ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

আজ সালাম মাহমুদ ভাইয়ের শুভজন্মদিন

মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন
  • আপডেটের সময় : ১২:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ৮৭৬ টাইম ভিউ

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি, আবুল কালাম আজাদ সাহেবের একটি উক্তি দিয়ে শুরু—’ মেধাবী হয়ে গর্ব করার কিছু নেই, শয়তান ও কিন্তু খুব মেধাবী। মনুষত্য আর সততা না থাকলে সে মেধা ঘৃণিত’।

মনে করুন কুলাউড়ায় একটি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম করা হলো কিন্তু আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম হলেই এখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন হয়ে যাবে?
না, কারণ এখানে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নেই, ফাইভাষ্টার হোটেল নেই, উন্নত আবাসন ব্যবস্থা নেই এগুলো থাকলে চিন্তা করতে হবে।

এমনি ভাবে একজন সালাম মাহমুদ ভাইকে চিনতে হলে সবকিছু লাগবে।

সাহিত্য এমন একটি ধারা যেখানে অনেক চড়াই উতরাই পার করে পৌছাতে হয়…আবেগ আর বাস্তবতার নিরিখে আপেক্ষিকতায় খাপ খেয়ে একটা ইমিগ্রেশনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

জীবনের প্রতিটি মূহুর্তকে শেখার উপলক্ষ হিসেবে ধরে নিতে হবে। এখানে সফলতা, ব্যর্থতা, আলোচনা, সমালোচনা এগুলো থাকবেই… সাহিত্যর সাগরে অনেক যাত্রী ডুবুরী হয়ে মুক্তা আনতে গিয়ে অকূল পাথারে হারিয়ে যায়…গবেষণা করতে করতে হারিয়ে ফেলে নিজের সক্রিয় মেমরীকে।
কিন্তু, এ জগতে পুনঃপুন অবস্থান করছেন আমাদের সালাম মাহমুদ ভাই। চিন্তা করেন!

তাঁকে শুধু কবি হিসেবে সম্ভোধন করলে পূর্ণতা পাবেনা। তিনি সম- পরিমাপে একজন সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সম্পাদক; প্রকাশক কলামিস্ট ও গবেষক।বাংলাদেশের তৃণমূল সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন রুরাল জার্নালিষ্ট ফাউন্ডেশন আর জে এফ এর কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের বৈদ্যশাসন গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর পিতার নাম : ডাক্তার আব্দুর রহমান যিনি বৈদ্যশাসন জামে মসজিদের দীর্ঘদিন ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তার পেশার পাশাপাশি। তিনি আমার একজন উস্তাদ।

তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সালাম মাহমুদ ভাই সবার বড়। দ্বিতীয় ভাই আবু সালেহ প্রবাস থাকেন এবং ছোট ভাই আহাদ মাহমুদ বাংলাদেশ পুলিশের উপ-পরিদর্শক পদে দায়িত্ববান অফিসার হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ও দুই কন্যা সন্তানের জনক।

বাংলা সাহিত্য নিয়ে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে অনার্স এবং ঢাকা সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করে পরবর্তীতে ঢাকা ল কলেজ থেকে আইন বিভাগে পড়াশোনা করেছেন।

কর্মজীবনে তিনি বিজিআইসিতে জনসংযোগ বিভাগে প্রধান ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় সাপ্তাহিক অর্থকাল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে তিনি যথেষ্ট সুনাম অর্জন করছেন।

সাহিত্যর ভূমিতে রোপন করেছেন,” সাহিত্যের ছোট কাগজ পরাগ” যার শাখা প্রশাখা বিস্তার করে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও প্রসারিত হচ্ছে। দেশ-বিদেশের অগ্রসারির লেখকবৃন্দ পরাগে নিয়মিত লেখেন।

সালাম মাহমুদের লেখা সাহিত্যর সাগরে সবচেয়ে আলোচিত কবিতা “জলাঞ্জলি” অনেকবার অনেকের মুখে আবৃত্তি হয়েছে …জিতেছে প্রথম পুরুষ্কার!
তাঁর আরো উল্লেখিত কবিতাগুলি হলো: মৃত্তিকার দীর্ঘশ্বাস, খোলস, প্রেমের পঙক্তিমালা ও ক্রোধের ঘ্রাণ উল্লেখযোগ্য।

