কানাইঘাটে সুরমার পানি বিপদ সীমার উপরে, ঢুকছে বসত বাড়ীতে
- আপডেটের সময় : ১১:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০১৯
- / ৬৩৩ টাইম ভিউ
নিজস্ব প্রতিনিধি: গত কয়েকদিন ধরে টানা ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কানাইঘাটে বন্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার নিম্নাচঞ্চলে বাণের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সুরমা ও লোভা নদীর পানি শুক্রবার থেকে বাড়তে শুরু করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে কানাইঘাট সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ১১৬ সে. মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কানাইঘাট বাজারের গলিতে সুরমা নদীর পানি ঢুকে পড়েছে। এতে করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ও পশ্চিম ইউপির বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। অনেকের বসত ঘরে আক্রান্ত হচ্ছে বন্যার পানিতে। বিভিন্ন স্থানে আউশ ধানের মাঠ ও আমন ধানের বীজতলা তলিয়ে গেছে। সুরমা ও লোভা নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। নদীর তীরবর্তী বসবাসরত লোকজনের মধ্যে হঠাৎ করে সুরমা ও লোভা নদীর পানি বেড়ে যাওয়া আতংক দেখা দিয়েছে। তবে এখনও কানাইঘাটের সাথে সিলেট শহরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিহ্ন হওয়ার খবর পাওয়া যায় নি। উত্তর লক্ষীপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা চরিপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুজম্মিল আলী জানিয়েছেন, আমরী নদীর দক্ষিণ তীরে অপরিকল্পিত বেড়িবাঁধ দেওয়ার কারনে লোভা ও সুরমা নদীর পানি তীব্র আকার ধারন করে তার বাড়ী ও গ্রাম সহ দক্ষিণ লক্ষীপ্রসাদ, আসামপাড়া, নিহালপুর, বাজেখেল, মেছা, কান্দলা, সতিপুর গ্রামের অনেকের বাড়ী ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) লুসিকান্ত হাজং শুক্রবার কানাইঘাটের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। তবে এখনও কানাইঘাটে পুরোপুরি বন্যা আক্রান্ত হয়নি, নিম্নাচঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন তদারকি করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। এভাবে নদী-নদীর পানি অব্যাহত ভাবে বাড়থে থাকলে কানাইঘাটে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে এমন আশংকা করেছেন অনেকে।