ঢাকা , শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পবিত্র কাবা থেকে বদরের প্রান্তরে… কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম কে সংবর্ধনা দিয়েছে মনফালকনে গরিজিয়া বিএনপি ইতালির মিলানে রকমারি সাজে নানান আয়োজনে প্রবাসীদের বৈশাখী অনুষ্ঠান সম্পন্ন বর্তমান পরিস্থিতির উপর দেশবাসীকে যে বার্তা দিলেন শায়খ নূরে আলম হামিদী স্বাধিনতা মানে শুধুমাত্র নিজস্ব মানচিত্র অর্জন নয়, চাই বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন

ভয়ংকর একটা সময়ের মধ্য দিয়ে পথ চলছে আমাদের প্রজন্ম!.

প্রভাষক শিপার আহমেদ
  • আপডেটের সময় : ১১:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২
  • / ২২৮ টাইম ভিউ

ভয়ংকর একটা সময়ের মধ্য দিয়ে পথ চলছে আমাদের প্রজন্ম!….

সেই যে কবে অনলাইন পাঠদানের উছিলায় শিশুদের হাতে মোবাইল তুলে দেওয়া হলো, সেই মোবাইল এখন আর হাত থেকে সরানোও যাচ্ছে না।
লেখাপড়ার মানটাও এখন আর আগের মতো নেই। সেদিন একটা জরুরি কাজে ক্লাসে পাঠদানরত শিক্ষকের সাথে দেখা করতে শ্রেণি কক্ষে ঢুকেছিলাম। ক্লাসটা ছিল স্নাতক শ্রেণির। আমি একটা ফাঁকে ছাত্র-ছাত্রীদের জিজ্ঞেস করেছিলাম…. “স্নাতক শব্দের অর্থ কি? এ শব্দটা কোত্থেকে এসেছে”?
সবগুলো ছেলেমেয়ে আমার মুখের দিকে এমনভাবে তাঁকালো, যেন আমি বোধহয় কোন ভিনগ্রহ থেকে এসেছি। কী আশ্চর্য! একটা ছাত্র-ছাত্রীও জবাব দিতে পারলো না। আমি শুধু আফসোস করলাম! আহ! এই তো আমার শিক্ষিত প্রজন্ম!

আজকাল ইউনিয়নে ইউনিয়নে কলেজ। এটা ভালো!!
ইউনিয়ন লেভেলের ঐসব কলেজে অনার্সও পড়ানো হয়। আমি জানি না আমাদের শিক্ষকরা কতটুকু দিতে পারছেন… তারাই বা কতটুকু নিচ্ছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষকও নেই কিছু অনার্স কলেজে। শ্রীলঙ্কার মতো শিক্ষার হার হয়তো ১০০% এ চলে আসবে। কিন্তু ফলাফল কোথায়?

আজও আমাদের কোন সঠিক শিক্ষানীতি নেই। বছর বছর সিলেবাস পরিবর্তন, সিস্টেম পরিবর্তন, আমাদেরকে কোথায় পৌঁছাচ্ছে জানি না!
মূলত আমাদের শিক্ষা ব্যবস্হা যুগে যুগেই ষড়যন্ত্রের শিকার। এসি রুমে বসে বসে যারা শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেন, মাঠের অভিজ্ঞতা তাদের নেই। তারা কখনও মাঠপর্যায়ে আসেনও না। প্রয়োজন নেই। তাদের সন্তানরা তো আর এদেশে পড়ালেখা করে না।
এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শতকরা ৯০টা ছেলেমেয়ে পাশ মার্কসও তুলতে পারে নাই। প্রতিযোগিতার সিরিয়াল তো অনেক দূরে!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালে অনেকগুলো কলেজকে একসাথে সরকারিকরণ ঘোষণা করেন। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সেই সরকারিকরণের কাজটাও চলছে কচ্ছপ গতিতে। বিষয়টা এমন… প্রতিষ্ঠান সরকারি, কিন্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেসরকারি।
অনেক অনেক কথা বলার আছে.. কিন্তু মুখ ফুটে বলতেও পারি না। কেউ কেউ অসন্তুষ্ট হবেন, কারো বা আঁতেও ঘা লাগবে।
তবে এভাবে বেশীদিন চলতে থাকলে আমরা একটা মেধাহীন অকর্মণ্য প্রজন্ম নিয়েই পথ চলতে হবে।
আমরা কেউই সে পথে হাঁটতে চাই না।।

পোস্ট শেয়ার করুন

ভয়ংকর একটা সময়ের মধ্য দিয়ে পথ চলছে আমাদের প্রজন্ম!.

