ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

কুলাউড়ার কর্মধায় স্কুল ঘর দেখিয়ে জায়গা দখলের পায়তারা

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ১০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২০
  • / ৩৩৬ টাইম ভিউ

স্টাফ রিপোর্টারঃ কুলাউড়ার কর্মধায় স্কুল ঘর দেখিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টা করছে একদল ভূমিখেকো। তারা কৌশলে অন্যার মালিকানাদিন জায়গায় রুপনকৃত বিভিন্ন প্রজাতির কয়েকশত গাছ ও কেটে ফেলেছে।

এঘটনায় প্রতিকার ছেয়ে মৌলভীবাজার আদালতে ভূমিখেকোদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে জায়গার মালিক।

স্থানীয় ও মামলা সুত্রে জানা যায় উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পূর্ব ফটিগুলি গ্রামের মৃত নিয়ামত আলীর মালিকানাধিন ২৪ শতক জায়গা যার দাগ নং ৮৪, খতিয়ান নং ১৯১, জেল নং ১২০,মৌজা আচগরাবাদ, উপর ২০০২ সালের দিকে এলাকার ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক পাঠদানের লক্ষ্যে স্থানীয়দের অনুরোধে ওই জায়গার উপর একটি ব্যাক স্কুল নির্মাণ করেন। তখন ব্রাক কর্তৃপক্ষ ৫ বছরের জন্য মাসিক ভাড়া নির্ধারন করে একটি চুক্তি করে। সেই সময় ব্রাক থেকে যে ভাড়া আসতো তখন সেই টাকা গুলো জমির প্রকৃত মালিক নিয়ামত আলীকে না দিয়ে তার পাশ্ববর্তী বাড়ির ভাতিজা হারিছ আলী সেই টাকা গুলো হাতিয়ে নিয়েছিলো। শুধু তাই নয় ওই ব্রাক স্কুল দেখিয়ে তৎকালীন এমপির কাছ থেকে টিন ও টিবওয়েল বরাদ্ধ এনে তা তার নিজ বাড়িতে নিয়ে লাগিয়েছিলো।

পরে ৫ বছর পর ব্রাক স্কুলের চুক্তি শেষ হয়ে গেলে স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এর পর পরিত্যক্ত হয়ে পরে সেই স্কুল ঘরটি। জায়গার মালিক নিয়ামত আলী মারা যাওয়ার পর তার ছেলে হাসান আলী ও জহুর আলী স্কুলের পাশের জায়গা গুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রুপন করেন। গাছ গুলো ধিরে ধিরে বড় হয়ে উঠলে ও প্রায় সময় হারিছ আলী ও একই গ্রামের সুরুজ আলী (গংরা) কেটে ফেলার চেষ্টা চালায়।

এক পর্যায়ে গত ৩০ ডিসেম্বর হারিছ গংরা দলবল ও লাঠিশটা নিয়ে রুপনকৃত গাছগুলো কেটে ফেলে। এসময় জায়গার মালিক পক্ষরা বাঁধা দিতে এলে তাদের উপর অর্তকৃত হামলা চালায়।

এ ঘটনায় নিয়ামত আলীর ছেলে হাসান আলী গত ১ জানুয়ারী মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট এর ৫ নং আমল আদালতে এডভোকেট হেলাল আহমেদ খানের মাধ্যমে সুরুজ আলী ও হারিছ আলীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা( নং-০৪) দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কুলাউড়া থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

জায়গার মালিক মৃত নিয়ামত আলীর পুত্র প্রবাসী জহুর আলী জানান, একই এলাকার হারিছ আলী ও সুরজ আলী তারা ভূমিখেকো হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তারা আমাদের জায়গাটি দখল করার জন্য একটি পুরাতন জরাক্ষীর্ন ব্যাক স্কুল ঘরকে স্কুলের জায়গা দেখিয়ে দখলের চেষ্টা করছে। ইতি মধ্যে তারা ওই জায়গাটি ফটিগুলী বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে মর্মে নাম দেখিয়ে বিগত স্যাটেলমেন্ট জরিপে বিপিতে অন্তর্ভুক্ত করে নেন। কিন্তু বাস্তবে সেখানে ওই নামে কোন স্কুলের অস্থিত নেই। আমরা প্রশাসনের তদন্তের মাধ্যমে এসব প্রতারক ও ভূমিখেকোদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া অনুরোধ করছি।

এব্যাপারে কুলাউড়া প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মামুনুর রহমান জানান,ফটিগুলী বেসরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় নামে আমাদের কোন স্কুল নেই। এছাড়া উপজেলায় এই নামে অফিসিয়ালী কোন রেকর্ড নেই। তবে ফটিগুলি (রেজি:) একটি স্কুল রয়েছে যা বর্তমানে সরকারী হয়েে গেছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

