শমশেরনগর-মৌলভীবাজার সড়কের ২০ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা
- আপডেটের সময় : ০৯:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৯
- / ৯৪০ টাইম ভিউ
নিজস্ব প্রতিনিধি: সড়ক থেকে পিচ উঠে স্থানে স্থানে অসংখ্য ভাঙা। গর্ত আর খানাখন্দে যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত চার বছর যাবত্ সড়ক ও জনপথ বিভাগের মৌলভীবাজার-শমশেরনগর সড়কে গর্তগুলো এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ২০ কিলোমিটার ঐ রাস্তায় ত্রিশ মিনিটের স্থলে এখন সোয়া ঘণ্টায়ও গন্তব্যে পৌঁছা দায়। অতিরিক্ত সময় ব্যয় আর যানবাহনগুলোর শোচনীয় অবস্থায় সড়কে যাতায়াতকারী লোকদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। গত দুই বছর যাবত্ মেরামতের দাবি জানানো হলেও মেরামত তো দূরের কথা, সড়কের পুরো অংশই এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, পর্যটন জেলা ও প্রবাসী অধ্যুষিত জনগুরুত্বপূর্ণ শমশেরনগর-মৌলভীবাজার সড়ক ভেঙে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শমশেরনগর বাজার থেকে ভারতের সাথে সংযুক্ত চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন সড়কের আরো ১৪ কিলোমিটার এলাকা গর্ত আর খানাখন্দে ভরে গেছে। ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি। বৃষ্টির সময় সড়কে পানি জমে গর্ত ভরাট হওয়ার কারণে চালকরা দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে।
নিরাপদে গাড়ি চালাতে চালকদের যেমন সতর্ক থাকতে হচ্ছে, তেমনি যাত্রীরা যানবাহনে সারাক্ষণই থাকেন ঝাঁকুনির মধ্যে। ২০ কিলোমিটার সড়কে দুই বছর ধরেই ইট-সুরকি দিয়ে ভরাট করার চেষ্টা চলছে। তবে বৃষ্টির কারণে আর অত্যধিক যানবাহনের চাপে সড়ক থেকে ইট-সুরকি ছিটকে পড়ছে। চাতলা স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের উত্তর ত্রিপুরায় পণ্য ও মালামাল আমদানি-রপ্তানি ছাড়াও এই সড়কে প্রতিদিন কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলার একাংশের হাজারো শিক্ষার্থী, কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষ জেলা সদরে আসা-যাওয়া করেন। সিএনজি অটোরিকশা চালক রতন দে ও বদরুল ইসলাম বলেন, এই সড়কে গাড়ি চালাতে গিয়ে এখন গাড়ির নাম হয়েছে ‘ভাঙ গাড়ি’ আর যাত্রীদের দুর্ভোগের কারণে নাম দিয়েছেন ‘রোগী বানানোর সড়ক’। বদরুজ্জামান তালুকদার ও ফাহিম শিক্ষার্থীরা ও হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সহধর্মিনী ফেরদৌসী চৌধুরী রিমী বলেন, ‘ভাঙা সড়কে বাড়তি ভাড়া, দ্বিগুণ সময়, ঝাঁকুনি ও কষ্ট যে কী পরিমাণ তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।সুস্হ মানুষের এই রাস্তায় যাতায়াতের পর অসুস্হ হয়ে যায় । সওজ সূত্রে জানা যায়, মাস তিনেক আগে মৌলভীবাজার-শমশেরনগর-চাতলাপুর সড়কের সংস্কার কাজের দরপত্র হলেও কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি। এটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ৩৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার এই সড়কের ২০ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন অংশে কাজ হবে। এতে ব্যয় হবে ৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সড়কে যেসব বাজার রয়েছে, সেসব স্থানে কাজ হবে না। বাজার এলাকায় পরবর্তীতে আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ হবে। অন্যদিকে যেসব স্থান বন্যায় তলিয়ে যায় সেসব স্থানেও কাজ হচ্ছে না। সেসব স্থানে উঁচু করে পুনর্নির্মাণ করা হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল আলম সড়কের বেহাল দশার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সড়কের ২০ কিলোমিটার টেন্ডারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদন হয়ে গেলেই ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হবে। এর কিছুদিন পর কাজ শুরু হওয়ার আশাবাদী। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কাজ বেড়ে গেছে। নিজেদের পক্ষ থেকে যেটুকু সম্ভব গর্ত ভরাট করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।