ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বর্তমান পরিস্থিতির উপর দেশবাসীকে যে বার্তা দিলেন শায়খ নূরে আলম হামিদী স্বাধিনতা মানে শুধুমাত্র নিজস্ব মানচিত্র অর্জন নয়, চাই বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা

আসুন আমরা সবাই ঘরে থাকি, অন্যকেও ঘরে থাকতে সাহায্য করি!

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০২০
  • / ৯৩৬ টাইম ভিউ

আল্লাহুম্মা অান্তা সুবাহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ জোয়ালিমিন। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। পড়তে পড়তে বাসা থেকে বের হই।

এই কয়েক মাসে কত সূরাই না মুখস্থ করেছি। বাসা থেকে বের হলে ৫ কালেমা সব সময় রেডি রাখি ঠোঁটের ওপর। কোনদিক থেকে কখন মহামারি করোনা ধরে আমাকে!
এই করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত শুধু আমি নই, গোটা বিশ্ব, দেশ, জাতি আজ আতঙ্কিত।

বিশ্বের জন্য দিন রাত সবাই দোয়া-দরুদ পড়ছে। সময় নাই অসময় নাই আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করছে।

সরকার স্কুল-কলেজ, ব্যবসায়, বানিজ্য সব বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। মোবাইল, টেলিভিশনে হরদম বলছে বাসা থেকে বের না হতে। বাসা থেকে বের হলে মুখে মাস্ক পড়ে, হাতে হ্যন্ডগ্লাবস পড়ে বের হাতে। এবং বাসায় ফিরে সাবান কিংবা হ্যন্ডওয়াশ দিয়ে হাত-মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

খাবার রান্না করার আগে প্রথমে ভালো করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। বাইরের সবজি বা অন্য কোন খাবার খাওয়া যাবেনা, বাইরে বের হওয়া যাবেনা, এটা না ওটা না কিচ্ছুনা। মানে চারিপাশে শুধুই আতঙ্ক, ভয় আর ভয়।

কারণ এই করোনা ভাইরাস যাদের ধরে মিছেমিছি ধরে না। করোনা যাদের পছন্দ করে ঠেলে দিচ্ছে নাম না জানা ঐ দেশে। মানে মানুষ মেরে সাফ করে দিচ্ছে। যেনো করোনা ভাইরাস সবার জন্য আজরাইল হয়ে দাঁড়িয়েছ। আগে হাঁচি দিলে ভাবতাম কেউ বুদয় আমার কথা শ্বরণ করছে। আর এখন হাঁচি দিলে ভাবি হায়রে এই বুঝি আজরাইল আমাকে ডাকতেছে।
টিভিতে প্রতিদিন খবরে শুনি বিশ্বে প্রায় প্রতিটি দেশে করোনা ভাইরাসে মারা যাচ্ছে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ।বিশ্বের মানুষ আজ গৃহবন্দী। কাজ-কাম সব বন্ধ ঘোষেণা করেছে সরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ, তাই আমারও পড়া বন্ধ।

যখন বই নিয়ে পড়তে বসি মন বসেনা পড়ার টেবিলে। জানিনা কখন কলেজ খুলবে! আদৌ খুলবে কিনা! সেই আজেবাজে চিন্তা করতে করতেই সময় চলে যায়। কিন্তু অনেক টেনশন হয় কি হবে ভবিষ্যত? যাই হোক, সবি আল্লাহ ভরষা।

এই করোনা ভাইরাসের জন্য কলেজ থেকে দুরে, আত্মিয়-স্বজন থেকে দুরে, শহর থেকে দুরেই বলা যায়। মার্চ মাসের মাঝমাঝি সময়ে সরকার যেমন সবকিছু বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে তেমনি রাস্তা, পাড়া, মহল্লা সব যেনো জন শুন্য হয়েগেছে।

