বড়লেখায় একই রশিতে দু’জনের ঝুলন্ত মরদেহ
- আপডেটের সময় : ০২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭
- / ১০২০ টাইম ভিউ
বড়লেখায় একই রশিতে ঝুলে দুই চা শ্রমিক তরুণ-তরুণী আত্মহত্যা করেছে। উপজেলার সীমান্তবর্তী শাহবাজপুর ইউনিয়নের পাল্লাতল চা বাগানের ১০ নম্বর চা সেকশনে একটি ছায়াবৃক্ষের সাথে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় ১৫ অক্টোবর রোববার দুপুরে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করেছে। এরা হচ্ছে চা বাগানের শ্রমিক সুদাম ধার্মী দাসের মেয়ে হৈমন্তী ধার্মী দাস (১৮) ও মিন্টু কেলীর ছেলে আকাশ কেলী (২০)। পুলিশের ধারণা ভোরের দিকে তারা গলায় ফাঁস লেগে আত্মহত্যা করেছে। কি কারণে তারা আত্মহত্যা করেছে তা নিশ্চিত না হলেও অনেকে মনে করছেন দুইজনের মধ্যে হয়তো প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবার মেনে না নেয়ায় শেষ পর্যন্ত প্রেমিক জুটি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১টার দিকে এ দুই চা শ্রমিক তরুণ-তরুণী নিখোঁজ হয়। পরিবারের সদস্যরা রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধান পায়নি। রোববার ভোরের দিকে শ্রমিকরা ঘুম থেকে ওঠে চা সেকশনে গেলে টিলায় একটি গাছের সাথে দুইজনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে পুলিশ দুপুর ১টার দিকে লাশ দুইটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত শেষে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা দুইজনের মধ্যে হয়তো প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবার সেটা মেনে না নেয়ায় প্রেমিক জুটি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সেলিম আহমদ খান জানান, নিহতরা চা বাগানের নিয়মিত শ্রমিক। আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশের সাথে তিনিও ঘটনাস্থলে যান। নিহত তরুণীর বাবা সুদাম ধার্মী দাস তাকে জানিয়েছেন রাত ১টা পর্যন্ত মেয়ে ঘরে ছিল। মেয়ের প্রেম-প্রণয়ের কোন ঘটনা তার জানা নেই।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ সহিদুর রহমান নিহতদের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার রাতে তারা নিখোঁজ হয়। রাত ১টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ দুইজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবার হয়ত তা মেনে নেয়নি। এজন্য তারা একসাথে আত্মহত্যা করেছে।