২০০ বছরের ঐতিহ্যগত পাকুন্দিয়ার লিচু, ৮-১০ কোটি আয়ের আশায় চাষিরা
- আপডেটের সময় : ০৩:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
- / ৩০৬ টাইম ভিউ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের লিচুর প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্য রয়েছে। এই গ্রাম সারা দেশে এখন লিচুর গ্রাম হিসেবে পরিচিত।
মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে এবার লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কয়েকজন লিচুচাষি বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। শুধু মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের ৫–৬ হাজার লিচুগাছ থেকে এবার ৮–১০ কোটি টাকা আয়ের আশা করছেন চাষিরা।
গ্রামের প্রতিটি বাড়ির উঠান, বাড়ির সামনের অংশ, পুকুরপাড়, খেতের আইলসহ সব জায়গায় লিচুগাছ। এখন যেদিকেই তাকানো যায় শুধু লিচু আর লিচু।
গত শনিবার মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গাছে গাছে লিচু ঝুলে আছে। প্রতিটি বাড়িতেই উৎসবের আমেজ ও স্বজনদের আনাগোনা। বাড়ির সামনে পেতে রাখা হয়েছে চেয়ার। সেখানে বসে গল্প করছেন লিচুগাছের মালিকসহ দূরদূরান্ত থেকে লিচু কিনতে আসা ব্যক্তিরা। অনেকেই গাছ থেকে লিচু পাড়ছেন। কেউ কেউ পাটি বিছিয়ে গুনে গুনে ৫০টি বা ১০০টি করে লিচুর আঁটি বাঁধছেন।
এলাকার কয়েক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দাম কিছুটা বেশি হলেও অন্য এলাকার লিচুর চেয়ে এই এলাকার লিচুর চাহিদা বেশি। এ লিচুর একধরনের সুঘ্রাণ রয়েছে। বিচি ছোট হওয়ায় শাঁসের পরিমাণ বেশি থাকে। আকারেও বড়। এ ছাড়া এর রয়েছে নজরকাড়া রং।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, দেশের সীমান্ত পেরিয়ে দুবাই, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও লন্ডনপ্রবাসীদের কাছে পৌঁছায় এ গ্রামের লিচু। কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবদুস সাত্তার বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবার লিচুচাষিরা সময়মতো ওষুধ ব্যবহারসহ গাছ পরিচর্যা করায় বাম্পার ফলন পেয়েছেন। সঠিক দাম ও বেশি লাভ পাওয়ায় এলাকার চাষিরাও লিচু চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। ফলে এলাকায় দিন দিন লিচুগাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।