কবি হিসেবে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ “প্লাটফর্মে ট্রেন ” প্রকাশিত হয় ২০০১সালে। তারও একযুগের মধ্যে দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ “মৃত্তিকার দীর্ঘশ্বাস প্রকাশিত হয় ২০১২ সালে।এছাড়া আরো একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পথে আমরা হাতে পাব ২০২০ সালের একুশের বইমেলায়।

মৃত্তিকার দীর্ঘশাস কাব্যগ্রন্থটি কবি নজরুল সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেছে কুমিল্লা নজরুল ইনষ্টিটিউট থেকে। তার সম্পাদিত পরাগ সেরা লিটলম্যাগ হিসেবে কাব্যকথা পুরস্কার অর্জন করেছে। সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য জালালাবাদ সম্মাননা সহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন সালাম মাহমুদ।

নিজ গ্রামে শিক্ষা ও সাহিত্যর প্রতি দুর্বলতা দেখে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ উদার দিগন্ত সাহিত্য সংসদ ও পাঠাগার’ নামে একটি মূল ধারার সংগঠন। যেখানে তিনি প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। সালাম মাহমুদ মনে করেন বই মানুষকে আলোকিত করে। বই হচ্ছে মানুষের নিরব বন্ধু। পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি সৃজনশীল পুস্তক পড়ে জ্ঞানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্য এলাকায় তিনি পাঠাগার স্থাপন করেছেন। এই পাঠাগারে খুব ভালো বই তিনি সংরক্ষণ করেছেন। মানুষ এখানে বই পড়ার পর্যাপ্ত পরিমাণে সুযোগ পাচ্ছে।

এলাকার একঝাক তরুণ উদার দিগন্ত সাহিত্য সংসদ ও পাঠাগারের সাথে জড়িত রয়েছে। সবাই সালাম মাহমুদ ভাইকে অভিভাবক হিসেবে মানে। এলাকার উন্নয়নের জন্য তরুণ প্রজন্ম কাজ করছে সালাম মাহমুদ ভাইয়ের নেতৃত্বে। এই সংগঠনের মাধ্যমে সালাম মাহমুদ ভাই দরিদ্র মানুষের মাঝে প্রতি বছর কম্বল বিতরণ করছেন, সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মানুষের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করছেন। অসহায় মানুষকে স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতা করছেন। এছাড়াও জনকল্যাণমুখী প্রচুর কাজ করছেন যা সংক্ষিপ্ত পরিসরে শেষ করা যাবে না।

বাংলাদেশের মত দেশে একজন সালাম মাহমুদ ভাই নিজেকে গড়েছেন স্বপ্নের মত করে…কোনোদিন কারো সমালোচনায় ভড়কে যাননি বরং সমালোচকদের ভদ্র জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হাডুডুর মত পেছন ধরে কেউ তাঁকে আটকাতে পারেনি।

রাজধানি ঢাকায় তিনি বসবাস করেন কিন্তু দূরে থেকেও এ গ্রামের মানুষগুলোর খোঁজখবর রাখেন। খুঁটে খুঁটে এলাকার উদীয়মান তরুণ প্রতিভা বের করে আনেন। কেউ উচ্চশিক্ষা নিয়ে পড়াশোনা করতে দেখলে তিনি অত্যান্ত খুশি হন। সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসেন। দরিদ্র শিক্ষার্থদেরকে সহযোগিতার জন্য তিনি সবসময় উন্মুক্ত থাকেন।

সালাম মাহমুদ ভাই খুব ভালো একজন সংগঠক। তার মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ধৈর্য্য আছে। কেউ তাকে কিছু বললে সহজে রাগেন না। তাকে কখনো রাগ করে কথা বলতে দেখিনি। তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। ফলে সিলেট বিভাগের যথ বড় সংগঠন আছে সবগুলোতে তিনি নির্বাহী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।

এলাকায় আসা মাত্র ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেন। সবার সাথে ফোনে যোগাযোগ করে মিটিং করার ব্যবস্থা করেন। আলোচনা সভায় সবাইকে কথা বলার সুযোগ দেন এবং মনোযোগ দিয়ে কথাগুলো শোনেন। কাউকে অবহেলার চোখে দেখেন না কখনো। এলাকাবাসীর উদ্যোগে হযরত চাঁনশা (রহঃ) এর বার্ষিক ঈসালে সওয়াব মাহফিলে তিনি অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন।

সত্যি কথা বলতে গেলে একজন সালাম মাহমুদ ভাই হতে হলে বহু বছর সাধনা করে তাঁর স্থানে যেতে হবে।

