ঢাকা , শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ইরানের সাহস দেখলো পুরো বিশ্ব,যুক্তরাষ্ট্র টের টের পেলো ইরানের শক্তি ৫ বছরে নাগরিকত্ব কে ১০ বছর নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পর্তুগাল বিপুল আনন্দ উল্লাসে শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন তোমার পরীক্ষা না নিলে,দেশবাসী তোমার পার্শ্বে – এডভোকেট আবেদ রাজা কুলাউড়ায় বিএনপির প্রার্থী চায় স্হানীয় নেতা কর্মিরা পর্তুগাল বিএনপির আসন্ন কমিটি এম এ হাকিম মিনহাজের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ঘোষণা পর্তুগালের আলমাদা তে সন্ত্রাসীর গুলিতে সিলেটের যুবক নিহত ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক সহ ভারতের গুজরাতে বিমানের বিধ্বস্ত কুলাউড়া সহ প্রবাসীদের আবেদ রাজা’র ঈদ শুভেচ্ছা ড, সাইফুল আলম চৌধুরী’র ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা

মৌলভীবাজারে বিএনপির নেতাদেরকে হোটেলে ঢুকে লাঞ্চিত ও ভাংচুর করে আওয়ামীলীগ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১৪০১ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত ডেস্ক : মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি দলীয় ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী অলিউর রহমানের পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে দলীয় নেতারা হোটেলে বসে চা খাওয়া অবস্থায় অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে ।

গত বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের শাহমোস্তফা সড়কে বিকল্পধারা পার্টির নেতা হাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চুর মালিখানাধীন হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হলেও হামলাকারীরা তার আগেই বিএনপির সিনিয়র নেতাদেরকে হোটেলে ঢুকে লাঞ্চিত করে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে । ৩০ জানুয়ারি মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচনের মাত্র দুদিন পূর্বে এমন ঘটনায় বর্তমানে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।

ঘটনাস্থলের পাশেই বিএনপি নেত্রী সাবেক সংসদ সদস্য খালেদা রব্বানীর বাসভবন। সেখানেও হামলার উদ্দেশ্যে হামলাকারীরা বাসার গেট টপকিয়ে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে।

সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি নাসের রহমান দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে নিয়ে দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগে অংশ নেন। দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের সুলতানপুর এলাকায় গণসংযোগ শেষে নাসের রহমান চলে যান। এর পর বেলা ৩টার দিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মতিন বক্স, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক জিএম মুক্তাদির রাজুসহ বিএনপি,যুবদল ও ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী গণসংযোগ শেষে শাহমোস্তফা সড়কে অবস্থিত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চুর মালিকানাধীন ইসমাইল হোটেলে অবস্থান করছিলেন।

সেখানে তারা নির্বাচন কেন্দ্রিক দলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একে অন্যের সাথে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে নৌকা সমর্থক শতাধিক মোটরসাইকেলে করে নেতাকর্মীরা হোটেলে অবস্থানরত বিএনপি নেতাদের উপর লাটিসোটা দিয়ে অতর্কিত হামলা এবং রেস্তুরায় ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় বিএনপি নেতারা হামলা থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালিয়ে যান।

হামলার ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আক্তার হোসেন। এসময় তাঁকে হামলাকারীদের নিবৃত করতে দেখা যায়। তিনি বলেন,নৌকা এবং ধানের শীষের সমর্থকদের মধ্যে ঘটনা ঘটেছে। তবে কিকারনে ঘটনার সূত্রপাত তা জানতে চেষ্টা করছি,পরবর্তীতে জানাতে পারব ঘটনার প্রকৃত কারন।

ঘটনাস্থলে কথা হয় ব্যাপক ভাংচুরে ক্ষতিগ্রস্ত ইসমাইল হোটেলের কর্মচারী জাকির হোসেনের সাথে, এসময় তিনি জানান, কিছু বুঝে উঠার আগেই হটাৎ হামলার ঘটনায় হতবম্ভ হয়ে যাই। কোন রকম প্রাণ বাঁচাতে পিছন থেকে পালিয়ে যাই। কি কারনে হামলা সে বিষয়ে হোটেল কর্মচারী জাকির কোন মন্তব্য করতে চাননি।

বিষয়টি নিয়ে নাসের রহমানের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এই ঘটনা মৌলভীবাজারের রাজনৈতিক ইতিহাসে কখনো ঘটেনি, সিনিয়র নেতাদের উপর পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার দলীয় লোকজন যে হামলার ঘটনাও অতীতে ঘটেনি। এঘটনায় হোটেলে অবস্থানরত জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিন বক্সসহ পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এসময় আরও অনেক সিনিওর নেতাদের লাঞ্চিত করা হয়।

তিনি বলেন, আমি গণসংযোগ থেকে চলে আসার কিছুক্ষণ পরই আমাদের সিনিয়র নেতাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে হামলাকারীরা আমাদের প্রচারণার উপর নজরদারী চালায় জানিয়ে নাসের রহমান বলেন, মূলত ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে না আসে সে কারনেই এমন ঘটনা ইচ্ছাকৃতভাবে আওয়ামীলীগ ঘটিয়েছে।

