ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতেবিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আ’লীগ গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া

পরিত্যক্ত ভবনেই চলে বন বিভাগের কার্যক্রম

দেশদিগন্ত
  • আপডেটের সময় : ০৬:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০
  • / ৩৫৮ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত :হবিগঞ্জের  শায়েস্তাগঞ্জে পরিত্যক্ত ভবনেই চলছে বন বিভাগের অফিসের কার্যক্রম। আবাসিক ভবনগুলোরও একই অবস্থা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব ভবনে বসবাস করছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

১৯৬৫ সালে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব লেঞ্জাপাড়া গ্রামে এক একর জমির উপর নির্মাণ করা হয় বন বিভাগের এ অফিস। দীর্ঘদিন ধরে বনবিভাগের অফিসটির কার্যক্রম ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে।

অফিসের সামনে নেই কোনো সীমানা প্রাচীর। অফিসটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে তেমন কোনো সংস্কার না হওয়ায় এ ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তিনটি ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে, তবুও নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে না। এদিকে বাকি ভবনগুলোর অবস্থাও সংকটাপন্ন। অফিস ভেঙে মাথায় পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন অফিসে কর্মরতরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসে কর্মরত একজন বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। ভবনগুলোর অবস্থা করুন থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের টনক না নড়লে কী আর করার আছে।

এলাকার জনগণ বলেন সরকারি একটি অফিস ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে কেন। বহুদিন ধরেই ভাঙাচোরা অফিসেই কাজ করছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এলাকাবসীরা বলেন  কী কারণে রেঞ্জ অফিসটি অবহেলিত আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে সীমানা প্রাচীরসহ একটি সুন্দর রেঞ্জ অফিস করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

শায়েস্তাগঞ্জ বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার আব্দুল খালেক বলেন, আমাদের এ অফিসের সবগুলো ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ এবং সবগুলো ভবনই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও পরিত্যক্ত ভবনেই অফিসের কার্যক্রম চলছে। আবাসিক ভবনগুলোরও একই অবস্থা।

হবিগঞ্জ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো. মারুফ হোসেন জানান, এই রেঞ্জ অফিসটি পুনর্নির্মাণের আওতাধীন আছে। আগামী বছরের প্রথম দিকে হয়ত কাজ শুরু হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এসএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নতুন করে ভবন নির্মাণ করার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছি। আশা করছি খুব শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

পরিত্যক্ত ভবনেই চলে বন বিভাগের কার্যক্রম

আপডেটের সময় : ০৬:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০

দেশদিগন্ত :হবিগঞ্জের  শায়েস্তাগঞ্জে পরিত্যক্ত ভবনেই চলছে বন বিভাগের অফিসের কার্যক্রম। আবাসিক ভবনগুলোরও একই অবস্থা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব ভবনে বসবাস করছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

১৯৬৫ সালে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব লেঞ্জাপাড়া গ্রামে এক একর জমির উপর নির্মাণ করা হয় বন বিভাগের এ অফিস। দীর্ঘদিন ধরে বনবিভাগের অফিসটির কার্যক্রম ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে।

অফিসের সামনে নেই কোনো সীমানা প্রাচীর। অফিসটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে তেমন কোনো সংস্কার না হওয়ায় এ ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তিনটি ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে, তবুও নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে না। এদিকে বাকি ভবনগুলোর অবস্থাও সংকটাপন্ন। অফিস ভেঙে মাথায় পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন অফিসে কর্মরতরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসে কর্মরত একজন বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। ভবনগুলোর অবস্থা করুন থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের টনক না নড়লে কী আর করার আছে।

এলাকার জনগণ বলেন সরকারি একটি অফিস ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে কেন। বহুদিন ধরেই ভাঙাচোরা অফিসেই কাজ করছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এলাকাবসীরা বলেন  কী কারণে রেঞ্জ অফিসটি অবহেলিত আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে সীমানা প্রাচীরসহ একটি সুন্দর রেঞ্জ অফিস করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

শায়েস্তাগঞ্জ বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার আব্দুল খালেক বলেন, আমাদের এ অফিসের সবগুলো ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ এবং সবগুলো ভবনই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও পরিত্যক্ত ভবনেই অফিসের কার্যক্রম চলছে। আবাসিক ভবনগুলোরও একই অবস্থা।

হবিগঞ্জ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো. মারুফ হোসেন জানান, এই রেঞ্জ অফিসটি পুনর্নির্মাণের আওতাধীন আছে। আগামী বছরের প্রথম দিকে হয়ত কাজ শুরু হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এসএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নতুন করে ভবন নির্মাণ করার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছি। আশা করছি খুব শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে।