ঢাকা , বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
৫ বছরে নাগরিকত্ব কে ১০ বছর নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পর্তুগাল বিপুল আনন্দ উল্লাসে শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন তোমার পরীক্ষা না নিলে,দেশবাসী তোমার পার্শ্বে – এডভোকেট আবেদ রাজা কুলাউড়ায় বিএনপির প্রার্থী চায় স্হানীয় নেতা কর্মিরা পর্তুগাল বিএনপির আসন্ন কমিটি এম এ হাকিম মিনহাজের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ঘোষণা পর্তুগালের আলমাদা তে সন্ত্রাসীর গুলিতে সিলেটের যুবক নিহত ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক সহ ভারতের গুজরাতে বিমানের বিধ্বস্ত কুলাউড়া সহ প্রবাসীদের আবেদ রাজা’র ঈদ শুভেচ্ছা ড, সাইফুল আলম চৌধুরী’র ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা বদরুল আলম চৌধুরীর ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা

মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস আজ

মাহদী হাসান
  • আপডেটের সময় : ০১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৩৭৬ টাইম ভিউ

আজ ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে চায়ের রাজধানীখ্যাত মৌলভীবাজার হানাদার মুক্ত হয়। ২ ডিসেম্বর রাতে মৌলভীবাজারের পূর্ব সীমান্তের কাছাকাছি শমসেরনগর বিমানবন্দর ও চাতলাপুর বিওপিতে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর অবস্থানের উপর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণ শুরু হয়। তীব্র আক্রমণের মুখে পাক সেনারা শমশেরনগরে টিকতে না পেরে মৌলভীবাজার শহরে ফিরে আসে।

মৌলভীবাজারে ছিল পাক সেনাদের ব্রিগেড হেড কোয়ার্টার। মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী মৌলভীবাজার দখলের উদ্দেশ্যে ৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে কালেঙ্গা পাহাড়ে অবস্থান নেয়। সেখানে বড়টিলা নামক জায়গায় পাক বাহিনীর সঙ্গে মিত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে মিত্র বাহিনীর ১২৭ জন সেনা নিহত হন।

৫ ডিসেম্বর থেকে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যুহ ভেঙে পড়তে শুরু করে। ফলে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর যৌথ হামলা প্রতিরোধ করতে তারা ব্যর্থ হতে থাকে। এ অঞ্চলের পরাজিত পাকিস্থানি সৈন্যরা তখন সিলেট অভিমুখে পালাতে শুরু করে। এসময় তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে অনেক সাধারণ মানুষ নিহত ও জখম হন।

সিলেটে যাওয়ার পথে তারা শেরপুরে অবস্থান নেয়। পরে অবস্থান নিরাপদ নয় মনে করে সিলেট চলে যায়। এই ঘাতক বাহিনীর পিছু হটার ফলে ৮ ডিসেম্বর পুরো মৌলভীবাজার হানাদারমুক্ত হয় এবং আকাশে উড়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা।

মৌলভীবাজারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১৪৭০ জন। এরমধ্যে সংগঠক ছিলেন দুইশ’র বেশি। দিবসটি পালন উপলক্ষে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করেছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস আজ

আপডেটের সময় : ০১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

আজ ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে চায়ের রাজধানীখ্যাত মৌলভীবাজার হানাদার মুক্ত হয়। ২ ডিসেম্বর রাতে মৌলভীবাজারের পূর্ব সীমান্তের কাছাকাছি শমসেরনগর বিমানবন্দর ও চাতলাপুর বিওপিতে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর অবস্থানের উপর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণ শুরু হয়। তীব্র আক্রমণের মুখে পাক সেনারা শমশেরনগরে টিকতে না পেরে মৌলভীবাজার শহরে ফিরে আসে।

মৌলভীবাজারে ছিল পাক সেনাদের ব্রিগেড হেড কোয়ার্টার। মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী মৌলভীবাজার দখলের উদ্দেশ্যে ৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে কালেঙ্গা পাহাড়ে অবস্থান নেয়। সেখানে বড়টিলা নামক জায়গায় পাক বাহিনীর সঙ্গে মিত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে মিত্র বাহিনীর ১২৭ জন সেনা নিহত হন।

৫ ডিসেম্বর থেকে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যুহ ভেঙে পড়তে শুরু করে। ফলে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর যৌথ হামলা প্রতিরোধ করতে তারা ব্যর্থ হতে থাকে। এ অঞ্চলের পরাজিত পাকিস্থানি সৈন্যরা তখন সিলেট অভিমুখে পালাতে শুরু করে। এসময় তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে অনেক সাধারণ মানুষ নিহত ও জখম হন।

সিলেটে যাওয়ার পথে তারা শেরপুরে অবস্থান নেয়। পরে অবস্থান নিরাপদ নয় মনে করে সিলেট চলে যায়। এই ঘাতক বাহিনীর পিছু হটার ফলে ৮ ডিসেম্বর পুরো মৌলভীবাজার হানাদারমুক্ত হয় এবং আকাশে উড়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা।

মৌলভীবাজারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১৪৭০ জন। এরমধ্যে সংগঠক ছিলেন দুইশ’র বেশি। দিবসটি পালন উপলক্ষে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করেছে।