আপডেটের সময় : ১১:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২

ভয়ংকর একটা সময়ের মধ্য দিয়ে পথ চলছে আমাদের প্রজন্ম!….

সেই যে কবে অনলাইন পাঠদানের উছিলায় শিশুদের হাতে মোবাইল তুলে দেওয়া হলো, সেই মোবাইল এখন আর হাত থেকে সরানোও যাচ্ছে না।
লেখাপড়ার মানটাও এখন আর আগের মতো নেই। সেদিন একটা জরুরি কাজে ক্লাসে পাঠদানরত শিক্ষকের সাথে দেখা করতে শ্রেণি কক্ষে ঢুকেছিলাম। ক্লাসটা ছিল স্নাতক শ্রেণির। আমি একটা ফাঁকে ছাত্র-ছাত্রীদের জিজ্ঞেস করেছিলাম…. “স্নাতক শব্দের অর্থ কি? এ শব্দটা কোত্থেকে এসেছে”?
সবগুলো ছেলেমেয়ে আমার মুখের দিকে এমনভাবে তাঁকালো, যেন আমি বোধহয় কোন ভিনগ্রহ থেকে এসেছি। কী আশ্চর্য! একটা ছাত্র-ছাত্রীও জবাব দিতে পারলো না। আমি শুধু আফসোস করলাম! আহ! এই তো আমার শিক্ষিত প্রজন্ম!

আজকাল ইউনিয়নে ইউনিয়নে কলেজ। এটা ভালো!!
ইউনিয়ন লেভেলের ঐসব কলেজে অনার্সও পড়ানো হয়। আমি জানি না আমাদের শিক্ষকরা কতটুকু দিতে পারছেন… তারাই বা কতটুকু নিচ্ছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষকও নেই কিছু অনার্স কলেজে। শ্রীলঙ্কার মতো শিক্ষার হার হয়তো ১০০% এ চলে আসবে। কিন্তু ফলাফল কোথায়?

আজও আমাদের কোন সঠিক শিক্ষানীতি নেই। বছর বছর সিলেবাস পরিবর্তন, সিস্টেম পরিবর্তন, আমাদেরকে কোথায় পৌঁছাচ্ছে জানি না!
মূলত আমাদের শিক্ষা ব্যবস্হা যুগে যুগেই ষড়যন্ত্রের শিকার। এসি রুমে বসে বসে যারা শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেন, মাঠের অভিজ্ঞতা তাদের নেই। তারা কখনও মাঠপর্যায়ে আসেনও না। প্রয়োজন নেই। তাদের সন্তানরা তো আর এদেশে পড়ালেখা করে না।
এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শতকরা ৯০টা ছেলেমেয়ে পাশ মার্কসও তুলতে পারে নাই। প্রতিযোগিতার সিরিয়াল তো অনেক দূরে!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালে অনেকগুলো কলেজকে একসাথে সরকারিকরণ ঘোষণা করেন। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সেই সরকারিকরণের কাজটাও চলছে কচ্ছপ গতিতে। বিষয়টা এমন… প্রতিষ্ঠান সরকারি, কিন্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেসরকারি।
অনেক অনেক কথা বলার আছে.. কিন্তু মুখ ফুটে বলতেও পারি না। কেউ কেউ অসন্তুষ্ট হবেন, কারো বা আঁতেও ঘা লাগবে।
তবে এভাবে বেশীদিন চলতে থাকলে আমরা একটা মেধাহীন অকর্মণ্য প্রজন্ম নিয়েই পথ চলতে হবে।
আমরা কেউই সে পথে হাঁটতে চাই না।।