নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছে ৩৫৯৭ নিউজ পোর্টাল : তথ্যমন্ত্রী
- আপডেটের সময় : ০৯:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০
- / ৩৯৩ টাইম ভিউ
বর্তমান সরকারের আমলে সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইন গণমাধ্যমের আবেদন জমা পড়েছে। সম্প্রচার ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নীতিমালা ইতোমধ্যে প্রণীত হয়েছে। অনলাইন গণমাধ্যম রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন জমা দান ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৯৭টি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনপত্রসমূহ যাচাই-বাছাই করে তালিকাসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।’
সোমবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের এমপি মোহাম্মদ আফজাল হোসেনের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের মেয়াদে জাতীয় তথ্য বাতায়ন এবং ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র চালু করে তথ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় নেয়া হয়েছে। সরকার জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠাসহ অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। সরকারের সম্প্রচার নীতিমালার কারণে বর্তমানে বেসরকারি খতে ৪৪টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩৩টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রণীত তথ্য অধিকার আইন বলবৎ রয়েছে এবং জনগণ এর সুফল ভোগ করছেন। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকবান্ধব বর্তমান সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে কোনো রকম হস্তক্ষেপ করছে না এবং এ সেক্টরের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে। বিশেষভাবে সংবাদপত্রের সাংবাদিকদের মানোন্নয়নের জন্য পিআইবি, গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে সারা বছরব্যাপী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের উদ্যোগে গত বছরের ১৭টি জেলায় প্রায় ১৫০০ জন সংবাদকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।’
এছাড়া সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা ও সাংবাদিকতার মানোন্নয়নে বিগত ছয় বছরে দেশের উপজেলা, স্থানীয় জেলা, প্রশাসনের সমন্বয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের ২৫টি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ইলেকট্রনিক মিডিয়ার উন্নয়নের জন্য আলাদাভাবে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়াও নবম ওয়েজ বোর্ডের ঘোষণা করা হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন চূড়ান্তকরণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।’
রংপুর-১ আসনের এমপি মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আকাশ সংস্কৃতির বর্তমান যুগে বিদেশি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের অবারিত সুযোগ রয়েছে। অপসংস্কৃতির আগ্রাসনরোধে রাষ্ট্রীয় তিনটি টিভি চ্যানেলসহ বেসরকারি প্রায় ৩০টির বেশি চ্যানেলে বাঙালি সংস্কৃতির নানা অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি, আবহমান বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য ও দেশীয় মূল্যবোধকে উপজীব্য করে নাটক, সঙ্গীতানুষ্ঠান, প্রামাণ্যচিত্র ইত্যাদি সম্প্রচারিত হচ্ছে। দেশের তরুণ সমাজকে দেশীয় সংস্কৃতিতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য তরুণদের উদ্দেশে নানাবিধ অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচার করা হচ্ছে। তাছাড়া জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী বিদেশি অপসংস্কৃতির আগ্রাসনরোধ কল্পে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে বিটিভি সমগ্র ভারতে দেখা যাচ্ছে। দেশে বেসরকারি টেলিভিশনের বিদেশি সিরিয়াল প্রদর্শনের ক্ষেত্রে অনুমতি নেয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।’