ঢাকা , সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
৫ বছরে নাগরিকত্ব কে ১০ বছর নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পর্তুগাল বিপুল আনন্দ উল্লাসে শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন তোমার পরীক্ষা না নিলে,দেশবাসী তোমার পার্শ্বে – এডভোকেট আবেদ রাজা কুলাউড়ায় বিএনপির প্রার্থী চায় স্হানীয় নেতা কর্মিরা পর্তুগাল বিএনপির আসন্ন কমিটি এম এ হাকিম মিনহাজের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ঘোষণা পর্তুগালের আলমাদা তে সন্ত্রাসীর গুলিতে সিলেটের যুবক নিহত ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক সহ ভারতের গুজরাতে বিমানের বিধ্বস্ত কুলাউড়া সহ প্রবাসীদের আবেদ রাজা’র ঈদ শুভেচ্ছা ড, সাইফুল আলম চৌধুরী’র ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা বদরুল আলম চৌধুরীর ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা

শোক দিবসে ওবায়দুল কাদের এর ফ্যাশন নিয়ে ট্রল

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০১:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০
  • / ৫০০ টাইম ভিউ

১৫ই আগস্টের শোকের মাসেও ফ্যাশন আইকন হিসেবে প্রবীণ রাজনীতিক ওবায়দুল কাদের আলোচনার পাদপ্রদীপে এলেন। তবে কথিতমতে এদিন (১৫ই আগস্ট) সমালোচনার মুখে ১১টি ফ্যাশনেবল ছবি সরিয়ে নেয়ার পরে যা করেছেন, তাতে সবার চক্ষু চড়কগাছ। প্রতীয়মান হয় যে, দলের একনিষ্ঠ কর্মীরাও ভীষণ রকম হতাশ ও বিপন্ন বোধ করছেন। ৩১০টি মন্তব্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ট্রল আছে।
১৫ই আগস্টে কি করে তিনি এরকম পোজ দিয়ে ছবি তুলতে দিলেন, সেটাই কোটি টাকা দামের প্রশ্ন। এই ছবিটির সঙ্গে অন্য আরো কিছু ছবি রয়েছে। তবে পাঠকরা তার ওষ্ঠাধারে বঙ্কিম হাসি সম্বলিত সোফায় বসা ছবিটিকেই টার্গেট করেছেন।
মাসুম আল রশীদ লিখেছেন, ‘স্যারের মুখে শোক দিবসের হাসিটাও শিখলাম।’
মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল লিখেছেন, শোক দিবসের হাসিটা এমনই হওয়া উচিত…. হালকা কান্নার সমন্বয়ে একটি ট্রেডমার্ক হাসি। প্রাউড অফ ইউ স্যার । আহমদ মুসা লিখেছেন, স্যারের মুখে হালকা হাসি দেখে যারা ট্রল করছেন, তারা কি স্যারের মুখে কান্নার ভাব দেখলে ট্রল করতেন না.? ট্রলকারীদের নিকট প্রশ্ন রেখে গেলাম।