কিছু মানুষের যোগ্যতা দুই আনা, ভাব নেয় দশ আনা,
সস্তা দালাল দিয়ে দাম বাড়ায় আরো বিশ আনা কিন্তু আসলে সে ফাঁকা মাঠের খেলোয়ার।
সালাম মাহমুদ ভাইয়ের যোগ্যতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলার ফাঁক পাবেননা… আমি তাঁর ছাত্র এবং উদার দিগন্তের সাহিত্য সংসদ ও পাঠাগারের সাহিত্য সম্পাদক।

টিলাগাঁও যে কয়েকজন কৃতিসন্তান বুকে ধরে লালন করছে তার মধ্যে তিনি অন্যতম। সাহিত্যজগতে সালাম মাহমুদ ভাইয়ের অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর সম্পর্কে বলতে গেলে পুরোদমে একটি পুস্থক রচনা করলেও বলা শেষ হবে না।

ব্যক্তি সালাম মাহমুদ ভাইয়ের ব্যবহার সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। আমার দেখামতে তিনি একজন ভালো মনের অধিকারী। তিনি সত্যকে সত্য বলেন, মিথ্যাকে মিথ্যা বলেন। মানুষের উপকারে সব সময় এগিয়ে আসেন। যে কোনো মানুষ তার নিকট কোনো সহযোগিতার জন্য গেলে সাথে সাথেই কাজ করে দেন। বিশেষ করে এলাকার মানুষের প্রতি তার আন্তরিকতার কোনো শেষ নেই।

হিংসা কখনো আলোর পথ হতে পারেনা হিংসা প্রতিভা ও মনুষত্য দু’টিই ধ্বংশ করে।

সালাম মাহমুদ ভাইয়ের মধ্যে আমি কোনোদিন দেখিনি হিংসা অথবা অহংকার। কোনো মানুষের বিরোধে কোনো কথা কখনো তিনি বলেন না। সবসময় মানুষকে ভালো কাজের জন্য উৎসাহ প্রদান করেন।

সালাম মাহমুদ ভাই চৌকস মেধাবী হওয়ার দরুণ তিনি একজন সু- প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি হতে পেরেছেন।

আজ এই জীবন্ত কীর্তিমানের জন্মদিন। তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম নিউজ পোার্টাল করে। জন্মদিনে আপনার প্রতি রইলো নিরন্তর শুভ কামনা।
শুভ জন্মদিন প্রিয়জন।

পোস্ট শেয়ার করুন

আজ সালাম মাহমুদ ভাইয়ের শুভজন্মদিন

আপডেটের সময় : ১২:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি, আবুল কালাম আজাদ সাহেবের একটি উক্তি দিয়ে শুরু—’ মেধাবী হয়ে গর্ব করার কিছু নেই, শয়তান ও কিন্তু খুব মেধাবী। মনুষত্য আর সততা না থাকলে সে মেধা ঘৃণিত’।

মনে করুন কুলাউড়ায় একটি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম করা হলো কিন্তু আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম হলেই এখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন হয়ে যাবে?
না, কারণ এখানে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নেই, ফাইভাষ্টার হোটেল নেই, উন্নত আবাসন ব্যবস্থা নেই এগুলো থাকলে চিন্তা করতে হবে।

এমনি ভাবে একজন সালাম মাহমুদ ভাইকে চিনতে হলে সবকিছু লাগবে।

সাহিত্য এমন একটি ধারা যেখানে অনেক চড়াই উতরাই পার করে পৌছাতে হয়…আবেগ আর বাস্তবতার নিরিখে আপেক্ষিকতায় খাপ খেয়ে একটা ইমিগ্রেশনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

জীবনের প্রতিটি মূহুর্তকে শেখার উপলক্ষ হিসেবে ধরে নিতে হবে। এখানে সফলতা, ব্যর্থতা, আলোচনা, সমালোচনা এগুলো থাকবেই… সাহিত্যর সাগরে অনেক যাত্রী ডুবুরী হয়ে মুক্তা আনতে গিয়ে অকূল পাথারে হারিয়ে যায়…গবেষণা করতে করতে হারিয়ে ফেলে নিজের সক্রিয় মেমরীকে।
কিন্তু, এ জগতে পুনঃপুন অবস্থান করছেন আমাদের সালাম মাহমুদ ভাই। চিন্তা করেন!

