তৈল সমৃদ্ধ দেশ বাহরাইন বাংলাদেশি কূটনীতিককে গ্রহণ করছে না
- আপডেটের সময় : ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪
- / ১৯৭ টাইম ভিউ
তৈল সমৃদ্ধ বাহরাইন প্রস্তাবিত বাংলাদেশ দূতকে গ্রহণ করছে না । দির্ঘ প্রায় ৬ মাস ধরে বাহরাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পদটি শূন্য অবস্থায় রয়েছে। কাউন্সেলর পদমর্যাদার একজন কূটনীতিক চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন মধ্যপ্রাচ্যের ওই দেশটিতে। বাংলাদেশ দূতকে গ্রহণে বাহরাইনকে কনভিন্স করতে এই সময়ে দফায় দফায় অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ করা হচ্ছে রাষ্ট্রাচার প্রধানের দপ্তর তথা মানামার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি দেখার জন্য দিল্লিস্থ বাহরাইন মিশনের মাধ্যমেও পারসু করা হয়েছে। কিন্তু না, প্রস্তাবিত বাংলাদেশ দূতকে গ্রহণে মানামার তরফে ইতিবাচক কোনো সিগন্যাল মিলেনি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নতুন কাউকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রস্তাব করার চিন্তা-ভাবনা করছেন নীতি-নির্ধারকরা।
সেগুনবাগিচায় থাকা দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, কোনো রাষ্ট্রদূতকে গ্রহণ বা বর্জন এটা একান্তই হোস্ট কান্ট্রির সার্বভৌম সিদ্ধান্ত। এখানে প্রস্তাবকারী রাষ্ট্রের অনুরোধ বা আবদার করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। সাধারণত কোনো রাষ্ট্রদূতের এগ্রিমো পাঠানোর পর ন্যূনতম দুই মাস থেকে সর্বোচ্চ ৩ মাস অপেক্ষা করাই রেওয়াজ। এর মধ্যে হোস্ট কান্ট্রি সম্মতি না দিলে ধরে নিতে হবে প্রস্তাবিত দূতকে গ্রহণে রিজারভেশন রয়েছে।
সেক্ষেত্রে বোঝানোর চেষ্টা হয়। অনানুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ হয়, আপত্তি গুরুতর না হলে তা দূর করার জন্য কাউন্টার ন্যারেটিভ শেয়ার করা হয়। যেমনটি গত বছরের শুরুতে ভিয়েনার ক্ষেত্রে করা হয়েছে। ভিয়েনা বাংলাদেশের প্রস্তাবিত একজন বাংলাদেশি কূটনীতিককে রাষ্ট্রদূত হিসেবে গ্রহণ করেনি।
মানামার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন দাবি করে দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা গতকাল সন্ধ্যায় মিডিয়ায় বলেন, বাহ্রাইনে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রদূত পেশাদার কূটনীতিক খোরশেদ আলম খাস্তগীরের এগ্রিমো গেছে গত সেপ্টেম্বরে। সে হিসাবে ডিসেম্বরের মধ্যে তার এগ্রিমো ক্লিয়ার হবে- এমনটা ধরে নেয়া হয়েছিল। দেশে দ্বাদশ নির্বাচনের ডামাডোলে ওই সময়টা পার হয়েছে। নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠিত হওয়ার সময়ে ঢাকা অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু তা-ও আসেনি। পরবর্তীতে এ নিয়ে যোগাযোগ শুরু হয়। একটা পর্যায়ে মানামার আপত্তির বিষয়টি ওপেন-সিক্রেট হয়ে পড়ে।
সেক্ষেত্রে জানা-বোঝার চেষ্টা হয়। অনানুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ হয়, আপত্তি গুরুতর না হলে তা দূর করার জন্য কাউন্টার ন্যারেটিভ শেয়ার করা হয়। যেমনটি গত বছরের শুরুতে ভিয়েনার ক্ষেত্রে করা হয়েছে। ভিয়েনা বাংলাদেশের প্রস্তাবিত একজন বাংলাদেশি কূটনীতিককে রাষ্ট্রদূত হিসেবে গ্রহণ করেনি।
মানামার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন দাবি করে দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা গতকাল সন্ধ্যায় মানবজমিনকে বলেন, বাহ্রাইনে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রদূত পেশাদার কূটনীতিক খোরশেদ আলম খাস্তগীরের এগ্রিমো গেছে গত সেপ্টেম্বরে। সে হিসাবে ডিসেম্বরের মধ্যে তার এগ্রিমো ক্লিয়ার হবে- এমনটা ধরে নেয়া হয়েছিল। দেশে দ্বাদশ নির্বাচনের ডামাডোলে ওই সময়টা পার হয়েছে। নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠিত হওয়ার সময়ে ঢাকা অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু তা-ও আসেনি। পরবর্তীতে এ নিয়ে যোগাযোগ শুরু হয়। একটা পর্যায়ে মানামার আপত্তির বিষয়টি ওপেন-সিক্রেট হয়ে পড়ে।