এদিকে নেতাদের উপর হামলার বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে জেলা বিএনপির জরুরী বৈঠক ডেকেছেন নাসের রহমান। বুধবার সন্ধ্যায় জরুরী এক সভায় বসেন বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও আহবান করা হয় বলে জানান।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, মৌলভীবাজারের মানুষ খুব শান্তিপ্রিয়, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে মাঝে মধ্যে উত্তেজনা থাকেই, আজকের ঘটনা খুব বড় না হলেও সূষ্টু নির্বাচনের ক্ষেত্রে যাতে কোন প্রভাব না পরে পুলিশ সে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে বিএনপির নেতাদেরকে হোটেলে ঢুকে লাঞ্চিত ও ভাংচুর করে আওয়ামীলীগ

আপডেটের সময় : ০২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১

দেশদিগন্ত ডেস্ক : মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি দলীয় ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী অলিউর রহমানের পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে দলীয় নেতারা হোটেলে বসে চা খাওয়া অবস্থায় অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে ।

গত বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের শাহমোস্তফা সড়কে বিকল্পধারা পার্টির নেতা হাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চুর মালিখানাধীন হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হলেও হামলাকারীরা তার আগেই বিএনপির সিনিয়র নেতাদেরকে হোটেলে ঢুকে লাঞ্চিত করে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে । ৩০ জানুয়ারি মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচনের মাত্র দুদিন পূর্বে এমন ঘটনায় বর্তমানে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।

ঘটনাস্থলের পাশেই বিএনপি নেত্রী সাবেক সংসদ সদস্য খালেদা রব্বানীর বাসভবন। সেখানেও হামলার উদ্দেশ্যে হামলাকারীরা বাসার গেট টপকিয়ে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে।

সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি নাসের রহমান দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে নিয়ে দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগে অংশ নেন। দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের সুলতানপুর এলাকায় গণসংযোগ শেষে নাসের রহমান চলে যান। এর পর বেলা ৩টার দিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মতিন বক্স, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক জিএম মুক্তাদির রাজুসহ বিএনপি,যুবদল ও ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী গণসংযোগ শেষে শাহমোস্তফা সড়কে অবস্থিত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চুর মালিকানাধীন ইসমাইল হোটেলে অবস্থান করছিলেন।

সেখানে তারা নির্বাচন কেন্দ্রিক দলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একে অন্যের সাথে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে নৌকা সমর্থক শতাধিক মোটরসাইকেলে করে নেতাকর্মীরা হোটেলে অবস্থানরত বিএনপি নেতাদের উপর লাটিসোটা দিয়ে অতর্কিত হামলা এবং রেস্তুরায় ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় বিএনপি নেতারা হামলা থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালিয়ে যান।

হামলার ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আক্তার হোসেন। এসময় তাঁকে হামলাকারীদের নিবৃত করতে দেখা যায়। তিনি বলেন,নৌকা এবং ধানের শীষের সমর্থকদের মধ্যে ঘটনা ঘটেছে। তবে কিকারনে ঘটনার সূত্রপাত তা জানতে চেষ্টা করছি,পরবর্তীতে জানাতে পারব ঘটনার প্রকৃত কারন।

ঘটনাস্থলে কথা হয় ব্যাপক ভাংচুরে ক্ষতিগ্রস্ত ইসমাইল হোটেলের কর্মচারী জাকির হোসেনের সাথে, এসময় তিনি জানান, কিছু বুঝে উঠার আগেই হটাৎ হামলার ঘটনায় হতবম্ভ হয়ে যাই। কোন রকম প্রাণ বাঁচাতে পিছন থেকে পালিয়ে যাই। কি কারনে হামলা সে বিষয়ে হোটেল কর্মচারী জাকির কোন মন্তব্য করতে চাননি।

বিষয়টি নিয়ে নাসের রহমানের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এই ঘটনা মৌলভীবাজারের রাজনৈতিক ইতিহাসে কখনো ঘটেনি, সিনিয়র নেতাদের উপর পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার দলীয় লোকজন যে হামলার ঘটনাও অতীতে ঘটেনি। এঘটনায় হোটেলে অবস্থানরত জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিন বক্সসহ পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এসময় আরও অনেক সিনিওর নেতাদের লাঞ্চিত করা হয়।

তিনি বলেন, আমি গণসংযোগ থেকে চলে আসার কিছুক্ষণ পরই আমাদের সিনিয়র নেতাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে হামলাকারীরা আমাদের প্রচারণার উপর নজরদারী চালায় জানিয়ে নাসের রহমান বলেন, মূলত ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে না আসে সে কারনেই এমন ঘটনা ইচ্ছাকৃতভাবে আওয়ামীলীগ ঘটিয়েছে।

এদিকে নেতাদের উপর হামলার বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে জেলা বিএনপির জরুরী বৈঠক ডেকেছেন নাসের রহমান। বুধবার সন্ধ্যায় জরুরী এক সভায় বসেন বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও আহবান করা হয় বলে জানান।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, মৌলভীবাজারের মানুষ খুব শান্তিপ্রিয়, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে মাঝে মধ্যে উত্তেজনা থাকেই, আজকের ঘটনা খুব বড় না হলেও সূষ্টু নির্বাচনের ক্ষেত্রে যাতে কোন প্রভাব না পরে পুলিশ সে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।