তাঁকে শুধু কবি হিসেবে সম্ভোধন করলে পূর্ণতা পাবেনা। তিনি সম- পরিমাপে একজন সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সম্পাদক; প্রকাশক কলামিস্ট ও গবেষক।বাংলাদেশের তৃণমূল সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন রুরাল জার্নালিষ্ট ফাউন্ডেশন আর জে এফ এর কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের বৈদ্যশাসন গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর পিতার নাম : ডাক্তার আব্দুর রহমান যিনি বৈদ্যশাসন জামে মসজিদের দীর্ঘদিন ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তার পেশার পাশাপাশি। তিনি আমার একজন উস্তাদ।

তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সালাম মাহমুদ ভাই সবার বড়। দ্বিতীয় ভাই আবু সালেহ প্রবাস থাকেন এবং ছোট ভাই আহাদ মাহমুদ বাংলাদেশ পুলিশের উপ-পরিদর্শক পদে দায়িত্ববান অফিসার হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ও দুই কন্যা সন্তানের জনক।

বাংলা সাহিত্য নিয়ে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে অনার্স এবং ঢাকা সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করে পরবর্তীতে ঢাকা ল কলেজ থেকে আইন বিভাগে পড়াশোনা করেছেন।

কর্মজীবনে তিনি বিজিআইসিতে জনসংযোগ বিভাগে প্রধান ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় সাপ্তাহিক অর্থকাল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে তিনি যথেষ্ট সুনাম অর্জন করছেন।

সাহিত্যর ভূমিতে রোপন করেছেন,” সাহিত্যের ছোট কাগজ পরাগ” যার শাখা প্রশাখা বিস্তার করে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও প্রসারিত হচ্ছে। দেশ-বিদেশের অগ্রসারির লেখকবৃন্দ পরাগে নিয়মিত লেখেন।

সালাম মাহমুদের লেখা সাহিত্যর সাগরে সবচেয়ে আলোচিত কবিতা “জলাঞ্জলি” অনেকবার অনেকের মুখে আবৃত্তি হয়েছে …জিতেছে প্রথম পুরুষ্কার!
তাঁর আরো উল্লেখিত কবিতাগুলি হলো: মৃত্তিকার দীর্ঘশ্বাস, খোলস, প্রেমের পঙক্তিমালা ও ক্রোধের ঘ্রাণ উল্লেখযোগ্য।

কবি হিসেবে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ “প্লাটফর্মে ট্রেন ” প্রকাশিত হয় ২০০১সালে। তারও একযুগের মধ্যে দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ “মৃত্তিকার দীর্ঘশ্বাস প্রকাশিত হয় ২০১২ সালে।এছাড়া আরো একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পথে আমরা হাতে পাব ২০২০ সালের একুশের বইমেলায়।

মৃত্তিকার দীর্ঘশাস কাব্যগ্রন্থটি কবি নজরুল সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেছে কুমিল্লা নজরুল ইনষ্টিটিউট থেকে। তার সম্পাদিত পরাগ সেরা লিটলম্যাগ হিসেবে কাব্যকথা পুরস্কার অর্জন করেছে। সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য জালালাবাদ সম্মাননা সহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন সালাম মাহমুদ।

নিজ গ্রামে শিক্ষা ও সাহিত্যর প্রতি দুর্বলতা দেখে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ উদার দিগন্ত সাহিত্য সংসদ ও পাঠাগার’ নামে একটি মূল ধারার সংগঠন। যেখানে তিনি প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। সালাম মাহমুদ মনে করেন বই মানুষকে আলোকিত করে। বই হচ্ছে মানুষের নিরব বন্ধু। পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি সৃজনশীল পুস্তক পড়ে জ্ঞানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্য এলাকায় তিনি পাঠাগার স্থাপন করেছেন। এই পাঠাগারে খুব ভালো বই তিনি সংরক্ষণ করেছেন। মানুষ এখানে বই পড়ার পর্যাপ্ত পরিমাণে সুযোগ পাচ্ছে।

এলাকার একঝাক তরুণ উদার দিগন্ত সাহিত্য সংসদ ও পাঠাগারের সাথে জড়িত রয়েছে। সবাই সালাম মাহমুদ ভাইকে অভিভাবক হিসেবে মানে। এলাকার উন্নয়নের জন্য তরুণ প্রজন্ম কাজ করছে সালাম মাহমুদ ভাইয়ের নেতৃত্বে। এই সংগঠনের মাধ্যমে সালাম মাহমুদ ভাই দরিদ্র মানুষের মাঝে প্রতি বছর কম্বল বিতরণ করছেন, সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মানুষের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করছেন। অসহায় মানুষকে স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতা করছেন। এছাড়াও জনকল্যাণমুখী প্রচুর কাজ করছেন যা সংক্ষিপ্ত পরিসরে শেষ করা যাবে না।

