ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘এমপিওভুক্ত না হওয়ায়’ স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১১:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০
  • / ৬০৯ টাইম ভিউ

এইতো কয়েকদিন আগে নতুন এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে পুরোনো নতুনসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শর্ত পূরণ না করায় এমপিও থেকে বাদ পড়েছে।

আর সেই বাদ পড়ার তালিকায় রয়েছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পটুয়াখালী কৃষি ডিপ্লোমা নামের একটি ইনস্টিটিউট। যার ফলে এই প্রতিষ্ঠানের জুয়েল আহম্মেদ (৩০) নামে এক শিক্ষক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ির ছাদের পিলারে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি। খবর পেয়ে সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। জুয়েল আহম্মেদ উপজেলার জোতরাঘব এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।

পরিবার বলছে, দেড় বছর আগে বিয়ে করেছিলেন ওই শিক্ষক। কিন্তু তার চাকরি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় দাম্পত্য কলহ চরমে পৌঁছে। ছয় মাসের মাথায় স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে চলে যান। এরপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই শিক্ষক। এর আগেও চাকরি না হওয়া নিয়ে দুই দফা আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তিনি। শেষে চাকরি হলেও তিনি এমপিওভুক্ত হতে পারেননি।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রাথমিক আলামত দেখে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এনিয়ে তার পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়। এনিয়ে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

পোস্ট শেয়ার করুন

‘এমপিওভুক্ত না হওয়ায়’ স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা

আপডেটের সময় : ১১:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০

এইতো কয়েকদিন আগে নতুন এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে পুরোনো নতুনসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শর্ত পূরণ না করায় এমপিও থেকে বাদ পড়েছে।

আর সেই বাদ পড়ার তালিকায় রয়েছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পটুয়াখালী কৃষি ডিপ্লোমা নামের একটি ইনস্টিটিউট। যার ফলে এই প্রতিষ্ঠানের জুয়েল আহম্মেদ (৩০) নামে এক শিক্ষক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ির ছাদের পিলারে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি। খবর পেয়ে সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। জুয়েল আহম্মেদ উপজেলার জোতরাঘব এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।

পরিবার বলছে, দেড় বছর আগে বিয়ে করেছিলেন ওই শিক্ষক। কিন্তু তার চাকরি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় দাম্পত্য কলহ চরমে পৌঁছে। ছয় মাসের মাথায় স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে চলে যান। এরপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই শিক্ষক। এর আগেও চাকরি না হওয়া নিয়ে দুই দফা আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তিনি। শেষে চাকরি হলেও তিনি এমপিওভুক্ত হতে পারেননি।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রাথমিক আলামত দেখে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এনিয়ে তার পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়। এনিয়ে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।