ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

আন্দোলনে তরুণদের যুক্ত করতে না পারা বিএনপির ব্যর্থতা: মির্জা ফখরুল

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১
  • / ৪৯১ টাইম ভিউ

গণ–আন্দোলনের জন্য তরুণদের সামনে আনতে না পারার ব্যর্থতা বিএনপির বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে তিনি গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষায় তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পৃথিবীতে যা কিছু হয়েছে, সবই তরুণদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে হয়েছে। এখন তরুণেরা কোথায়? দেখছি না। আমাদের ব্যর্থতা সেখানেই। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের ব্যর্থতা, এখন পর্যন্ত তরুণদের সামনে আনতে পারিনি। গণতন্ত্র ও অধিকার রক্ষার জন্য তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান দেশকে নতুন পরিচিত দিয়েছেন। তিনি জাতির আশা–আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের ডাক দিয়েছিলেন। যে আওয়ামী লীগকে মানুষ ভোট দিয়েছিলেন, সেই আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে ১৯৭৫ সালে বাকশাল করে। এরপরই জিয়াউর রহমান জাতির দায়িত্ব নেন এবং মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। তিনি নতুন অস্তিত্ব দিয়েছেন। জিয়াউর রহমানকে অলৌকিক মানুষ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছিলেন। তিনি বাইরে বের হলে লাখ লাখ মানুষ বের হয়ে আসবে। তাই মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তিনি গণতন্ত্রের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

করোনা নিয়ে সরকার শুরু থেকেই ব্যবসা করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে শুরুতে চুক্তি করেনি সরকার। কিন্তু এখন তাদের কাছে গিয়ে সরকার ধরনা দিচ্ছে।

১৪ বছর ধরে আওয়ামী লীগ মানুষকে সর্বস্বান্ত করে দিচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ৬ কোটি মানুষ দরিদ্র। বাজেটে তাদের জন্য ১ হাজার ৫০০ করে টাকা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু তেলা মাথায় সরকার তেল দিচ্ছে। ধনী ও যাঁরা সরকারের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদেরই প্রণোদনা দিচ্ছে।

এদিকে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ দিনের কর্মসূচি পালন না করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনে রাস্তায় থাকার আহ্বান জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াই বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে পারবেন। বিদেশ থেকে ওহি পাঠিয়ে লাভ নেই। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না। তিনি জীবিত ফিরে আসুক, তা তারা চায় না। দেরি না করে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমানের মতো এত দুর্বল সরকার দেশে আর কখনো ছিল না। তারা কাউকে কোনো কর্মসূচি করতে দেয় না। সরকারের মানবিক কোনো মূল্যবোধ নেই। বাজেট করেছে সব ব্যবসায়ীদের জন্য, গরিবদের জন্য কিছু নেই।

মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

পোস্ট শেয়ার করুন

আন্দোলনে তরুণদের যুক্ত করতে না পারা বিএনপির ব্যর্থতা: মির্জা ফখরুল

আপডেটের সময় : ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১

গণ–আন্দোলনের জন্য তরুণদের সামনে আনতে না পারার ব্যর্থতা বিএনপির বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে তিনি গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষায় তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পৃথিবীতে যা কিছু হয়েছে, সবই তরুণদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে হয়েছে। এখন তরুণেরা কোথায়? দেখছি না। আমাদের ব্যর্থতা সেখানেই। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের ব্যর্থতা, এখন পর্যন্ত তরুণদের সামনে আনতে পারিনি। গণতন্ত্র ও অধিকার রক্ষার জন্য তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান দেশকে নতুন পরিচিত দিয়েছেন। তিনি জাতির আশা–আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের ডাক দিয়েছিলেন। যে আওয়ামী লীগকে মানুষ ভোট দিয়েছিলেন, সেই আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে ১৯৭৫ সালে বাকশাল করে। এরপরই জিয়াউর রহমান জাতির দায়িত্ব নেন এবং মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। তিনি নতুন অস্তিত্ব দিয়েছেন। জিয়াউর রহমানকে অলৌকিক মানুষ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছিলেন। তিনি বাইরে বের হলে লাখ লাখ মানুষ বের হয়ে আসবে। তাই মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তিনি গণতন্ত্রের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

করোনা নিয়ে সরকার শুরু থেকেই ব্যবসা করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে শুরুতে চুক্তি করেনি সরকার। কিন্তু এখন তাদের কাছে গিয়ে সরকার ধরনা দিচ্ছে।

১৪ বছর ধরে আওয়ামী লীগ মানুষকে সর্বস্বান্ত করে দিচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ৬ কোটি মানুষ দরিদ্র। বাজেটে তাদের জন্য ১ হাজার ৫০০ করে টাকা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু তেলা মাথায় সরকার তেল দিচ্ছে। ধনী ও যাঁরা সরকারের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদেরই প্রণোদনা দিচ্ছে।

এদিকে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ দিনের কর্মসূচি পালন না করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনে রাস্তায় থাকার আহ্বান জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াই বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে পারবেন। বিদেশ থেকে ওহি পাঠিয়ে লাভ নেই। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না। তিনি জীবিত ফিরে আসুক, তা তারা চায় না। দেরি না করে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমানের মতো এত দুর্বল সরকার দেশে আর কখনো ছিল না। তারা কাউকে কোনো কর্মসূচি করতে দেয় না। সরকারের মানবিক কোনো মূল্যবোধ নেই। বাজেট করেছে সব ব্যবসায়ীদের জন্য, গরিবদের জন্য কিছু নেই।

মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।