ঢাকা , শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পবিত্র কাবা থেকে বদরের প্রান্তরে… কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম কে সংবর্ধনা দিয়েছে মনফালকনে গরিজিয়া বিএনপি ইতালির মিলানে রকমারি সাজে নানান আয়োজনে প্রবাসীদের বৈশাখী অনুষ্ঠান সম্পন্ন বর্তমান পরিস্থিতির উপর দেশবাসীকে যে বার্তা দিলেন শায়খ নূরে আলম হামিদী স্বাধিনতা মানে শুধুমাত্র নিজস্ব মানচিত্র অর্জন নয়, চাই বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন

সংসদে প্রধানমন্ত্রীর শাড়ির রঙ নিয়ে আলোচনা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১০:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ৪৩৩ টাইম ভিউ

সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিধেয় বর্ণিল শাড়ির রঙের সঙ্গে বসন্তের আগমনী বার্তার তুলনা করে সরস আলোচনা করেন কয়েকজন সদস্য। বুধবারের (১২ ফেব্রুয়ারি) সে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নিজেও যোগ দেন। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও টিপ্পনী কাটেন।

প্রশ্নোত্তরের সময় ইস্যুটি উঠলেও তার রেশ ছিল আইন প্রণয়ন কার্যাবলীর সময় পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী বুধবার বর্ণিল (মাল্টি কালার) একটি শাড়ি পরে সংসদে আসেন। ওই শাড়িতে হলুদ রঙেরও ছাপাও ছিল। প্রশ্নোত্তরপর্বে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু সম্পূরক প্রশ্নের সুযোগ নিয়ে মূল প্রশ্নের আগে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, মাননীয় সংসদ নেত্রীকে দেখে আজকে মনে হল যে, বসন্ত খুব শিগগিরই।

এ প্রশ্নের জবাব দিতে উঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্যের জানা উচিত বসন্তের যে রঙ সেটা কিন্তু বাসন্তি রঙ। আমি কিন্তু বাসন্তি রঙ পরিনি। এখানে অনেক রঙ আছে। কালোও আছে। আমার মনে হচ্ছে মাননীয় সংসদ সদস্য কালার ব্লাইন্ড। এটা বাংলা করলে হয় রঙকানা। জানি না আজকে বাড়িতে গিয়ে ওনার কপালে কী আছে। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে সংসদ কক্ষে মৃদু হাসির রোল পড়ে যায়।

পরে আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে বাতিঘর বিল নিয়ে আলোচনার সময় জাতীয় পার্টির সিনিয়র সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম সংশোধনী প্রস্তাব দিতে গিয়ে আবারও এই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, আমার বন্ধু ( মুজিবুল হক চুন্নু) শুধু কালার ব্লাইন্ড নন, প্রতিবন্ধীও। এদিক-ওদিক ঘাড় ঘোরাতে পারেন না। অতদূরে (প্রধানমন্ত্রীকে) বাসন্তী রঙ দেখলো? মাননীয় স্পিকার, আপনার শাড়ির রঙও দেখলো না। সামনেই আমাদের নেত্রী মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রী আছেন তিনিও বাসন্তী রঙের শাড়ি পরেছেন। সেগুলো দেখলো না।

এর আগে বিরোধীদলীয় এই সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, এত কাছ থেকে বাতিঘর দেখিনি। জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার বাতিঘর আমাদের প্রধানমন্ত্রী।

পরে বিএনপির হারুনুর রশীদ জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব উত্থাপনের সময় বলেন, মাননীয় সদস্য ফখরুল ইমাম যেভাবে বললেন…। আমরা কিভাবে উত্থাপিত করবো? তিনি যে সংসদের আলো বা বাতিঘর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিএনপির রুমিন ফারহানা তার প্রস্তাব উত্থাপন করতে গিয়ে বলেন, সংসদের পরিবেশ খুব সুন্দর। আমি কথা বললে কতটুকু সুন্দর থাকবে জানি না। আমি জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।

পোস্ট শেয়ার করুন

সংসদে প্রধানমন্ত্রীর শাড়ির রঙ নিয়ে আলোচনা

আপডেটের সময় : ১০:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০

সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিধেয় বর্ণিল শাড়ির রঙের সঙ্গে বসন্তের আগমনী বার্তার তুলনা করে সরস আলোচনা করেন কয়েকজন সদস্য। বুধবারের (১২ ফেব্রুয়ারি) সে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নিজেও যোগ দেন। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও টিপ্পনী কাটেন।

প্রশ্নোত্তরের সময় ইস্যুটি উঠলেও তার রেশ ছিল আইন প্রণয়ন কার্যাবলীর সময় পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী বুধবার বর্ণিল (মাল্টি কালার) একটি শাড়ি পরে সংসদে আসেন। ওই শাড়িতে হলুদ রঙেরও ছাপাও ছিল। প্রশ্নোত্তরপর্বে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু সম্পূরক প্রশ্নের সুযোগ নিয়ে মূল প্রশ্নের আগে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, মাননীয় সংসদ নেত্রীকে দেখে আজকে মনে হল যে, বসন্ত খুব শিগগিরই।

এ প্রশ্নের জবাব দিতে উঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্যের জানা উচিত বসন্তের যে রঙ সেটা কিন্তু বাসন্তি রঙ। আমি কিন্তু বাসন্তি রঙ পরিনি। এখানে অনেক রঙ আছে। কালোও আছে। আমার মনে হচ্ছে মাননীয় সংসদ সদস্য কালার ব্লাইন্ড। এটা বাংলা করলে হয় রঙকানা। জানি না আজকে বাড়িতে গিয়ে ওনার কপালে কী আছে। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে সংসদ কক্ষে মৃদু হাসির রোল পড়ে যায়।

পরে আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে বাতিঘর বিল নিয়ে আলোচনার সময় জাতীয় পার্টির সিনিয়র সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম সংশোধনী প্রস্তাব দিতে গিয়ে আবারও এই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, আমার বন্ধু ( মুজিবুল হক চুন্নু) শুধু কালার ব্লাইন্ড নন, প্রতিবন্ধীও। এদিক-ওদিক ঘাড় ঘোরাতে পারেন না। অতদূরে (প্রধানমন্ত্রীকে) বাসন্তী রঙ দেখলো? মাননীয় স্পিকার, আপনার শাড়ির রঙও দেখলো না। সামনেই আমাদের নেত্রী মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রী আছেন তিনিও বাসন্তী রঙের শাড়ি পরেছেন। সেগুলো দেখলো না।

এর আগে বিরোধীদলীয় এই সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, এত কাছ থেকে বাতিঘর দেখিনি। জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার বাতিঘর আমাদের প্রধানমন্ত্রী।

পরে বিএনপির হারুনুর রশীদ জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব উত্থাপনের সময় বলেন, মাননীয় সদস্য ফখরুল ইমাম যেভাবে বললেন…। আমরা কিভাবে উত্থাপিত করবো? তিনি যে সংসদের আলো বা বাতিঘর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিএনপির রুমিন ফারহানা তার প্রস্তাব উত্থাপন করতে গিয়ে বলেন, সংসদের পরিবেশ খুব সুন্দর। আমি কথা বললে কতটুকু সুন্দর থাকবে জানি না। আমি জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।