কুলাউড়ার কর্মধায় স্কুল ঘর দেখিয়ে জায়গা দখলের পায়তারা

আপডেটের সময় : ১০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ কুলাউড়ার কর্মধায় স্কুল ঘর দেখিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টা করছে একদল ভূমিখেকো। তারা কৌশলে অন্যার মালিকানাদিন জায়গায় রুপনকৃত বিভিন্ন প্রজাতির কয়েকশত গাছ ও কেটে ফেলেছে।

এঘটনায় প্রতিকার ছেয়ে মৌলভীবাজার আদালতে ভূমিখেকোদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে জায়গার মালিক।

স্থানীয় ও মামলা সুত্রে জানা যায় উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পূর্ব ফটিগুলি গ্রামের মৃত নিয়ামত আলীর মালিকানাধিন ২৪ শতক জায়গা যার দাগ নং ৮৪, খতিয়ান নং ১৯১, জেল নং ১২০,মৌজা আচগরাবাদ, উপর ২০০২ সালের দিকে এলাকার ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক পাঠদানের লক্ষ্যে স্থানীয়দের অনুরোধে ওই জায়গার উপর একটি ব্যাক স্কুল নির্মাণ করেন। তখন ব্রাক কর্তৃপক্ষ ৫ বছরের জন্য মাসিক ভাড়া নির্ধারন করে একটি চুক্তি করে। সেই সময় ব্রাক থেকে যে ভাড়া আসতো তখন সেই টাকা গুলো জমির প্রকৃত মালিক নিয়ামত আলীকে না দিয়ে তার পাশ্ববর্তী বাড়ির ভাতিজা হারিছ আলী সেই টাকা গুলো হাতিয়ে নিয়েছিলো। শুধু তাই নয় ওই ব্রাক স্কুল দেখিয়ে তৎকালীন এমপির কাছ থেকে টিন ও টিবওয়েল বরাদ্ধ এনে তা তার নিজ বাড়িতে নিয়ে লাগিয়েছিলো।

পরে ৫ বছর পর ব্রাক স্কুলের চুক্তি শেষ হয়ে গেলে স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এর পর পরিত্যক্ত হয়ে পরে সেই স্কুল ঘরটি। জায়গার মালিক নিয়ামত আলী মারা যাওয়ার পর তার ছেলে হাসান আলী ও জহুর আলী স্কুলের পাশের জায়গা গুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রুপন করেন। গাছ গুলো ধিরে ধিরে বড় হয়ে উঠলে ও প্রায় সময় হারিছ আলী ও একই গ্রামের সুরুজ আলী (গংরা) কেটে ফেলার চেষ্টা চালায়।

এক পর্যায়ে গত ৩০ ডিসেম্বর হারিছ গংরা দলবল ও লাঠিশটা নিয়ে রুপনকৃত গাছগুলো কেটে ফেলে। এসময় জায়গার মালিক পক্ষরা বাঁধা দিতে এলে তাদের উপর অর্তকৃত হামলা চালায়।

এ ঘটনায় নিয়ামত আলীর ছেলে হাসান আলী গত ১ জানুয়ারী মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট এর ৫ নং আমল আদালতে এডভোকেট হেলাল আহমেদ খানের মাধ্যমে সুরুজ আলী ও হারিছ আলীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা( নং-০৪) দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কুলাউড়া থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

জায়গার মালিক মৃত নিয়ামত আলীর পুত্র প্রবাসী জহুর আলী জানান, একই এলাকার হারিছ আলী ও সুরজ আলী তারা ভূমিখেকো হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তারা আমাদের জায়গাটি দখল করার জন্য একটি পুরাতন জরাক্ষীর্ন ব্যাক স্কুল ঘরকে স্কুলের জায়গা দেখিয়ে দখলের চেষ্টা করছে। ইতি মধ্যে তারা ওই জায়গাটি ফটিগুলী বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে মর্মে নাম দেখিয়ে বিগত স্যাটেলমেন্ট জরিপে বিপিতে অন্তর্ভুক্ত করে নেন। কিন্তু বাস্তবে সেখানে ওই নামে কোন স্কুলের অস্থিত নেই। আমরা প্রশাসনের তদন্তের মাধ্যমে এসব প্রতারক ও ভূমিখেকোদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া অনুরোধ করছি।

এব্যাপারে কুলাউড়া প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মামুনুর রহমান জানান,ফটিগুলী বেসরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় নামে আমাদের কোন স্কুল নেই। এছাড়া উপজেলায় এই নামে অফিসিয়ালী কোন রেকর্ড নেই। তবে ফটিগুলি (রেজি:) একটি স্কুল রয়েছে যা বর্তমানে সরকারী হয়েে গেছে।