ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

পেঁয়াজ আমদানি করে বিপদে ভারত, বাংলাদেশকে কেনার অনুরোধ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৭:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২০
  • / ৩৬৪ টাইম ভিউ

রাজ্য সরকারের চাহিদা মত পেঁয়াজ আমদানি করে মহাবিপদের পড়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকার। বিভিন্ন প্রদেশের চাহিদার ভিত্তিতে পেঁয়াজ আমদানি করার পর এমন বিপদে পড়ে সরকার। বেশি দামে রাজ্য সরকারগুলোর চাহিদা মত পেঁয়াজ কিনে কেন্দ্রীয় সরকার এমন লেজে গোবরে পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগ রাজ্যই এখন তাদের চাহিদা প্রত্যাহার করে নেয়ায় এই বিপত্তি দেখা দিয়েছে।

পচে যাওয়ার আশঙ্কায় এখন বাংলাদেশকে প্রায় ১০০ থেকে দেড়শ ডলার কম দামে ওই পেঁয়াজ কিনে নিতে সোমবার ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার রকিবুল হকের সঙ্গে বৈঠকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

বৈঠকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভারতের জ্যেষ্ঠ এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির একটি ইংরেজি দৈনিককে এ তথ্য জানিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, ভারত বিদেশ থেকে মোট ৩৬ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির চুক্তি করেছে। ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে ১৮ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ পৌঁছেছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রদেশের সরকার আমদানিকৃত পেঁয়াজের মাত্র ৩ হাজার মেট্রিক টন নিয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ মুম্বাইয়ের জওহরলাল নেহরু বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের ভোক্তা কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজের মহারাষ্ট্র সরকার ১০ হাজার মেট্রিক টন, আসাম ৩ হাজার মেট্রিক টন, হরিয়ানা ৩ হাজার ৪৮০ মেট্রিক টন, কর্ণাটক ২৫০ মেট্রিক টন ও ওড়িশ্যা প্রদেশ সরকার ১০০ মেট্রিক টন চাহিদা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

গত নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ১০০ রুপি পেরিয়ে যাওয়ার পর এসব রাজ্য এই নিত্যপণ্যটি আমদানি করতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। এখন তারা আমদানিকৃত পেঁয়াজের উচ্চমূল্য এবং স্বাদের ভিন্নতার অজুহাত দেখিয়ে সেগুলো নিতে রাজি হচ্ছে না।

রাজ্যগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের আমদানিকৃত পেঁয়াজ নিতে রাজি না হওয়ায় সেগুলো পচে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ভারত এসব পেঁয়াজ প্রতি মেট্রিক টন ৫০ হাজার থেকে ৫৯ হাজার (৬০০ থেকে ৭০০ ডলারে) টাকায় আমদানি করেছে। এখন বাংলাদেশকে এসব পেঁয়াজ প্রতি মেট্রিক টন ৫৫০ থেকে ৫৮০ ডলারে কিনে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে মোদি সরকার।

তবে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার রকিবুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছে এবং নেপাল হয়ে আরও পেঁয়াজ দেশের বাজারে ঢোকার অপেক্ষায় আছে। সুতরাং বিনামূল্যে পরিবহনসহ ভারতের কিছু প্রণোদনা দেয়া উচিত।

প্রায় তিন মাস আগে ভারত সফরে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে প্রকাশ্যে নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। ওই সময় বাংলাদেশকে না জানিয়ে হঠাৎ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। যে কারণে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।

চারদিনের ওই সফরে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমি আশা করেছিলাম ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ার আগে আমাদের অন্তত জানাবে। আমি রাঁধুনিকে বলেছি, আমার কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং পেঁয়াজ ছাড়াই রান্না করতে হবে। আমি অনুরোধ করবো, আপনারা এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার আগে দয়া করে আমাদের অবগত করবেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

পেঁয়াজ আমদানি করে বিপদে ভারত, বাংলাদেশকে কেনার অনুরোধ

আপডেটের সময় : ০৭:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২০

রাজ্য সরকারের চাহিদা মত পেঁয়াজ আমদানি করে মহাবিপদের পড়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকার। বিভিন্ন প্রদেশের চাহিদার ভিত্তিতে পেঁয়াজ আমদানি করার পর এমন বিপদে পড়ে সরকার। বেশি দামে রাজ্য সরকারগুলোর চাহিদা মত পেঁয়াজ কিনে কেন্দ্রীয় সরকার এমন লেজে গোবরে পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগ রাজ্যই এখন তাদের চাহিদা প্রত্যাহার করে নেয়ায় এই বিপত্তি দেখা দিয়েছে।

পচে যাওয়ার আশঙ্কায় এখন বাংলাদেশকে প্রায় ১০০ থেকে দেড়শ ডলার কম দামে ওই পেঁয়াজ কিনে নিতে সোমবার ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার রকিবুল হকের সঙ্গে বৈঠকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

বৈঠকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভারতের জ্যেষ্ঠ এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির একটি ইংরেজি দৈনিককে এ তথ্য জানিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, ভারত বিদেশ থেকে মোট ৩৬ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির চুক্তি করেছে। ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে ১৮ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ পৌঁছেছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রদেশের সরকার আমদানিকৃত পেঁয়াজের মাত্র ৩ হাজার মেট্রিক টন নিয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ মুম্বাইয়ের জওহরলাল নেহরু বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের ভোক্তা কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজের মহারাষ্ট্র সরকার ১০ হাজার মেট্রিক টন, আসাম ৩ হাজার মেট্রিক টন, হরিয়ানা ৩ হাজার ৪৮০ মেট্রিক টন, কর্ণাটক ২৫০ মেট্রিক টন ও ওড়িশ্যা প্রদেশ সরকার ১০০ মেট্রিক টন চাহিদা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

গত নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ১০০ রুপি পেরিয়ে যাওয়ার পর এসব রাজ্য এই নিত্যপণ্যটি আমদানি করতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। এখন তারা আমদানিকৃত পেঁয়াজের উচ্চমূল্য এবং স্বাদের ভিন্নতার অজুহাত দেখিয়ে সেগুলো নিতে রাজি হচ্ছে না।

রাজ্যগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের আমদানিকৃত পেঁয়াজ নিতে রাজি না হওয়ায় সেগুলো পচে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ভারত এসব পেঁয়াজ প্রতি মেট্রিক টন ৫০ হাজার থেকে ৫৯ হাজার (৬০০ থেকে ৭০০ ডলারে) টাকায় আমদানি করেছে। এখন বাংলাদেশকে এসব পেঁয়াজ প্রতি মেট্রিক টন ৫৫০ থেকে ৫৮০ ডলারে কিনে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে মোদি সরকার।

তবে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার রকিবুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছে এবং নেপাল হয়ে আরও পেঁয়াজ দেশের বাজারে ঢোকার অপেক্ষায় আছে। সুতরাং বিনামূল্যে পরিবহনসহ ভারতের কিছু প্রণোদনা দেয়া উচিত।

প্রায় তিন মাস আগে ভারত সফরে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে প্রকাশ্যে নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। ওই সময় বাংলাদেশকে না জানিয়ে হঠাৎ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। যে কারণে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।

চারদিনের ওই সফরে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমি আশা করেছিলাম ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ার আগে আমাদের অন্তত জানাবে। আমি রাঁধুনিকে বলেছি, আমার কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং পেঁয়াজ ছাড়াই রান্না করতে হবে। আমি অনুরোধ করবো, আপনারা এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার আগে দয়া করে আমাদের অবগত করবেন।