ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ, বাস-ট্রেনে আগুন

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১২:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ৩৯৭ টাইম ভিউ

দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ওই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।

বেশ কিছু দোকান-পাট, টিকিট কাউন্টার, ১৫টি বাস ও পাঁচটি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলা রেল স্টেশনে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে।

এর আগে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে অনুমোদন দেওয়ার পর বিলটি আইনে পরিণত হয়।

এই ঘটনার পর পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতিও অশান্ত হতে শুরু করে। শুক্রবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেল অবরোধ করে রাখা হয়। শনিবারও প্রতিবাদ, সহিংসতা অব্যাহত ছিল।

এর আগে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে আসামে। সেখানে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় গুয়াহাটিতে কারফিউ জারি করা হয়। যদিও পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় ধীরে ধীরে সেখানেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু এবার পশ্চিমবঙ্গে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছেই।

এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের মানুষকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ-আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের উদ্দেশে মমতা বলেন, ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করবেন না, উত্তেজনা বা আতঙ্ক ছড়াবেন না, সাম্প্রদায়িক উসকানিতে পা দেবেন না।

সংবাদ সংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলার পোড়াডাঙা, জঙ্গিপুর এবং ফারাক্কা স্টেশন এবং হাওড়া জেলার দক্ষিণ পূর্ব রেলপথে বাউরিয়া ও নলপুর স্টেশনগুলোতে দফায় দফায় রেল অবরোধ করেছে বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি তারা রাজ্য পরিবহন দফতরের অধীনস্থ তিনটি সরকারি বাসসহ পনেরোটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।

অপরদিকে হাওড়ায় সাঁকরাইল রেলস্টেশন ও এর আশপাশে কয়েকশো মানুষ রাস্তা অবরোধ করার পাশাপাশি কয়েকটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। স্টেশন কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে টিকিট কাউন্টারেও আগুন লাগিয়ে দেয় তারা।

পোস্ট শেয়ার করুন

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ, বাস-ট্রেনে আগুন

আপডেটের সময় : ১২:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯

দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ওই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।

বেশ কিছু দোকান-পাট, টিকিট কাউন্টার, ১৫টি বাস ও পাঁচটি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলা রেল স্টেশনে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে।

এর আগে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে অনুমোদন দেওয়ার পর বিলটি আইনে পরিণত হয়।

এই ঘটনার পর পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতিও অশান্ত হতে শুরু করে। শুক্রবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেল অবরোধ করে রাখা হয়। শনিবারও প্রতিবাদ, সহিংসতা অব্যাহত ছিল।

এর আগে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে আসামে। সেখানে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় গুয়াহাটিতে কারফিউ জারি করা হয়। যদিও পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় ধীরে ধীরে সেখানেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু এবার পশ্চিমবঙ্গে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছেই।

এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের মানুষকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ-আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের উদ্দেশে মমতা বলেন, ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করবেন না, উত্তেজনা বা আতঙ্ক ছড়াবেন না, সাম্প্রদায়িক উসকানিতে পা দেবেন না।

সংবাদ সংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলার পোড়াডাঙা, জঙ্গিপুর এবং ফারাক্কা স্টেশন এবং হাওড়া জেলার দক্ষিণ পূর্ব রেলপথে বাউরিয়া ও নলপুর স্টেশনগুলোতে দফায় দফায় রেল অবরোধ করেছে বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি তারা রাজ্য পরিবহন দফতরের অধীনস্থ তিনটি সরকারি বাসসহ পনেরোটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।

অপরদিকে হাওড়ায় সাঁকরাইল রেলস্টেশন ও এর আশপাশে কয়েকশো মানুষ রাস্তা অবরোধ করার পাশাপাশি কয়েকটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। স্টেশন কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে টিকিট কাউন্টারেও আগুন লাগিয়ে দেয় তারা।