বাংলাদেশের মত দেশে একজন সালাম মাহমুদ ভাই নিজেকে গড়েছেন স্বপ্নের মত করে…কোনোদিন কারো সমালোচনায় ভড়কে যাননি বরং সমালোচকদের ভদ্র জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হাডুডুর মত পেছন ধরে কেউ তাঁকে আটকাতে পারেনি।

রাজধানি ঢাকায় তিনি বসবাস করেন কিন্তু দূরে থেকেও এ গ্রামের মানুষগুলোর খোঁজখবর রাখেন। খুঁটে খুঁটে এলাকার উদীয়মান তরুণ প্রতিভা বের করে আনেন। কেউ উচ্চশিক্ষা নিয়ে পড়াশোনা করতে দেখলে তিনি অত্যান্ত খুশি হন। সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসেন। দরিদ্র শিক্ষার্থদেরকে সহযোগিতার জন্য তিনি সবসময় উন্মুক্ত থাকেন।

সালাম মাহমুদ ভাই খুব ভালো একজন সংগঠক। তার মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ধৈর্য্য আছে। কেউ তাকে কিছু বললে সহজে রাগেন না। তাকে কখনো রাগ করে কথা বলতে দেখিনি। তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। ফলে সিলেট বিভাগের যথ বড় সংগঠন আছে সবগুলোতে তিনি নির্বাহী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।

এলাকায় আসা মাত্র ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেন। সবার সাথে ফোনে যোগাযোগ করে মিটিং করার ব্যবস্থা করেন। আলোচনা সভায় সবাইকে কথা বলার সুযোগ দেন এবং মনোযোগ দিয়ে কথাগুলো শোনেন। কাউকে অবহেলার চোখে দেখেন না কখনো। এলাকাবাসীর উদ্যোগে হযরত চাঁনশা (রহঃ) এর বার্ষিক ঈসালে সওয়াব মাহফিলে তিনি অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন।

সত্যি কথা বলতে গেলে একজন সালাম মাহমুদ ভাই হতে হলে বহু বছর সাধনা করে তাঁর স্থানে যেতে হবে।

কিছু মানুষের যোগ্যতা দুই আনা, ভাব নেয় দশ আনা,
সস্তা দালাল দিয়ে দাম বাড়ায় আরো বিশ আনা কিন্তু আসলে সে ফাঁকা মাঠের খেলোয়ার।
সালাম মাহমুদ ভাইয়ের যোগ্যতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলার ফাঁক পাবেননা… আমি তাঁর ছাত্র এবং উদার দিগন্তের সাহিত্য সংসদ ও পাঠাগারের সাহিত্য সম্পাদক।

টিলাগাঁও যে কয়েকজন কৃতিসন্তান বুকে ধরে লালন করছে তার মধ্যে তিনি অন্যতম। সাহিত্যজগতে সালাম মাহমুদ ভাইয়ের অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর সম্পর্কে বলতে গেলে পুরোদমে একটি পুস্থক রচনা করলেও বলা শেষ হবে না।

ব্যক্তি সালাম মাহমুদ ভাইয়ের ব্যবহার সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। আমার দেখামতে তিনি একজন ভালো মনের অধিকারী। তিনি সত্যকে সত্য বলেন, মিথ্যাকে মিথ্যা বলেন। মানুষের উপকারে সব সময় এগিয়ে আসেন। যে কোনো মানুষ তার নিকট কোনো সহযোগিতার জন্য গেলে সাথে সাথেই কাজ করে দেন। বিশেষ করে এলাকার মানুষের প্রতি তার আন্তরিকতার কোনো শেষ নেই।

হিংসা কখনো আলোর পথ হতে পারেনা হিংসা প্রতিভা ও মনুষত্য দু’টিই ধ্বংশ করে।

সালাম মাহমুদ ভাইয়ের মধ্যে আমি কোনোদিন দেখিনি হিংসা অথবা অহংকার। কোনো মানুষের বিরোধে কোনো কথা কখনো তিনি বলেন না। সবসময় মানুষকে ভালো কাজের জন্য উৎসাহ প্রদান করেন।

সালাম মাহমুদ ভাই চৌকস মেধাবী হওয়ার দরুণ তিনি একজন সু- প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি হতে পেরেছেন।

আজ এই জীবন্ত কীর্তিমানের জন্মদিন। তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম নিউজ পোার্টাল করে। জন্মদিনে আপনার প্রতি রইলো নিরন্তর শুভ কামনা।
শুভ জন্মদিন প্রিয়জন।