সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলার ডুবি, ১০ ঘণ্টা পর ১৫ জেলে জীবিত উদ্ধার
- আপডেটের সময় : ১২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
- / ৩৫৯ টাইম ভিউ
সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ১৫ মাঝি-মাল্লা নিয়ে চরফ্যাশন উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের এফবি রিফাত নামের একটি সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১০ ঘণ্টা পর অন্য একটি ট্রলারে সহযোগিতায় ১৫ জেলে জীবিত উদ্ধার হলেও মাছ ধরার ট্রলারটি গভীর সাগরে তলিয়ে গেছে। গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে গভীর সমুদ্রে ট্রলারটি ডুবে যায়। পরদিন রবিবার বেলা ১১টার দিকে নোয়াখালীর আলেকজেন্ডার এলাকার একটি ট্রলার সাগর থেকে মাছ ধরে ফেরার পথে ভেসে থাকা ১৫ জেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। মঙ্গলবার দুপুরে অন্য একটি ট্রলারে করে আলেকজেন্ডার থেকে চরফ্যাশনের মাদ্রাজ ইউনিয়নের সামরাজ মৎস্য ঘাটে এসে পৌছান জেলেরা। তবে ডুবে যাওয়া ট্রলার ও ট্রলারে থাকা জাল এবং অন্যান্য কোনো সরঞ্জাম উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ট্রলারের মালিক চান শরিফ মাঝি জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকেলে চরফ্যাশনের সামরাজ ঘাট থেকে ১৪ জন জেলে নিয়ে গভীর সাগরে মাছ শিকারে যান তিনি। শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে তাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। এ অবস্থায় তারা সবাই ট্রলারে থাকা কাঠ-বাঁশ ধরে সমুদ্রে ভেসে থাকেন। পরদিন বেলা ১১টার দিকে আলেকজেন্ডার এলাকার একটি ট্রলার তাদেরকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে। কিন্তু চোখের সামনে নিজের ট্রলারটি ডুবন্ত অবস্থায় রেখেই তারা ওই জেলেদের সঙ্গে চলে আসেন। এরপর সোমবার দুপুরের দিকে তারা ভোলায় এসে পৌঁছান। পরে জেলেরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যায়। তিনি আরো জানান, প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনি এ ট্রলারটি তৈরি করে এবারই প্রথম সাগরে গিয়েছেন। মানুষের কাছ থেকে ধার করে ২২ লাখ টাকা নিয়ে এ ট্রলারটি তৈরি করেছেন চান শরিফ। ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যাওয়ায় এখন দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এ অবস্থায় সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। চরফ্যাশন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, সমুদ্রে ট্রলার ডুবির ঘটনাটি আমাদেরকে কেউ অবহিত করেনি। সম্ভবত সবাই জীবিত উদ্ধার হওয়ায় আমাদেরকে জানায়নি। এরপরও ক্ষতিগ্রস্থ জেলেরা আবেদন করলে আমার তাদেরকে উপজেলা পরিষদ থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার চেষ্টা করবো