কই রাস্তায় আগে কতো যানজট থাকতো। থাকতো মানুষের হাহাকার। মানুষ আর মানুষ। আর এখন রাস্তা পুরো ফাঁকা। স্টেশনের প্লাটফরম জনশুন্য। মানুষ নেই বল্লেই চলে। রাস্তায় যদি পুলিশ ১ জনের বেশি কাউকে দেখে, মেরে গুড়ে হাড়গুড় ভেঙে দেয়।

আগে বাসে বসার জন্য সিট খোজে পেতাম না আর এখন বাস গুলো সব এমনিতে পরে আছে, বাসের কোনো হর্ন নেই। ট্রেন, প্লেন, গাড়ি সব বন্ধ। রাস্তায় একটা রিক্সাও দেখা যায়না। বাড়ি থেকে বের হলে জরিমানা দিতে হয় অনেক টাকা।

বাজার-হাটও বন্ধ হয়ে গেছে। কথায় আছে “মানুষ মানুষের জন্য” তাই এই অসময়ে দুর্ঘটনার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ অনেক সংগঠন মানব কল্যানে নেমেছে রাস্তায়। অসহায়-দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। চাল, ডাল, সাবান, হ্যান্ডওয়াশ নানা কিছু দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে তাদের মানবতার তাগিতে।

কিন্তু এমন ভাবে আর কতদিন থাকবে অসহায় মানুষগুলো? কতদিন হাত পাতবে। ওদের ওতো প্রাণের ভয় আছে। কিন্তু না।তারা তাদের প্রাণের ভয় ছেড়ে পেঠের জন্য সব বাধা বিপত্তি ভেঙ্গে প্রতিদিন ভের হয় রাস্তায়। শুধু মাত্র একটু খাবারের আশায়।

গোটা বিশ্বের চেয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও এখন ঈদকে সামনে রেখে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই জ্যামিতিক হারে বাড়ার সম্ভাবনা খুবেই বেশি বলে আমার মনে হচ্ছে। দিন রাত চেষ্টা করেও প্রশাসনের সদস্যরা মানুষের শ্রোতকে গৃহবন্দি করে রাখতে পারছেন না।

একটা কথা আমরা কেউ বোঝার চেষ্টা করিনা, প্রশাসনের সদস্যরা আমাদের মতো একজন মানুষ, তাদেরও মন আছে, সংসার আছে, তারপরও কেন করোনার ঝুকি মাথায় নিয়ে আমাদের ভালোর জন্য, আমরা নিরাপদে থাকার জন্য বার বার আমাদেরকে সর্তক করছেন, একবার চিন্তা করে দেখেনতো আল্লাহপাক না করুক,

যদি আপনার কিছু হয়ে যায় তাহলে আপনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অবস্থা কি হবে! তাই আসুন আমরা সবাই মিলে বাইরে বের না হয়ে ঘরে থাকি। নিজে বাঁচি এবং দেশ ও দেশের জাতিকে বাঁচতে সাহায্য করি। আমরা সচেতন হই এবং আমাদের দেশকে বাঁচাই। আর আল্লাহকে বিশ্বাস করি।

যে যার মতো করে সৃষ্টিকর্তাকে শ্বরণ করি। কারন এই গুজব থেকে একমাত্র আল্লাহপাকেই আমাদের সবাইকে রক্ষা করবেন।তাই বাজে চিন্তা না করে আল্লাহকে শ্বরণ করি। আল্লাহর ইবাদাত করি। আনন্দ করি, ফুর্তি করি। কারণ আল্লাহই পারেন সবকিছু আর আল্লাহ যদি না চান কোনো কিছুই সম্ভব নয়।

তাই এমন ভয়াবহ পরিনাম এড়াতে হলে শুভবোধ, নৈত্যিকতাবোধ ও মনুষ্যত্ববোধের ভিন্ন কোনো বিকল্প নেই। ঘরে-থাকি, সুস্থ-থাকি।

তারান্নুম আম্বিয়া ঝিমি
একাদশ শ্রেণী,
কুলাউড়া সরকারি কলেজ।
কুলাউড়া, মৌলভীবাজার।

পোস্ট শেয়ার করুন

আসুন আমরা সবাই ঘরে থাকি, অন্যকেও ঘরে থাকতে সাহায্য করি!

