের সামনে শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়ে দিনের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ।
এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএমপি সদর দপ্তরের সামনে থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শোভাযাত্রা বের করেন। সেটি কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশের রূপান্তর ও জরগণের সঙ্গে নৈকট্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘দশ বছর আগের পুলিশ আর এখনকার পুলিশ এক নয়। জঙ্গি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে জনতা পুলিশকে সহযোগিতা করছে। আগে গ্রাম-পাড়া-মহল্লায় স্থানীয় মাতব্বররা যে সামাজিক কর্মকাণ্ড করতেন, সেটাই এখন কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যরা করছেন।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এলাকায় যে সামাজিক ব্যবস্থা ছিল, সেটা কমে যাওয়ায় সন্ত্রাস বাড়ছে। কমিউনিটি পুলিশ জোরদার হলে সবাইকে নিরাপত্তা দেওয়া যাবে। ছোট ছোট বিরোধ উৎসের সময়ই শেষ করে দিতে পারলে থানায় আর মামলা করতে হবে না। এটাও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কাজ।’
দুই দফায় ইতিমধ্যে ৮০ হাজার পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘পুলিশকে অনেক সুবিধা দিতে পারি না । তবে এ বছর যথেষ্ট পরিমাণ গাড়ি ডিএমপির জন্য কেনা হয়েছে।’ পুলিশের অন্য সমস্যাগুলো দূর করার জন্য কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
অুনষ্ঠানের বিশেষ অতিথি আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং হলো জনগণের কাছে পুলিশের জবাবদিহি করা। দেশের জনগণের সঙ্গে থানা-পুলিশের দূরত্ব কমলেই কমিউনিটি পুলিশিং সফল হবে। নাগরিক দায়িত্ব জাগিয়ে তোলা ও সংগঠিত করাই কমিউনিটি পুলিশিংয়ের লক্ষ্য বলে জানান তিনি।
আলোচনা সভার সভাপতি ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘কমিউনিটি পুলিশ সক্রিয় হলে মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাস, ইভ টিজিং ও বাল্যবিবাহ থাকবে না। দেশে একের পর এক জঙ্গিবিরোধীসহ অন্যান্য অভিযানে কমিউনিটি পুলিশ আমাদের সঙ্গে ছিল।’
কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে পুলিশের আট বিভাগ থেকে আটজন সদস্যকে ও বিট পুলিশিংয়ের কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করা হয়।
এখন থেকে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ শনিবার কমিউনিটি পুলিশিং ডে বাংলাদেশের সব পুলিশ ইউনিটে পালন করা হবে।