শাহাদত হোসেন শান্ত লিখেছেন, এই অমলিন হাসি শোক দিবসে।
এটাই আপনাদের মনে? মোহাম্মদ আনোয়ার কলমি লিখেছেন, ‘‘স্যাড ডে বলেন আর ভিক্টোরি ডে বলেন, বসের এক্সপ্রেসন অলওয়েস সেইম। সো নো ট্রল -ওকে ?’’ খায়রুল বাশার রাহা লিখেছেন, শোক দিবসে হাসিটা যেনো একটু কম হয়ে গেলো। প্রিয় নেতা। আবদুল গফফারের মন্তব্য : ‘লজ্জা লজ্জা। ছি ছি। শাহরিয়ার শান রিফাত বলেন, ‘প্লেবয়।’ হাসান সরকার বলেন, শোক পালন নাকি ফটো সেশন। মোহাম্ম জুহা লিখেছেন, মিসিং দ্যা ক্যাপশান। এঞ্জয়িং শোক দিবস।
আশিকুর রহমান শোভন লিখেছেন, ‘নেত্রী আর তার পরিবার ছাড়া আর কেউ ১৫ আগষ্টের শোক মন থেকে ধারন করে না এর উদাহারণ হলো ইনি।’’
করোনাকালেই সবথেকে বেশি ফ্যাশনেবল আলোকচিত্র পোস্ট হয়েছে তার ফেসবুকে। বিভিন্ন পোজে শত শত ছবি। তবে অনেকেই বিস্ময়ে বিমূঢ় হলেন ১৫ই আগস্টের দিনটিতেও কালো পোশাক পরিহিত তাঁর একাধিক ছবি পোস্ট হওয়ার ঘটনায়। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসক রুমি আহমেদ খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল আলাদাভাবে তাদের নিজ নিজ ফেসবুকে এর সমালোচনা করেছেন। উভয়ের ফেসবুক পোস্টে তাদের বন্ধুরা কমেন্টস করেছেন। তার বেশিরভাগ পোস্টেই জাতীয় শোকদিবসে ফ্যাশন সচেতনতা বা ফ্যাশন প্রদর্শনীর ঘটনায় যথেষ্ট বিস্ময় প্রকাশ পেয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অফিশিয়াল ফেসবুক কে বা কারা চালায়, তা নিয়ে তার ফেসবুকেও প্রশ্ন উঠেছে। ডা. রুমি আহমেদের পোস্টে বলা হয়েছে, সমালোচনার মুখে জনাব কাদেরের ছবিগুলো সরানো হয়েছে। কিন্তু ১৭ আগস্ট সোমবারে দেখা যায়, তিনি যে ফ্যাশন করেছিলেন, সেটার চিহ্ন রয়ে গেছে। ফেসবুক পেজটি খতিয়ে দেখা গেল, ১৫ আগস্টের শোকের মাসে তুলনামূলক বিচারে অতীতের যে কোনো মাসের চেয়ে বেশি ফ্যাশনেবেল ছবি পোস্ট করেছেন তিনি।
৩১শে জুলাই ২০২০ সালে ৭টি ছবি পোস্ট করার পরের দিন শোকের মাস শুরু। ৩রা আগস্ট তিনি ঈদ মোবারক জানিয়ে ১২টি, ৯ আগস্টে ১০টি, ১২ আগস্টে ৯টি ছবি পোস্ট করেন। তবে ১৫ই আগস্টে তিনি যে ফ্যাশন করে এগারোটি ছবি পোস্ট করেছিলেন, সেটা জানা সম্ভব হয়নি। তবে জনাব কাদেরের ফেসবুকে সরিয়ে ফেলা ছবিগুলোর একটা স্ক্রিন শট সেখানে আছে। সে সম্পর্কে জনৈক পাঠক মন্তব্য করেছেন, ‘এই আবালের আইডি চালায় কে?!!! তাকে অনেক সাপোর্ট দিয়েছি.. এখন তো বুঝলাম ফেবুতে আওয়ামী লীগরা উনাকে গালি দেয় কেনো ???? এখন থেকে আমিও দিবো

সুত্র- মানবজমিন

পোস্ট শেয়ার করুন

শোক দিবসে ওবায়দুল কাদের এর ফ্যাশন নিয়ে ট্রল

আপডেটের সময় : ০১:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০

১৫ই আগস্টের শোকের মাসেও ফ্যাশন আইকন হিসেবে প্রবীণ রাজনীতিক ওবায়দুল কাদের আলোচনার পাদপ্রদীপে এলেন। তবে কথিতমতে এদিন (১৫ই আগস্ট) সমালোচনার মুখে ১১টি ফ্যাশনেবল ছবি সরিয়ে নেয়ার পরে যা করেছেন, তাতে সবার চক্ষু চড়কগাছ। প্রতীয়মান হয় যে, দলের একনিষ্ঠ কর্মীরাও ভীষণ রকম হতাশ ও বিপন্ন বোধ করছেন। ৩১০টি মন্তব্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ট্রল আছে।
১৫ই আগস্টে কি করে তিনি এরকম পোজ দিয়ে ছবি তুলতে দিলেন, সেটাই কোটি টাকা দামের প্রশ্ন। এই ছবিটির সঙ্গে অন্য আরো কিছু ছবি রয়েছে। তবে পাঠকরা তার ওষ্ঠাধারে বঙ্কিম হাসি সম্বলিত সোফায় বসা ছবিটিকেই টার্গেট করেছেন।
মাসুম আল রশীদ লিখেছেন, ‘স্যারের মুখে শোক দিবসের হাসিটাও শিখলাম।’
মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল লিখেছেন, শোক দিবসের হাসিটা এমনই হওয়া উচিত…. হালকা কান্নার সমন্বয়ে একটি ট্রেডমার্ক হাসি। প্রাউড অফ ইউ স্যার । আহমদ মুসা লিখেছেন, স্যারের মুখে হালকা হাসি দেখে যারা ট্রল করছেন, তারা কি স্যারের মুখে কান্নার ভাব দেখলে ট্রল করতেন না.? ট্রলকারীদের নিকট প্রশ্ন রেখে গেলাম।

