ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

কমলগঞ্জে ইন্টারনেটের অভাবে অনলাইনে পাঠদান ব্যাহত

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : ০৯:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০
  • / ৩৪৩ টাইম ভিউ

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: কোভিড-১৯-এর অচলাবস্থায় করোনা প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনায় সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করেছেন অন লাইনে পাঠদান। সরকারিভাবেও সংসদ টিভিতে পাঠদান চালু রয়েছে।

শহরের অবস্থা সম্পন্ন সন্তানরা এনড্রোয়েড মুঠোফোনে ওয়াইফাই ও এমবির সুযোগ নিয়ে ওয়াটসআপ ও ল্যাপটপ ব্যবহার করে এ সুযোগ গ্রহন করছে। তবে গ্রামের দরিদ্র পরিবার ও পিছিয়ে পড়া চা বাগানের দরিদ্র শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

মৌলভীবাজরের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সুবিধা না থাকায় শতকরা ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইনে পাঠ গ্রহনের সুযোগ নিতে পারেনি। কমলগঞ্জ উপজেলা বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ প্রধানদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনায় তাদের শিক্ষকরা অন লাইনে বাড়িতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন। তবে এই সুযোগ নিতে পারছে সীমিতহারে। যাদের এনড্রোয়েড মুঠোফোন, ল্যাপটপ, এমবি, ব্রডব্যান্ড ও ওয়াইফাই সুবিধা আছে তারাই এ সুযোগটি গ্রহন করতে পারছে। কিন্তু স্কুল কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই গ্রাম ও চা বাগানের দরিদ্র পরিবারের সন্তান।

কমলগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, শমশেরনগর এ এ টি এম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, হাজী মো. উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কালীপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়, মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা বলেন, সরকারি নির্দেশনা রয়েছে এ দুর্যোগের সময় অন লাইনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে। অনেক শিক্ষক তা করছেন। তবে গ্রামের দরিদ্র পরিবার ও চা বাগানের দরিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েরা অন লাইনের সুযোগ নিতে পারছে না। আর এ সুযোগ বঞ্চিতরা শতকরা ৬৫ শতাংশ হবে বলেও তারা বলেন। তবে প্রধান শিক্ষকরা অন লাইনে পাঠদানের বাহিরে গিয়ে সকল শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে তাদেরকে বিশেষ সাজেশন দিয়ে বাড়িতে লেখা পড়ায় ব্যস্ত রাখছেন। আর বাড়িতে লেখাপড়া করার পর তাদের বিশেষ মূল্যায়নী পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কমলগঞ্জ সরকারি গন মহাবিদ্যালয়, আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজ ও সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষরা বলেন, সরকারি নির্দেশনায় তার কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষক বাড়িতে আটকা থাকা শিক্ষার্থীদের অন লাইনে পাঠদান করাচ্ছেন। তবে অধ্যক্ষরা আরো বলেন, গ্রামের ও চা বাগানের দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা স্মার্টফোন ও এমবির অভাবে এ সুযোগ থেকে পিছিয়ে

পোস্ট শেয়ার করুন

কমলগঞ্জে ইন্টারনেটের অভাবে অনলাইনে পাঠদান ব্যাহত

আপডেটের সময় : ০৯:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: কোভিড-১৯-এর অচলাবস্থায় করোনা প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনায় সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করেছেন অন লাইনে পাঠদান। সরকারিভাবেও সংসদ টিভিতে পাঠদান চালু রয়েছে।

শহরের অবস্থা সম্পন্ন সন্তানরা এনড্রোয়েড মুঠোফোনে ওয়াইফাই ও এমবির সুযোগ নিয়ে ওয়াটসআপ ও ল্যাপটপ ব্যবহার করে এ সুযোগ গ্রহন করছে। তবে গ্রামের দরিদ্র পরিবার ও পিছিয়ে পড়া চা বাগানের দরিদ্র শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

মৌলভীবাজরের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সুবিধা না থাকায় শতকরা ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইনে পাঠ গ্রহনের সুযোগ নিতে পারেনি। কমলগঞ্জ উপজেলা বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ প্রধানদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনায় তাদের শিক্ষকরা অন লাইনে বাড়িতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন। তবে এই সুযোগ নিতে পারছে সীমিতহারে। যাদের এনড্রোয়েড মুঠোফোন, ল্যাপটপ, এমবি, ব্রডব্যান্ড ও ওয়াইফাই সুবিধা আছে তারাই এ সুযোগটি গ্রহন করতে পারছে। কিন্তু স্কুল কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই গ্রাম ও চা বাগানের দরিদ্র পরিবারের সন্তান।

কমলগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, শমশেরনগর এ এ টি এম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, হাজী মো. উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কালীপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়, মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা বলেন, সরকারি নির্দেশনা রয়েছে এ দুর্যোগের সময় অন লাইনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে। অনেক শিক্ষক তা করছেন। তবে গ্রামের দরিদ্র পরিবার ও চা বাগানের দরিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েরা অন লাইনের সুযোগ নিতে পারছে না। আর এ সুযোগ বঞ্চিতরা শতকরা ৬৫ শতাংশ হবে বলেও তারা বলেন। তবে প্রধান শিক্ষকরা অন লাইনে পাঠদানের বাহিরে গিয়ে সকল শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে তাদেরকে বিশেষ সাজেশন দিয়ে বাড়িতে লেখা পড়ায় ব্যস্ত রাখছেন। আর বাড়িতে লেখাপড়া করার পর তাদের বিশেষ মূল্যায়নী পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কমলগঞ্জ সরকারি গন মহাবিদ্যালয়, আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজ ও সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষরা বলেন, সরকারি নির্দেশনায় তার কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষক বাড়িতে আটকা থাকা শিক্ষার্থীদের অন লাইনে পাঠদান করাচ্ছেন। তবে অধ্যক্ষরা আরো বলেন, গ্রামের ও চা বাগানের দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা স্মার্টফোন ও এমবির অভাবে এ সুযোগ থেকে পিছিয়ে