ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কানাডার প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট ইলেকশন ডলি’র হ্যাটট্রিক জয় ১৭ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তন লন্ডন বিএনপি নেতা শরফুকে শ্রীমঙ্গলে গণ সংবর্ধনা ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব

ডেনমার্কে ২৫ বছরের মধ্যে বিয়ে না করলে মরিচের গুঁড়ার শাস্তি!

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ১১৭৯ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: ডেনমার্কে ২৫ বছরেও অবিবাহিত কিম্বা কোনরূপ প্রেমের সম্পর্কে জড়ান নি, এমন যুবক-যুবতীদের তাদের ২৫তম জন্মদিনে পড়তে হয় যারপরনাই অস্বস্তিতে। কারণ ২৫তম জন্মদিনে তাদের সারা গায়ে ছিটিয়ে দেয়া হয় দারচিনির গুঁড়া। কেউ কেউ আবার পানিও ছিটিয়ে দেন যেন দারচিনির গুঁড়া গায়ে একদম মেখে যায়।

ভাবছেন, এটা করতে যার জন্মদিন তার নিশ্চয়ই অনুমতি নিয়ে নেয়া হয়। মজার ব্যাপার, এটা করবার সময় কেউ কোনরকম অনুমতির তোয়াক্কাই করেন না। এই প্রথার উদ্দেশ্যই হল, ২৫শে পা রাখা যুবক-যুবতিটাকে মনে করিয়ে দেওয়া- অনেক হল হেলাফেলা, এই দফা তোমার বিয়ের বয়স হয়েছে-বিয়ে থা কর একটা!বলা হয়, এমন প্রথার শুরুটা হয়েছিল শত বছর আগে। মশলা বিক্রির জন্য যে সমস্ত সেলসম্যানরা ঘুরে বেড়াতেন চারপাশে, তাদের পক্ষে ঘর-সংসার পাতা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠত। কোনও এক জায়গায় স্থায়ীভাবে যে থাকা হয়ে উঠত না। এমন অবিবাহিত সেলসম্যানদের বলা হত ‘পেপার ডুডস’ আর এমন অবিবাহিতাদের ডাকা হত ‘পেপার মেইডেন’ নামে। ডেনমার্কের তরুণ প্রজন্ম যেন এই ‘পেপার ডুডস’ বা ‘পেপার মেইডেন’দের পথে হাঁটা না ধরেন, তাই এই প্রথা মানা হয়। যে সব যুবকদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, অথচ সংসারহীন, তাদের গায়ে দারুচিনির গুঁড়া ছিটানো হয়। তবে বয়স যদি তিরিশের কোঠা পেরিয়ে যায়, তাহলে তাদের জীবন হয়ে ওঠে আরও দুর্বিষহ। তখন দারচিনিতে আর কাজ হবে না! লাগবে মরিচের গুঁড়া। ঠিক তাই, তখন মরিচের গুঁড়া ছিটানো হবে তাদের শরীরে। শুধু মরিচের গুঁড়াই না, তার সাথে ডিমও ছুড়ে মারা হয়। যাতে ডিমের সাথে মাখামাখি হয়ে সারা শরীরে মরিচের গুঁড়া মেখে থাকে।

এমনটা করার মধ্যে দিয়ে তাদের ২৫ বছর বয়সের আগেই ঘর বাঁধার বিষয়ে পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করা হয়। তাই বলে ডেনমার্কের সবাই পঁচিশেই বিয়ে করে ফেলেন এমনটা ভাবার কোন নেই। বরং এর উল্টাটাই ঘটে থাকে। ডেনমার্কে পুরুষদের বিয়ের বয়স গড়ে সাড়ে ৩৪ আর নারীদের গড়ে ৩২ বছর। তাই সে দেশের তিরিশের নীচে থাকা অবিবাহিতদের জীবনে স্বস্তি নেই। তবে এটাকে শাস্তি হিসেবে ভাবা যাবেনা। বরং অবিবাহিতদের সঙ্গে একটু ঠাট্টা-মশকরা করাটাই হলো এই প্রচলিত প্রথার আসল উদ্দেশ্য। আর সেই সাথে যেন বুঝিয়ে দেয়া- অনেক হল, এ বার একটু ঘর বেধে স্থির হও!

