হাজীপুর বিএনপির অন্তর্দন্দে : ইউনিয়ন ছাত্রদলের ২ নেতা কারাগারে

- আপডেটের সময় : ০১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
- / ১২৪ টাইম ভিউ
হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে আহত হয়েছিলেন দুই বিএনপি নেতা। আর ওই ঘটনায় আদালতে দায়েরকৃত মামলায় ইউনিয়ন ছাত্রদলের ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এম পাভেল আহমেদসহ তার সহোদর ছাত্রদল নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলে সদস্য করা নিয়ে দলীয় কোন্দলের জেরে বিএনপির ২ কর্মীকে আহত করার ঘটনায় জুডিশিয়াল আদালতে দায়েরকৃত একটি মামলায় জামিন নিতে গেলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। ঘটনার পর থেকে ইউপি বিএনপি বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েও সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে। এ নিয়ে এখন দলীয় কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ কর্মীদের অভিযোগ হাজীপুর ইউনিয়ন ও কুলাউড়া উপজেলার বিএনপি নেতারা এই ঘটনায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী এবং স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত এপ্রিল মাসে হাজীপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর বিলেরপার ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিলে জন্য নুরুল ইসলাম নামক এক কর্মীকে ভোটার করা নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুবেদ আলম ও ইউনিয়ন যুবদল নেতা ও ইউনিয়ন আহবায়ক কমিটির সদস্য সাহেদুর রহমান শাহেদের সমর্থকেরা বিরোধে জড়িয়ে পড়েন।বিশেষ করে দক্ষিণ কেওলাকান্দি গ্রামের নুরুল ইসলাম নামক এক কর্মীর ভোট তুলতে বাধা দেন পাভেল সহ নেতাকর্মীরা। অপরদিকে নুরুলকে ভোটার করার পক্ষে অবস্থান নেন সাহেদুর রহমান শাহেদরা। এনিয়ে গত ২০ এপ্রিল হাজীপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলের পর হাজীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মিমাংসার জন্য বসেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও কাউন্সিলের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত সমন্বয়ক শামিম আহমেদ চৌধুরী সহ ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ দুই পক্ষ নিয়ে বসেন ।
বৈঠকে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক জুবেদ আলমের বক্তব্য চলাকালে একপর্যায়ে উভয় পক্ষের তর্কবিতর্ক শুরু হয়। বিএনপি নেতা শাহেদুর রহমান শাহেদ অভিযোগ করেন, ওই ঘটনার জের ধরে ওইদিন রাতে পাভেলের বাড়ির সামনে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার ভাই জাহিদসহ দলের নেতাকর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। হামলায় আমার ভাই জাহিদুর (৪৮) ও নুরুল ইসলামের ভাই জাহিদুল ইসলাম নামক ২ জন আহত হন। এর জের ধরে আদালতে মামলা করেন ভিকটিমের ভাই নুরুল ইসলাম ।
আইনজীবী সুত্রে জানা যায় বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাভেল ও হিমেল হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সাহেদুর রহমান শাহেদ বলেন, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন বিষয়ে ফেইসবুকে ফেইক আইডি খুলে এলাকার মসজিদ মাদ্রাসা কবরস্থান এমনি রাজনৈতিক বিষয়ে বিভিন্ন জনের চরিত্র হনন করে আসছে।এখন এক বিএনপি কর্মীকে আওয়ামী লীগ আখ্যা দিয়ে ভোট তুলতে বাধা সৃষ্টি করে। আমরা প্রতিবাদী হলে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে জানতে অপর পক্ষের জুবেদ আলম সহ কাউকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বিধান চন্দ্র দে বলেন, এই ঘটনা জানার পর ইউনিয়ন এবং উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পক্ষগুলোর অসহযোগিতার কারণে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়নি।