আপডেটের সময় : ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০২০

আল্লাহুম্মা অান্তা সুবাহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ জোয়ালিমিন। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। পড়তে পড়তে বাসা থেকে বের হই।

এই কয়েক মাসে কত সূরাই না মুখস্থ করেছি। বাসা থেকে বের হলে ৫ কালেমা সব সময় রেডি রাখি ঠোঁটের ওপর। কোনদিক থেকে কখন মহামারি করোনা ধরে আমাকে!
এই করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত শুধু আমি নই, গোটা বিশ্ব, দেশ, জাতি আজ আতঙ্কিত।

বিশ্বের জন্য দিন রাত সবাই দোয়া-দরুদ পড়ছে। সময় নাই অসময় নাই আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করছে।

সরকার স্কুল-কলেজ, ব্যবসায়, বানিজ্য সব বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। মোবাইল, টেলিভিশনে হরদম বলছে বাসা থেকে বের না হতে। বাসা থেকে বের হলে মুখে মাস্ক পড়ে, হাতে হ্যন্ডগ্লাবস পড়ে বের হাতে। এবং বাসায় ফিরে সাবান কিংবা হ্যন্ডওয়াশ দিয়ে হাত-মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

খাবার রান্না করার আগে প্রথমে ভালো করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। বাইরের সবজি বা অন্য কোন খাবার খাওয়া যাবেনা, বাইরে বের হওয়া যাবেনা, এটা না ওটা না কিচ্ছুনা। মানে চারিপাশে শুধুই আতঙ্ক, ভয় আর ভয়।

কারণ এই করোনা ভাইরাস যাদের ধরে মিছেমিছি ধরে না। করোনা যাদের পছন্দ করে ঠেলে দিচ্ছে নাম না জানা ঐ দেশে। মানে মানুষ মেরে সাফ করে দিচ্ছে। যেনো করোনা ভাইরাস সবার জন্য আজরাইল হয়ে দাঁড়িয়েছ। আগে হাঁচি দিলে ভাবতাম কেউ বুদয় আমার কথা শ্বরণ করছে। আর এখন হাঁচি দিলে ভাবি হায়রে এই বুঝি আজরাইল আমাকে ডাকতেছে।
টিভিতে প্রতিদিন খবরে শুনি বিশ্বে প্রায় প্রতিটি দেশে করোনা ভাইরাসে মারা যাচ্ছে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ।বিশ্বের মানুষ আজ গৃহবন্দী। কাজ-কাম সব বন্ধ ঘোষেণা করেছে সরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ, তাই আমারও পড়া বন্ধ।

যখন বই নিয়ে পড়তে বসি মন বসেনা পড়ার টেবিলে। জানিনা কখন কলেজ খুলবে! আদৌ খুলবে কিনা! সেই আজেবাজে চিন্তা করতে করতেই সময় চলে যায়। কিন্তু অনেক টেনশন হয় কি হবে ভবিষ্যত? যাই হোক, সবি আল্লাহ ভরষা।

এই করোনা ভাইরাসের জন্য কলেজ থেকে দুরে, আত্মিয়-স্বজন থেকে দুরে, শহর থেকে দুরেই বলা যায়। মার্চ মাসের মাঝমাঝি সময়ে সরকার যেমন সবকিছু বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে তেমনি রাস্তা, পাড়া, মহল্লা সব যেনো জন শুন্য হয়েগেছে।

