ঢাকা , শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ইরানের সাহস দেখলো পুরো বিশ্ব,যুক্তরাষ্ট্র টের টের পেলো ইরানের শক্তি ৫ বছরে নাগরিকত্ব কে ১০ বছর নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পর্তুগাল বিপুল আনন্দ উল্লাসে শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন তোমার পরীক্ষা না নিলে,দেশবাসী তোমার পার্শ্বে – এডভোকেট আবেদ রাজা কুলাউড়ায় বিএনপির প্রার্থী চায় স্হানীয় নেতা কর্মিরা পর্তুগাল বিএনপির আসন্ন কমিটি এম এ হাকিম মিনহাজের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ঘোষণা পর্তুগালের আলমাদা তে সন্ত্রাসীর গুলিতে সিলেটের যুবক নিহত ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক সহ ভারতের গুজরাতে বিমানের বিধ্বস্ত কুলাউড়া সহ প্রবাসীদের আবেদ রাজা’র ঈদ শুভেচ্ছা ড, সাইফুল আলম চৌধুরী’র ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা

মুটো ফোনের আসক্তি দূর করবেন যেভাবে…

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৬:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
  • / ৪১৫ টাইম ভিউ

মোবাইল ছাড়া এখন একটা মুহূর্তও চলা মুশকিল৷ তবে প্রয়োজনের হাত ধরে নেশার রাস্তাও তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই অভ্যাসের হাত ধরে ঘুম কম হচ্ছে, ব্যক্তিগত সম্পর্কে চিড় ধরছে, উদ্বেগ আর অবসাদও বাড়ছে। মোবাইলের এই নেশার কবলে পড়াশোনার যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই আবার কাজের প্রতিও মনোযোগ কমছে। মোবাইলের দুনিয়া কেড়ে নিচ্ছে মুখোমুখি আলাপ, আড্ডার অবসর। জীবন থেকে ডিজিটাল দুনিয়ার প্রভাব সরিয়ে সুস্থ জীবন যাপন করার চাবিকাঠি কিন্তু আমাদেরই হাতে। জেনে নিন, শুরু করতে হবে ধীরে ধীরে।

১. ভাবার অভ্যাস তৈরি করুন: ডিজিটাল দুনিয়ার মোহে পড়ে আমরা নিজেকে নিয়ে আর ভাবি না। ভাবার সময় বার করতে হবে সবার আগে। মোবাইল দূরে সরিয়ে রোজ নির্দিষ্ট একটি সময় নিজের সঙ্গে সময় কাটান। দেখবেন, ভাবনাচিন্তার পরিসর অনেক বেড়েছে।

২. সময় ঠিক করে নিন: কত ক্ষণ টিভি দেখবেন, কম্পিউটার চালাবেন আর ফোন ঘাঁটবেন, তার সময় বেঁধে নিন। চেষ্টা করুন ঘুম থেকে উঠেই ফোন থেকে অন্তত ঘণ্টাখানেক দূরে থাকার। চেষ্টা করুন অফিসের কাজ বাড়িতে নিয়ে না আসার। ঘুমোনোর অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে ফোন রেখে দিন। অবসর সময় বই পড়ুন, পরিবারের সঙ্গে কাটান, গান শুনুন। নিজের পুরনো শখগুলি নিয়ে আবার ভাবনাচিন্তা শুরু করুন।

৩. অ্যাপ ছাঁটাই: দরকারি অ্যাপ ছাড়া বাকি অ্যাপগুলি ফোনে না রাখাই ভাল। মানে ধরুন, অ্যাপ ক্যাপ বুক করা, খাবার অর্ডার করার মতো দরকারি অ্যাপ রেখে সোশ্যাল নেটওয়র্কিং ও চ্যাট করার অ্যাপ ছাঁটাই করুন। দেখবেন, আর ফোনের দিকে তাকাতেও ইচ্ছে করবে না। কাজটা কঠিন হলেও করতে হবে। ‘ডায়েট’ শুরু করার সময় একটু কড়া হতেই হবে।

৪. বন্ধু খুঁজুন: ডায়েটের সময় আপনার একজন সঙ্গী দরকার। তাঁকে নিজের সমস্যার কথা খুলে বলুন। কোনও সময় ডিজিটাল দুনিয়ার প্রতি বেশি আসক্তি দেখালে তিনিই আপনাকে আটকাবেন। এই বন্ধু আপনার বাড়ির কোনও সদস্যও হতে পারেন। তাঁর সঙ্গে গল্প করে অনেকটাই সময় কাটাতে পারেন।

৫. ফোন ছাড়া ছুটিতে যান: এখন ফোন ছাড়া চলা মুশকিল। রাস্তায় বেরোলে ফোনের প্রয়োজন পড়ে। তবে ঘুরতে গিয়ে এক বার গন্তব্যে পৌঁছে গেলেই ফোন বন্ধ করে দিন। ওই ক’টা দিন শুধুই পরিবার, বন্ধুবান্ধব কিংবা সঙ্গীর জন্য বরাদ্দ রাখুন। পরিবেশের সান্নিধ্য উপভোগ করুন।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

পোস্ট শেয়ার করুন

মুটো ফোনের আসক্তি দূর করবেন যেভাবে…

আপডেটের সময় : ০৬:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

মোবাইল ছাড়া এখন একটা মুহূর্তও চলা মুশকিল৷ তবে প্রয়োজনের হাত ধরে নেশার রাস্তাও তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই অভ্যাসের হাত ধরে ঘুম কম হচ্ছে, ব্যক্তিগত সম্পর্কে চিড় ধরছে, উদ্বেগ আর অবসাদও বাড়ছে। মোবাইলের এই নেশার কবলে পড়াশোনার যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই আবার কাজের প্রতিও মনোযোগ কমছে। মোবাইলের দুনিয়া কেড়ে নিচ্ছে মুখোমুখি আলাপ, আড্ডার অবসর। জীবন থেকে ডিজিটাল দুনিয়ার প্রভাব সরিয়ে সুস্থ জীবন যাপন করার চাবিকাঠি কিন্তু আমাদেরই হাতে। জেনে নিন, শুরু করতে হবে ধীরে ধীরে।

১. ভাবার অভ্যাস তৈরি করুন: ডিজিটাল দুনিয়ার মোহে পড়ে আমরা নিজেকে নিয়ে আর ভাবি না। ভাবার সময় বার করতে হবে সবার আগে। মোবাইল দূরে সরিয়ে রোজ নির্দিষ্ট একটি সময় নিজের সঙ্গে সময় কাটান। দেখবেন, ভাবনাচিন্তার পরিসর অনেক বেড়েছে।

২. সময় ঠিক করে নিন: কত ক্ষণ টিভি দেখবেন, কম্পিউটার চালাবেন আর ফোন ঘাঁটবেন, তার সময় বেঁধে নিন। চেষ্টা করুন ঘুম থেকে উঠেই ফোন থেকে অন্তত ঘণ্টাখানেক দূরে থাকার। চেষ্টা করুন অফিসের কাজ বাড়িতে নিয়ে না আসার। ঘুমোনোর অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে ফোন রেখে দিন। অবসর সময় বই পড়ুন, পরিবারের সঙ্গে কাটান, গান শুনুন। নিজের পুরনো শখগুলি নিয়ে আবার ভাবনাচিন্তা শুরু করুন।

৩. অ্যাপ ছাঁটাই: দরকারি অ্যাপ ছাড়া বাকি অ্যাপগুলি ফোনে না রাখাই ভাল। মানে ধরুন, অ্যাপ ক্যাপ বুক করা, খাবার অর্ডার করার মতো দরকারি অ্যাপ রেখে সোশ্যাল নেটওয়র্কিং ও চ্যাট করার অ্যাপ ছাঁটাই করুন। দেখবেন, আর ফোনের দিকে তাকাতেও ইচ্ছে করবে না। কাজটা কঠিন হলেও করতে হবে। ‘ডায়েট’ শুরু করার সময় একটু কড়া হতেই হবে।

৪. বন্ধু খুঁজুন: ডায়েটের সময় আপনার একজন সঙ্গী দরকার। তাঁকে নিজের সমস্যার কথা খুলে বলুন। কোনও সময় ডিজিটাল দুনিয়ার প্রতি বেশি আসক্তি দেখালে তিনিই আপনাকে আটকাবেন। এই বন্ধু আপনার বাড়ির কোনও সদস্যও হতে পারেন। তাঁর সঙ্গে গল্প করে অনেকটাই সময় কাটাতে পারেন।

৫. ফোন ছাড়া ছুটিতে যান: এখন ফোন ছাড়া চলা মুশকিল। রাস্তায় বেরোলে ফোনের প্রয়োজন পড়ে। তবে ঘুরতে গিয়ে এক বার গন্তব্যে পৌঁছে গেলেই ফোন বন্ধ করে দিন। ওই ক’টা দিন শুধুই পরিবার, বন্ধুবান্ধব কিংবা সঙ্গীর জন্য বরাদ্দ রাখুন। পরিবেশের সান্নিধ্য উপভোগ করুন।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা