ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

কুলাউড়া ফুটবল অঙ্গনে অনিয়মের সংস্কৃতি চালু করেছে বাফুফে

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : ০৬:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৩১৪ টাইম ভিউ

কুলাউড়া ফুটবল অঙ্গনে অনিয়মের  সংস্কৃতি চালু করেছে বাফুফে

টিপু : প্রাচীন একটি জনপদের নাম কুলাউড়া । ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা, শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির পাশাপাশি অত্র অঞ্চলের ক্রীড়াঙ্গন’ও স্ব-মহিমায় উজ্বল দৃস্টান্ত রেখে আসছে ।
সেই ঐতিহাসিক ঐতিহ্যকে বুকে লালন করে তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ইতিমধ্যে অত্র উপজেলার অনেক খ্যাতিমান ক্রীড়াবিদ, স্থানীয় পর্যায়ে এই প্রাচীন জনপদের ফুটবল অঙ্গন কুলাউড়ার কিশোরদের উৎসাহ যুগিয়ে জাতীয় পর্যায়ে খেলার যোগ্য করে গড়ে উঠার জন্য শ্রম ঘাম দিয়ে গড়ে তুলেছেন পরিকল্পিত দুই তারকা ও এক তারকা ফুটবল ক্ষ্যাতী সম্পন্ন একাডেমি দ্বারা একাডেমিক প্রশিক্ষণ নিয়ে শৈশব থেকে কৈশোরের মাঠের ঘ্রাণ যাদের শরীর ও মন স্পর্শ করে ভরা যৌবনে মাঠ ধাপিয়ে খেলবে, যেখানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় তাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটবে।
নিঃসন্দেহে মাঠে সুনিপুণ ক্রীড়াবিদ সৃস্টি করবে তারকা সম্পন্ন খেলোয়াড়।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য,কালের পরিক্রমায় ও সময়ের বিবর্তনে হাজারো ক্রীড়াপ্রেমীদের স্মৃতিবিজরিত এই কুলাউড়ায়
তা বাধাগ্রস্ত করছে বাফুফের কিছু অসাধু কর্মকর্তা।
কুলাউড়া উপজেলাধীন বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেকেই অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনায় গড়ে তুলেছে ফুটবল একাডেমি।
যারা এসব গড়েছে তাদের অনেকেই খেলোয়াড় ছিলো না, দর্শক হয়েও খেলা দেখেনি, ক্রীড়াঙ্গনে নেই তাদের কোনো অভিজ্ঞতা।
তারা এও জানেনা যে ফুটবল একাডেমি ও ক্লাবগুলোর মধ্যে প্রার্থক্য কতটুকু। কেউ কেউ তা করেছে শুধুমাত্র নাম প্রচার করার জন্য। আবার অনেকে মুনাফা লাভের জন্য এসব একাডেমি গড়েছে।
আর এসব অপরিকল্পিত একাডেমি গুলোকে অর্থের বিনিময়ে সহায়তা করছে বাফুফের কিছু অসাধু কর্মকর্তা।
বাফুফের অসাধু কর্মকর্তাদের সৃষ্ট জটিলতা আর ভোগান্তি পড়তে হচ্ছে অনেক তারকা ক্ষ্যাতি প্রাপ্ত ফুটবল একাডেমি।
ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের মতে কুলাউড়া একটি খেলাধুলার জন্য ঐতিহ্যবাহী উপজেলা। আমরা ছোট বেলায় স্কুল, কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট ইউনিয়ন ভিত্তিক টুর্নামেন্ট এবং সরোওয়ার্দি গোল্ড কাপ সহ অনেক ফুটবল লীগ কুলাউড়া নবীন চন্দ্র স্কুল মাঠে দেখেছি। এই সব টুর্নামেন্ট বা লীগ থেকে অনেক ভাল মানের খেলোয়াড় সৃষ্টি হয়েছে। তখন কিন্তু কোন ফুটবল একাডেমি ছিল না। বিভিন্ন ক্লাব ভিত্তিক অনুশীলন হতো। এত টাকা পয়সার ও ছড়াছড়ি ছিল না। সম্মানি ছাড়াই সবাই রেফারীর দায়িত্ব পালন করতেন। কোন কল্যাণ সমিতি বা এসোসিয়েশন ছিল না। কিন্তু আজ যুগের পরিবর্তন হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সব কিছুই এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমাদের ফুটবল কেন জানি একটা অবহেলা বা অযোগ্য লোকদের ধারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। সততা এবং স্বচ্ছতার অভাব দেখা যাচ্ছে সব কিছুতেই। এখন আবার শুরু হয়েছে একাডেমি ব্যবসা। ছোট বেলায় যাদের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ ছিল না বা মাঠের আশেপাশেই দেখা যায় নি তারাই এখন কুলাউড়ার ক্রীড়াঙ্গনের অগ্রপথিক বা অভিভাবক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। কুলাউড়া উপজেলায় বাফুফের রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত দুটি ফুটবল একাডেমি আছে। একটি এক স্টার এবং অপর টি দুই স্টার স্বীকৃত ফুটবল একাডেমি।বাফুফের একাডেমি রেজিস্ট্রেশন কতটুকু আইন মেনে করা হয় তা নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ দেখি। ইদানিং বাফুফের একজন কর্মকর্তাকে কুলাউড়ায় প্রতি মাসেই দেখা যায় একটি একাডেমিতে অনুশীলন করাতে। শুনা যাচ্ছে উনি টাকার বিনিময়ে এই একাডেমিতে কাজ করছেন। বাফুফের কর্মকর্তা হিসাবে তিনি কোন একাডেমিতে কাজ করতে পারেন কি না এনিয়ে কুলাউড়ার ক্রীড়াঙ্গনে একটা প্রশ্ন উঠেছে। তিনি নাকি অনেক একাডেমিকে বাফুফের রেজিস্ট্রেশন করে দিবেন বলে উপহার ও নিচ্ছেন। আমরা যতটুকু জানি বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর চাকুরী ছেড়ে চলে গেছেন। এই সুযোগে নাকি টেকনিক্যাল কোঅডিনেটর রা এই সব অনিয়ম কাজ করে নিজের স্বার্থের জন্য । এইসব কারনেই আমাদের দেশের ফুটবল এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্ট গুলোতে বয়স লুকিয়ে খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন করা একজনে সার্টিফিকেটে অন্যদের ছবি বসিয়ে খেলা আর কতদিন চলবে। যদি কোন একাডেমি এই সব কাজ করে আর প্রমাণ করা যায় তবে তার বাফুফের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা উচিত।
ঐতিহ্য’র ধারক ও বাহক কুলাউড়ায় এসব এখনই রুখতে হবে।
না হলে হারিয়ে যাবে কুলাউড়ার ঐতিহাসিক ঐতিহ্য।