কই রাস্তায় আগে কতো যানজট থাকতো। থাকতো মানুষের হাহাকার। মানুষ আর মানুষ। আর এখন রাস্তা পুরো ফাঁকা। স্টেশনের প্লাটফরম জনশুন্য। মানুষ নেই বল্লেই চলে। রাস্তায় যদি পুলিশ ১ জনের বেশি কাউকে দেখে, মেরে গুড়ে হাড়গুড় ভেঙে দেয়।

আগে বাসে বসার জন্য সিট খোজে পেতাম না আর এখন বাস গুলো সব এমনিতে পরে আছে, বাসের কোনো হর্ন নেই। ট্রেন, প্লেন, গাড়ি সব বন্ধ। রাস্তায় একটা রিক্সাও দেখা যায়না। বাড়ি থেকে বের হলে জরিমানা দিতে হয় অনেক টাকা।

বাজার-হাটও বন্ধ হয়ে গেছে। কথায় আছে “মানুষ মানুষের জন্য” তাই এই অসময়ে দুর্ঘটনার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ অনেক সংগঠন মানব কল্যানে নেমেছে রাস্তায়। অসহায়-দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। চাল, ডাল, সাবান, হ্যান্ডওয়াশ নানা কিছু দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে তাদের মানবতার তাগিতে।

কিন্তু এমন ভাবে আর কতদিন থাকবে অসহায় মানুষগুলো? কতদিন হাত পাতবে। ওদের ওতো প্রাণের ভয় আছে। কিন্তু না।তারা তাদের প্রাণের ভয় ছেড়ে পেঠের জন্য সব বাধা বিপত্তি ভেঙ্গে প্রতিদিন ভের হয় রাস্তায়। শুধু মাত্র একটু খাবারের আশায়।

গোটা বিশ্বের চেয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও এখন ঈদকে সামনে রেখে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই জ্যামিতিক হারে বাড়ার সম্ভাবনা খুবেই বেশি বলে আমার মনে হচ্ছে। দিন রাত চেষ্টা করেও প্রশাসনের সদস্যরা মানুষের শ্রোতকে গৃহবন্দি করে রাখতে পারছেন না।

একটা কথা আমরা কেউ বোঝার চেষ্টা করিনা, প্রশাসনের সদস্যরা আমাদের মতো একজন মানুষ, তাদেরও মন আছে, সংসার আছে, তারপরও কেন করোনার ঝুকি মাথায় নিয়ে আমাদের ভালোর জন্য, আমরা নিরাপদে থাকার জন্য বার বার আমাদেরকে সর্তক করছেন, একবার চিন্তা করে দেখেনতো আল্লাহপাক না করুক,

যদি আপনার কিছু হয়ে যায় তাহলে আপনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অবস্থা কি হবে! তাই আসুন আমরা সবাই মিলে বাইরে বের না হয়ে ঘরে থাকি। নিজে বাঁচি এবং দেশ ও দেশের জাতিকে বাঁচতে সাহায্য করি। আমরা সচেতন হই এবং আমাদের দেশকে বাঁচাই। আর আল্লাহকে বিশ্বাস করি।

যে যার মতো করে সৃষ্টিকর্তাকে শ্বরণ করি। কারন এই গুজব থেকে একমাত্র আল্লাহপাকেই আমাদের সবাইকে রক্ষা করবেন।তাই বাজে চিন্তা না করে আল্লাহকে শ্বরণ করি। আল্লাহর ইবাদাত করি। আনন্দ করি, ফুর্তি করি। কারণ আল্লাহই পারেন সবকিছু আর আল্লাহ যদি না চান কোনো কিছুই সম্ভব নয়।

তাই এমন ভয়াবহ পরিনাম এড়াতে হলে শুভবোধ, নৈত্যিকতাবোধ ও মনুষ্যত্ববোধের ভিন্ন কোনো বিকল্প নেই। ঘরে-থাকি, সুস্থ-থাকি।

তারান্নুম আম্বিয়া ঝিমি
একাদশ শ্রেণী,
কুলাউড়া সরকারি কলেজ।
কুলাউড়া, মৌলভীবাজার।