পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন
- আপডেটের সময় : ১১:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
- / ৩৩০ টাইম ভিউ
ইতিহাস ঐতিহ্য নিদর্শনের দেশ পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। বৈধ বা অবৈধপথে আসতে পারলেই খুব সহজেই বসবাসের জন্য সুযোগ ছিলো।
গতকাল থেকে বৈধ পথে টুরিস্ট বা যেকোনো ভিসা বা অবৈধপথে পর্তুগালে প্রবেশ করতে পারলেই দেশটিতে বসবাসের অনুমতি পাওয়ার সেই সুযোগ আর থাকছে না। এ আবেদন প্রক্রিয়াটি অভিবাসীদের কাছে ‘সেফ এন্ট্রি’ হিসেবে পরিচিত ছিল; যা গতকাল তিন জুন রাত বারো ঘটিকায় বাতিল হয়ে যায় ।
গত ৩ জুন পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী মনটিনিগ্রো মন্ত্রিসভার মিটিং শেষে তারা নতুন সরকারের অভিবাসন নীতি উপস্থাপন করেন। নতুন অভিবাস নীতিতে ৪১টি প্রস্তাবনা রয়েছে; যা বর্তমানে পর্তুগালের অভিবাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্সি মন্ত্রী আন্তোনিও লেইতাও আমারো বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন।
তাতে যেসব অভিবাসী পর্তুগালে কাজ করতে চান তাদের নির্দিষ্ট ভিসার জন্য এখন থেকে পর্তুগিজ কনস্যুলেটে আবেদন করতে হবে, অন্যথায় তারা পর্তুগালে নিয়মিত হতে পারবেন না। তবে পর্তুগিজ ভাষাভাষী দেশগুলোর জন্য বর্তমান অবস্থান বজায় থাকবে। এছাড়া এ প্রস্তাবনায় দক্ষ কর্মীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সরকার আরও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করার সুপারিশ করেছে । তবে শিক্ষার কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর তৃতীয় দেশের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত হওয়ার কি প্রক্রিয়া হবে সে বিষয়টি স্পষ্ট করেনি। তবে পর্তুগিজ ভাষাভাষী দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে নিশ্চিত করেছে সরকার।
নতুন প্রস্তাবনায় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পর্তুগিজ কনস্যুলেটর সেবার মান বৃদ্ধি, বর্তমান অভিবাসন সংস্থা আইমার পুনর্গঠন, অভিবাসীদের জন্য পুলিশের একটি আলাদা ইউনিট তৈরি, বর্ডার নিয়ন্ত্রণের কার্যকর ব্যবস্থা এবং আশ্রয় প্রার্থীদের জন্য বিভিন্ন সেন্টার তৈরি করা এবং তাদের আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী দ্রুত সাড়া দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে ।
এই আইন কার্যকর হওয়ার পর অন্যান্য দেশের নাগরিকদের পর্তুগালের নিয়মিত হওয়া অনেকটাই কঠিন হবে বলে ধারনা করছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তানসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে ইতোমধ্যে যারা উল্লেখ্যযোগ্যসংখ্যক হারে পর্তুগাল এসেছেন।
নবগঠিত সরকারের পরিকল্পনাটি উপস্থাপনের দুই ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতি এ ডিক্রি অনুমোদন করেন। রাষ্ট্রপতির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ডিক্রি অনুমোদনের পরদিন অর্থাৎ চলতি বছরের ৪ জুন থেকে এ আইনের প্রক্রিয়াগুলো কার্যকর হচ্ছে।