শাহাদত হোসেন শান্ত লিখেছেন, এই অমলিন হাসি শোক দিবসে।
এটাই আপনাদের মনে? মোহাম্মদ আনোয়ার কলমি লিখেছেন, ‘‘স্যাড ডে বলেন আর ভিক্টোরি ডে বলেন, বসের এক্সপ্রেসন অলওয়েস সেইম। সো নো ট্রল -ওকে ?’’ খায়রুল বাশার রাহা লিখেছেন, শোক দিবসে হাসিটা যেনো একটু কম হয়ে গেলো। প্রিয় নেতা। আবদুল গফফারের মন্তব্য : ‘লজ্জা লজ্জা। ছি ছি। শাহরিয়ার শান রিফাত বলেন, ‘প্লেবয়।’ হাসান সরকার বলেন, শোক পালন নাকি ফটো সেশন। মোহাম্ম জুহা লিখেছেন, মিসিং দ্যা ক্যাপশান। এঞ্জয়িং শোক দিবস।
আশিকুর রহমান শোভন লিখেছেন, ‘নেত্রী আর তার পরিবার ছাড়া আর কেউ ১৫ আগষ্টের শোক মন থেকে ধারন করে না এর উদাহারণ হলো ইনি।’’
করোনাকালেই সবথেকে বেশি ফ্যাশনেবল আলোকচিত্র পোস্ট হয়েছে তার ফেসবুকে। বিভিন্ন পোজে শত শত ছবি। তবে অনেকেই বিস্ময়ে বিমূঢ় হলেন ১৫ই আগস্টের দিনটিতেও কালো পোশাক পরিহিত তাঁর একাধিক ছবি পোস্ট হওয়ার ঘটনায়। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসক রুমি আহমেদ খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল আলাদাভাবে তাদের নিজ নিজ ফেসবুকে এর সমালোচনা করেছেন। উভয়ের ফেসবুক পোস্টে তাদের বন্ধুরা কমেন্টস করেছেন। তার বেশিরভাগ পোস্টেই জাতীয় শোকদিবসে ফ্যাশন সচেতনতা বা ফ্যাশন প্রদর্শনীর ঘটনায় যথেষ্ট বিস্ময় প্রকাশ পেয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অফিশিয়াল ফেসবুক কে বা কারা চালায়, তা নিয়ে তার ফেসবুকেও প্রশ্ন উঠেছে। ডা. রুমি আহমেদের পোস্টে বলা হয়েছে, সমালোচনার মুখে জনাব কাদেরের ছবিগুলো সরানো হয়েছে। কিন্তু ১৭ আগস্ট সোমবারে দেখা যায়, তিনি যে ফ্যাশন করেছিলেন, সেটার চিহ্ন রয়ে গেছে। ফেসবুক পেজটি খতিয়ে দেখা গেল, ১৫ আগস্টের শোকের মাসে তুলনামূলক বিচারে অতীতের যে কোনো মাসের চেয়ে বেশি ফ্যাশনেবেল ছবি পোস্ট করেছেন তিনি।
৩১শে জুলাই ২০২০ সালে ৭টি ছবি পোস্ট করার পরের দিন শোকের মাস শুরু। ৩রা আগস্ট তিনি ঈদ মোবারক জানিয়ে ১২টি, ৯ আগস্টে ১০টি, ১২ আগস্টে ৯টি ছবি পোস্ট করেন। তবে ১৫ই আগস্টে তিনি যে ফ্যাশন করে এগারোটি ছবি পোস্ট করেছিলেন, সেটা জানা সম্ভব হয়নি। তবে জনাব কাদেরের ফেসবুকে সরিয়ে ফেলা ছবিগুলোর একটা স্ক্রিন শট সেখানে আছে। সে সম্পর্কে জনৈক পাঠক মন্তব্য করেছেন, ‘এই আবালের আইডি চালায় কে?!!! তাকে অনেক সাপোর্ট দিয়েছি.. এখন তো বুঝলাম ফেবুতে আওয়ামী লীগরা উনাকে গালি দেয় কেনো ???? এখন থেকে আমিও দিবো

সুত্র- মানবজমিন