সপ্তাহে তিনদিন শুক্র-রবিবার-বুধবার ,কুয়েত-ঢাকা-কুয়েত-চট্রগ্রাম
- আপডেটের সময় : ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০১৯
- / ৪০৪ টাইম ভিউ
দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক ::- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীদের মনোরম পরিবেশে ভ্রমণের কথা চিন্তা করে এখন থেকে প্রতি বুধবার বোয়িং-৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার সরা সরি কুয়েত থেকে ছেড়ে চট্রগ্রাম যাবে।কুয়েত থেকে চট্রগ্রামের ভ্রমণ যাত্রীদের জন্য এটি একটি নিতান্তই সু:সংবাদ।একই সাথে বৃহত্তর চট্রগ্রাম বিভাগের প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের একটি প্রাণের দাবি ছিল ।এই দাবি পূরণের জন্য নানাভাবে বিমান কুয়েত কান্ট্রি ম্যানেজার হাফিজুল ইসলাম।
এদিকে আধুনিক প্রযুক্তির ড্রিমলাইনার বিমানটি এই মাসের ৩০ তারিখ বুধবার থেকেই বোয়িং-৭৮৭-৮ বিমানটি কুয়েত টু চট্রগ্রামে প্রতি বুধবার সরা সরি চলা চলাচল শুরু করবে একই সাথে সপ্তাহে অন্য দুদিন শুক্র ও রবিবার ঢাকা-কুয়েত-ঢাকা রুটেও চলবে । শুধু মাত্র সরা সরি সপ্তাহে একদিন প্রতি বুধবার কুয়েত হইতে চট্রগ্রামে যাবে এই চতুর্থপ্রজন্মের সর্ববৃহৎ বিমানটি।এমনটা জানিয়েছেন কুয়েত বিমান কান্ট্রি ম্যানেজার হাফিজুল ইসলাম।বুধবার চট্রগ্রামের ফ্লাইটে ঢাকার যে সব যাত্রী থাকবেন তারা শুধু মাত্র কানেকটিং ফ্লাইটে চট্রগ্রাম থেকে ঢাকায় যাবেন ।আর ভ্রমণ সুবিধার জন্য যেকোনো তথ্য জানার জন্য বিমান অফিস সরা সরি যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ।তিনি আরো বলেন বিমান আমাদের দেশের নিজস্য সম্পদ ।উন্নত যাত্রীসেবার দিকে বিমান কর্তৃপক্ষ সব সময় গুরুত্ব দিয়ে আসছে।বিশেষ করে বৃহত্তর চট্রগ্রামের প্রায় ৫০হাজারের উপরে প্রবাসী রয়েছে কুয়েতে।প্রতি বুধবার সরাসরি নতুন এই বোয়িং চালুর মধ্যে দিয়ে চট্রগ্রাম বিভাগের প্রবাসীদের প্রাণের দাবি পূরণ হলো ।এই বিমানে যাত্রী সাধারণের উন্নত সেবার মান রয়েছে ।নতুন প্রজন্মের এই বিমানটি বিজনেস ক্লাসে ২৪ সিট্ একইসাথে ইকোনোমিক ক্লাসে রয়েছে ২৪৭ সিট্ ।বিমান যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থে রয়েছে ইন্টারনেট সুযোগ সুবিধা।জাহাজে থেকেই পরিবার পরিজনদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে বিমান যাত্রীরা ।তেমনি শিশুদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন গেমস ।রয়েছে বিশ্বের নামিদামি ১০ টিভি চ্যানেল ।এই চ্যানেলগুলোতে বিভিন্ন রকমের প্রোগ্রাম দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন বিমানের কুয়েত কান্ট্রি ম্যানেজার হাফিজুল ইসলাম মানিক ।বিশেষ ভাবে তিনি কুয়েত প্রবাসীদের বেশি বেশি করে নিজ পতাকাবাহী বিমানে ভ্রমণের জন্য বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন ।উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের কথাটিও তিনি জানিয়েছেন ।
ইতিমধ্যে অনেকেই আনন্দিত হয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন কুয়েতের কান্ট্রি ম্যানেজার হাফিজুল ইসলাম সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ।
এদিকে কুয়েত প্রবাসী সচেতন বাংলাদেশীরা বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালুর উপর সব সময় গুরুত্ব দিয়ে আসছে ।বিমানের সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে অনেক যাত্রী নিজ দেশের বিমানে ভ্রমণ না করে ভিন্ন দেশের বিমানে ভ্রমণ করতে বাধ্য হয় ।এই অসুবিধার দিকটির সমাধান চান কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীরা।বিমান কুয়েত কাউন্টারের নানা সমস্যার সমাধানও ।এই সব সমস্যার সমাধান করতে পারলে বিমান কর্তৃপক্ষের সুনাম যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি যাত্রী সংখ্যাও বেড়ে যাবে ।এর প্রভাবে রেমিট্যান্সও বেড়ে যাবে ।এমনটা আসা করছেন সর্বস্তরের কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীরা ।
এদিকে পৃথীবির সর্বাধুনিক বিমান এটি।চতুর্থ প্রজন্মের উড়োজাহাজ বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার মার্কিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের সিয়াটল কারখানা থেকে যাত্রা করে শাহজালাল বিমানবন্দরে গত ১৯ আগস্ট রোববার বিকেল পাঁচটা ২৫ মিনিটের দিকে বিমানটি অবতরণ করে।।যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে কেনা চারটি অত্যাধুনিক উড়োজাহাজের মধ্যে ‘আকাশবীণা’ নামের প্রথমটি এই বোয়িং ৭৮৭-৮ । গত ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
বিমান সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে চারটি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ কিনতে বোয়িং কম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে বিমান। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২০ সালে এগুলো সরবরাহ করার কথা ছিলো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে নির্ধারিত সময়ের আগে ২০১৯ সালের মধ্যেই চারটি ড্রিমলাইনার সরবরাহ করতে সম্মত হয় বোয়িং। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আকাশবীণা, হংস বলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস নামের এই উড়োজাহাজগুলো দিয়ে নতুন রুট এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া ইউরোপসহ দূরপাল্লার রুটগুলো চালু করতে চায় রাষ্ট্রায়ত্ব বিমান সাংস্থাটি।