পোস্ট শেয়ার করুন

কুলাউড়া ফুটবল অঙ্গনে অনিয়মের সংস্কৃতি চালু করেছে বাফুফে

আপডেটের সময় : ০৬:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩

কুলাউড়া ফুটবল অঙ্গনে অনিয়মের  সংস্কৃতি চালু করেছে বাফুফে

টিপু : প্রাচীন একটি জনপদের নাম কুলাউড়া । ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা, শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির পাশাপাশি অত্র অঞ্চলের ক্রীড়াঙ্গন’ও স্ব-মহিমায় উজ্বল দৃস্টান্ত রেখে আসছে ।
সেই ঐতিহাসিক ঐতিহ্যকে বুকে লালন করে তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ইতিমধ্যে অত্র উপজেলার অনেক খ্যাতিমান ক্রীড়াবিদ, স্থানীয় পর্যায়ে এই প্রাচীন জনপদের ফুটবল অঙ্গন কুলাউড়ার কিশোরদের উৎসাহ যুগিয়ে জাতীয় পর্যায়ে খেলার যোগ্য করে গড়ে উঠার জন্য শ্রম ঘাম দিয়ে গড়ে তুলেছেন পরিকল্পিত দুই তারকা ও এক তারকা ফুটবল ক্ষ্যাতী সম্পন্ন একাডেমি দ্বারা একাডেমিক প্রশিক্ষণ নিয়ে শৈশব থেকে কৈশোরের মাঠের ঘ্রাণ যাদের শরীর ও মন স্পর্শ করে ভরা যৌবনে মাঠ ধাপিয়ে খেলবে, যেখানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় তাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটবে।
নিঃসন্দেহে মাঠে সুনিপুণ ক্রীড়াবিদ সৃস্টি করবে তারকা সম্পন্ন খেলোয়াড়।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য,কালের পরিক্রমায় ও সময়ের বিবর্তনে হাজারো ক্রীড়াপ্রেমীদের স্মৃতিবিজরিত এই কুলাউড়ায়
তা বাধাগ্রস্ত করছে বাফুফের কিছু অসাধু কর্মকর্তা।
কুলাউড়া উপজেলাধীন বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেকেই অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনায় গড়ে তুলেছে ফুটবল একাডেমি।
যারা এসব গড়েছে তাদের অনেকেই খেলোয়াড় ছিলো না, দর্শক হয়েও খেলা দেখেনি, ক্রীড়াঙ্গনে নেই তাদের কোনো অভিজ্ঞতা।
তারা এও জানেনা যে ফুটবল একাডেমি ও ক্লাবগুলোর মধ্যে প্রার্থক্য কতটুকু। কেউ কেউ তা করেছে শুধুমাত্র নাম প্রচার করার জন্য। আবার অনেকে মুনাফা লাভের জন্য এসব একাডেমি গড়েছে।
আর এসব অপরিকল্পিত একাডেমি গুলোকে অর্থের বিনিময়ে সহায়তা করছে বাফুফের কিছু অসাধু কর্মকর্তা।
বাফুফের অসাধু কর্মকর্তাদের সৃষ্ট জটিলতা আর ভোগান্তি পড়তে হচ্ছে অনেক তারকা ক্ষ্যাতি প্রাপ্ত ফুটবল একাডেমি।
ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের মতে কুলাউড়া একটি খেলাধুলার জন্য ঐতিহ্যবাহী উপজেলা। আমরা ছোট বেলায় স্কুল, কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট ইউনিয়ন ভিত্তিক টুর্নামেন্ট এবং সরোওয়ার্দি গোল্ড কাপ সহ অনেক ফুটবল লীগ কুলাউড়া নবীন চন্দ্র স্কুল মাঠে দেখেছি। এই সব টুর্নামেন্ট বা লীগ থেকে অনেক ভাল মানের খেলোয়াড় সৃষ্টি হয়েছে। তখন কিন্তু কোন ফুটবল একাডেমি ছিল না। বিভিন্ন ক্লাব ভিত্তিক অনুশীলন হতো। এত টাকা পয়সার ও ছড়াছড়ি ছিল না। সম্মানি ছাড়াই সবাই রেফারীর দায়িত্ব পালন করতেন। কোন কল্যাণ সমিতি বা এসোসিয়েশন ছিল না। কিন্তু আজ যুগের পরিবর্তন হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সব কিছুই এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমাদের ফুটবল কেন জানি একটা অবহেলা বা অযোগ্য লোকদের ধারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। সততা এবং স্বচ্ছতার অভাব দেখা যাচ্ছে সব কিছুতেই। এখন আবার শুরু হয়েছে একাডেমি ব্যবসা। ছোট বেলায় যাদের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ ছিল না বা মাঠের আশেপাশেই দেখা যায় নি তারাই এখন কুলাউড়ার ক্রীড়াঙ্গনের অগ্রপথিক বা অভিভাবক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। কুলাউড়া উপজেলায় বাফুফের রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত দুটি ফুটবল একাডেমি আছে। একটি এক স্টার এবং অপর টি দুই স্টার স্বীকৃত ফুটবল একাডেমি।বাফুফের একাডেমি রেজিস্ট্রেশন কতটুকু আইন মেনে করা হয় তা নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ দেখি। ইদানিং বাফুফের একজন কর্মকর্তাকে কুলাউড়ায় প্রতি মাসেই দেখা যায় একটি একাডেমিতে অনুশীলন করাতে। শুনা যাচ্ছে উনি টাকার বিনিময়ে এই একাডেমিতে কাজ করছেন। বাফুফের কর্মকর্তা হিসাবে তিনি কোন একাডেমিতে কাজ করতে পারেন কি না এনিয়ে কুলাউড়ার ক্রীড়াঙ্গনে একটা প্রশ্ন উঠেছে। তিনি নাকি অনেক একাডেমিকে বাফুফের রেজিস্ট্রেশন করে দিবেন বলে উপহার ও নিচ্ছেন। আমরা যতটুকু জানি বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর চাকুরী ছেড়ে চলে গেছেন। এই সুযোগে নাকি টেকনিক্যাল কোঅডিনেটর রা এই সব অনিয়ম কাজ করে নিজের স্বার্থের জন্য । এইসব কারনেই আমাদের দেশের ফুটবল এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্ট গুলোতে বয়স লুকিয়ে খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন করা একজনে সার্টিফিকেটে অন্যদের ছবি বসিয়ে খেলা আর কতদিন চলবে। যদি কোন একাডেমি এই সব কাজ করে আর প্রমাণ করা যায় তবে তার বাফুফের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা উচিত।
ঐতিহ্য’র ধারক ও বাহক কুলাউড়ায় এসব এখনই রুখতে হবে।
না হলে হারিয়ে যাবে কুলাউড়ার ঐতিহাসিক ঐতিহ্য।