পোস্ট শেয়ার করুন

ডেনমার্কে ২৫ বছরের মধ্যে বিয়ে না করলে মরিচের গুঁড়ার শাস্তি!

আপডেটের সময় : ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: ডেনমার্কে ২৫ বছরেও অবিবাহিত কিম্বা কোনরূপ প্রেমের সম্পর্কে জড়ান নি, এমন যুবক-যুবতীদের তাদের ২৫তম জন্মদিনে পড়তে হয় যারপরনাই অস্বস্তিতে। কারণ ২৫তম জন্মদিনে তাদের সারা গায়ে ছিটিয়ে দেয়া হয় দারচিনির গুঁড়া। কেউ কেউ আবার পানিও ছিটিয়ে দেন যেন দারচিনির গুঁড়া গায়ে একদম মেখে যায়।

ভাবছেন, এটা করতে যার জন্মদিন তার নিশ্চয়ই অনুমতি নিয়ে নেয়া হয়। মজার ব্যাপার, এটা করবার সময় কেউ কোনরকম অনুমতির তোয়াক্কাই করেন না। এই প্রথার উদ্দেশ্যই হল, ২৫শে পা রাখা যুবক-যুবতিটাকে মনে করিয়ে দেওয়া- অনেক হল হেলাফেলা, এই দফা তোমার বিয়ের বয়স হয়েছে-বিয়ে থা কর একটা!বলা হয়, এমন প্রথার শুরুটা হয়েছিল শত বছর আগে। মশলা বিক্রির জন্য যে সমস্ত সেলসম্যানরা ঘুরে বেড়াতেন চারপাশে, তাদের পক্ষে ঘর-সংসার পাতা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠত। কোনও এক জায়গায় স্থায়ীভাবে যে থাকা হয়ে উঠত না। এমন অবিবাহিত সেলসম্যানদের বলা হত ‘পেপার ডুডস’ আর এমন অবিবাহিতাদের ডাকা হত ‘পেপার মেইডেন’ নামে। ডেনমার্কের তরুণ প্রজন্ম যেন এই ‘পেপার ডুডস’ বা ‘পেপার মেইডেন’দের পথে হাঁটা না ধরেন, তাই এই প্রথা মানা হয়। যে সব যুবকদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, অথচ সংসারহীন, তাদের গায়ে দারুচিনির গুঁড়া ছিটানো হয়। তবে বয়স যদি তিরিশের কোঠা পেরিয়ে যায়, তাহলে তাদের জীবন হয়ে ওঠে আরও দুর্বিষহ। তখন দারচিনিতে আর কাজ হবে না! লাগবে মরিচের গুঁড়া। ঠিক তাই, তখন মরিচের গুঁড়া ছিটানো হবে তাদের শরীরে। শুধু মরিচের গুঁড়াই না, তার সাথে ডিমও ছুড়ে মারা হয়। যাতে ডিমের সাথে মাখামাখি হয়ে সারা শরীরে মরিচের গুঁড়া মেখে থাকে।

এমনটা করার মধ্যে দিয়ে তাদের ২৫ বছর বয়সের আগেই ঘর বাঁধার বিষয়ে পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করা হয়। তাই বলে ডেনমার্কের সবাই পঁচিশেই বিয়ে করে ফেলেন এমনটা ভাবার কোন নেই। বরং এর উল্টাটাই ঘটে থাকে। ডেনমার্কে পুরুষদের বিয়ের বয়স গড়ে সাড়ে ৩৪ আর নারীদের গড়ে ৩২ বছর। তাই সে দেশের তিরিশের নীচে থাকা অবিবাহিতদের জীবনে স্বস্তি নেই। তবে এটাকে শাস্তি হিসেবে ভাবা যাবেনা। বরং অবিবাহিতদের সঙ্গে একটু ঠাট্টা-মশকরা করাটাই হলো এই প্রচলিত প্রথার আসল উদ্দেশ্য। আর সেই সাথে যেন বুঝিয়ে দেয়া- অনেক হল, এ বার একটু ঘর বেধে স্থির হও!