ঢাকা , শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে

জ্ঞানকে মানবকল্যাণে কাজে লাগাতে হবে

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৭:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২০
  • / ৩৬৬ টাইম ভিউ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর বুকে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নশীল একটি দেশ। দারিদ্র্য নিরসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে বহির্বিশ্বে দেশটি এখন রোল মডেল। বিশ্বে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের ওপরে। অর্থনীতিবিদদের ধারণা ২০২৪ সাল নাগাদ এই হার হবে ১০ শতাংশের ওপরে।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনে সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সময় এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাওয়ার। সময় এখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার, পথ চলবার। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দেশের সর্বস্তরের মানুষের অবদান খুবই প্রশংসনীয়।

গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেকোনো দেশের উন্নয়নে ও ইতিবাচক পরিবর্তনে তরুণ সমাজই মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে থাকে। আমাদের দেশও তার ব্যতিক্রম নয়। সুতরাং আজ তোমরা যারা গ্র্যাজুয়েট হলে, আমার সামনে এই যে তরুণ প্রজন্ম, তোমরা এক-একটি আলোর প্রদীপ। তোমাদের সকলকে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় এগিয়ে আসতে হবে। কাঁধে নিতে হবে দেশ ও জাতির দায়ভার। তোমাদের মেধা ও শ্রমেই গড়ে উঠবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কঠোর জ্ঞানতপস্যা ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে তোমরা ডিগ্রি অর্জন করেছো। তোমরা ভালো করেই জানো তোমাদের বিদ্যালাভ ও সত্যিকার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে যারা শক্তি সাহস ও অর্থ যুগিয়েছেন তারা হচ্ছেন এ দেশের জনগণ। তাই দেশের জনগণের প্রতি জীবনব্যাপী তোমাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা জাতি প্রত্যাশা করে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রই এখন বিজ্ঞান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নিজেদের শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলেছে। তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর নতুন এই বিশ্ব ব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত যেকোনো অসামর্থ্যই দেশকে পিছিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশকে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন নিরন্তর গবেষণা। নিত্য নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও তার প্রসারের ওপরই নির্ভর করে দেশের সমৃদ্ধি। জ্ঞানকে মানবকল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। নতুন জ্ঞান তৈরি করতে হবে।

সমাবর্তনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ। সমাবর্তন বক্তার বক্তব্য দেন জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ২০ জন গ্র্যাজুয়েটকে স্বর্ণপদক প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ।

পোস্ট শেয়ার করুন

জ্ঞানকে মানবকল্যাণে কাজে লাগাতে হবে

আপডেটের সময় : ০৭:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২০

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর বুকে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নশীল একটি দেশ। দারিদ্র্য নিরসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে বহির্বিশ্বে দেশটি এখন রোল মডেল। বিশ্বে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের ওপরে। অর্থনীতিবিদদের ধারণা ২০২৪ সাল নাগাদ এই হার হবে ১০ শতাংশের ওপরে।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনে সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সময় এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাওয়ার। সময় এখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার, পথ চলবার। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দেশের সর্বস্তরের মানুষের অবদান খুবই প্রশংসনীয়।

গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেকোনো দেশের উন্নয়নে ও ইতিবাচক পরিবর্তনে তরুণ সমাজই মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে থাকে। আমাদের দেশও তার ব্যতিক্রম নয়। সুতরাং আজ তোমরা যারা গ্র্যাজুয়েট হলে, আমার সামনে এই যে তরুণ প্রজন্ম, তোমরা এক-একটি আলোর প্রদীপ। তোমাদের সকলকে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় এগিয়ে আসতে হবে। কাঁধে নিতে হবে দেশ ও জাতির দায়ভার। তোমাদের মেধা ও শ্রমেই গড়ে উঠবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কঠোর জ্ঞানতপস্যা ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে তোমরা ডিগ্রি অর্জন করেছো। তোমরা ভালো করেই জানো তোমাদের বিদ্যালাভ ও সত্যিকার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে যারা শক্তি সাহস ও অর্থ যুগিয়েছেন তারা হচ্ছেন এ দেশের জনগণ। তাই দেশের জনগণের প্রতি জীবনব্যাপী তোমাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা জাতি প্রত্যাশা করে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রই এখন বিজ্ঞান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নিজেদের শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলেছে। তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর নতুন এই বিশ্ব ব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত যেকোনো অসামর্থ্যই দেশকে পিছিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশকে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন নিরন্তর গবেষণা। নিত্য নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও তার প্রসারের ওপরই নির্ভর করে দেশের সমৃদ্ধি। জ্ঞানকে মানবকল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। নতুন জ্ঞান তৈরি করতে হবে।

সমাবর্তনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ। সমাবর্তন বক্তার বক্তব্য দেন জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ২০ জন গ্র্যাজুয়েটকে স্বর্ণপদক প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ।